সম্পাদনার ভুল নাকি প্রাতিষ্ঠানিক সংকট—বিবিসির সামনে নজিরবিহীন বিশ্বাসহীনতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫-১১-২০২৫ রাত ১২:১২
সম্পাদনার ভুল নাকি প্রাতিষ্ঠানিক সংকট—বিবিসির সামনে নজিরবিহীন বিশ্বাসহীনতা
ট্রাম্পকে ঘিরে তৈরি ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্রের সম্পাদনা–বিতর্ক এখন শুধু প্রযুক্তিগত ভুলের আলাপ নয়—বিবিসির সাংবাদিকতার মানদণ্ড নিয়ে বড় এক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের বক্তব্য জোড়া লাগানোর ঘটনায় বিবিসির অভ্যন্তরীণ পর্যায়ের ব্যর্থতা সামনে এসেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা তিনটি বড় সংকেত দিচ্ছে—
১. সম্পাদনা–পর্যবেক্ষণ চেইনে ভাঙন
বিবিসির মতো প্রতিষ্ঠানে বহুস্তরের ফ্যাক্ট–চেক, স্ক্রিপ্ট রিভিউ ও সম্পাদকীয় নজরদারি থাকে। সেই প্রক্রিয়া কোথায় ভেঙেছে—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ফাঁস হওয়া মেমোতে বলা হয়, ট্রাম্পের ভাষণের মধ্যবর্তী অংশ বাদ যাওয়ার ফলে বক্তব্যের রাজনৈতিক প্রভাব সম্পূর্ণ বদলে গেছে—যা অত্যন্ত গুরুতর একটি ভুল।
২. নেতৃত্বের দায় স্বীকার: কিন্তু কেন এত দেরি?
মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ ডেবোরাহ টারনেসের পদত্যাগ—ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে দায় স্বীকারের ইঙ্গিত দিলেও সিদ্ধান্তটি এসেছে মেমো ফাঁস হওয়ার পর।
অভ্যন্তরে সংকট দীর্ঘদিন জমতে থাকলেও তা প্রকাশ পায় না—এমনটাই বলছেন সাবেক সম্পাদকীয় উপদেষ্টা প্রেসকট।
৩. জনমত ও রাজনৈতিক চাপ
ট্রাম্পের সমর্থকদের ক্ষোভ, তাঁর প্রেস সচিবের ‘প্রোপাগান্ডা মেশিন’ মন্তব্য এবং পার্লামেন্টের তদন্ত—সব মিলিয়ে বিবিসির ওপর জনআস্থা–সংকট তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে করদাতাদের অর্থে পরিচালিত একটি গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসিকে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বিবিসিকে শুধু সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগ বা দুঃখ প্রকাশ নয়—সম্পাদনা প্রক্রিয়ায় নতুন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মানদণ্ড তৈরি করতে হবে।
নচেৎ বিশ্বব্যাপী বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর ঝুঁকি থেকেই যাবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫-১১-২০২৫ রাত ১২:১২
ট্রাম্পকে ঘিরে তৈরি ‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্রের সম্পাদনা–বিতর্ক এখন শুধু প্রযুক্তিগত ভুলের আলাপ নয়—বিবিসির সাংবাদিকতার মানদণ্ড নিয়ে বড় এক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের বক্তব্য জোড়া লাগানোর ঘটনায় বিবিসির অভ্যন্তরীণ পর্যায়ের ব্যর্থতা সামনে এসেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা তিনটি বড় সংকেত দিচ্ছে—
১. সম্পাদনা–পর্যবেক্ষণ চেইনে ভাঙন
বিবিসির মতো প্রতিষ্ঠানে বহুস্তরের ফ্যাক্ট–চেক, স্ক্রিপ্ট রিভিউ ও সম্পাদকীয় নজরদারি থাকে। সেই প্রক্রিয়া কোথায় ভেঙেছে—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ফাঁস হওয়া মেমোতে বলা হয়, ট্রাম্পের ভাষণের মধ্যবর্তী অংশ বাদ যাওয়ার ফলে বক্তব্যের রাজনৈতিক প্রভাব সম্পূর্ণ বদলে গেছে—যা অত্যন্ত গুরুতর একটি ভুল।
২. নেতৃত্বের দায় স্বীকার: কিন্তু কেন এত দেরি?
মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ ডেবোরাহ টারনেসের পদত্যাগ—ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে দায় স্বীকারের ইঙ্গিত দিলেও সিদ্ধান্তটি এসেছে মেমো ফাঁস হওয়ার পর।
অভ্যন্তরে সংকট দীর্ঘদিন জমতে থাকলেও তা প্রকাশ পায় না—এমনটাই বলছেন সাবেক সম্পাদকীয় উপদেষ্টা প্রেসকট।
৩. জনমত ও রাজনৈতিক চাপ
ট্রাম্পের সমর্থকদের ক্ষোভ, তাঁর প্রেস সচিবের ‘প্রোপাগান্ডা মেশিন’ মন্তব্য এবং পার্লামেন্টের তদন্ত—সব মিলিয়ে বিবিসির ওপর জনআস্থা–সংকট তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে করদাতাদের অর্থে পরিচালিত একটি গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসিকে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বিবিসিকে শুধু সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগ বা দুঃখ প্রকাশ নয়—সম্পাদনা প্রক্রিয়ায় নতুন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মানদণ্ড তৈরি করতে হবে।
নচেৎ বিশ্বব্যাপী বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর ঝুঁকি থেকেই যাবে।