চীন–জাপান উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা, তাইওয়ান প্রশ্নে টোকিওর অবস্থান জোরালো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬-১১-২০২৫ রাত ১২:১৫
চীন–জাপান উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা, তাইওয়ান প্রশ্নে টোকিওর অবস্থান জোরালো
তাইওয়ান ইস্যুতে চীন–জাপান সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ের উত্তপ্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। চীনা কনসাল জেনারেল জু জিয়ানের বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দায় যুক্তরাষ্ট্রও সরব হয়েছে। জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জর্জ গ্লাস বলেন—
“জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে জু তার আসল চেহারাই প্রকাশ করেছেন।”
গ্লাস আরও বলেন, বেইজিং বারবার নিজেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশী দাবি করলেও তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সেই দাবি বিশ্বাসযোগ্য করছে না।
এর আগে জাপান সরকারের কঠোর প্রতিক্রিয়ার পর চীনে জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। চীনের উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং অভিযোগ করেন—তাকাইচির মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের “রাজনৈতিক ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত” করেছে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগি বলেছেন, তাকাইচির মন্তব্য প্রত্যাহারের প্রয়োজন নেই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মিনোরু কিহারা যোগ করেন— “তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি শুধু জাপানের নিরাপত্তা নয়, বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ান সংকটে জাপানের অবস্থান আগের তুলনায় অনেক বেশি দৃঢ় হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র–জাপান প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী, তাইওয়ান নিয়ে যেকোনো বড় সংঘাতে জাপানের ঘাঁটিগুলো লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেছে—চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাবাহিনীকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। যদিও অনেক বিশ্লেষক এ তথ্য পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন না।
চীন–জাপান সম্পর্কের এই উত্তেজনা পুরো এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নতুনভাবে নাড়া দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬-১১-২০২৫ রাত ১২:১৫
তাইওয়ান ইস্যুতে চীন–জাপান সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ের উত্তপ্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। চীনা কনসাল জেনারেল জু জিয়ানের বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দায় যুক্তরাষ্ট্রও সরব হয়েছে। জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জর্জ গ্লাস বলেন—
“জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে জু তার আসল চেহারাই প্রকাশ করেছেন।”
গ্লাস আরও বলেন, বেইজিং বারবার নিজেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশী দাবি করলেও তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সেই দাবি বিশ্বাসযোগ্য করছে না।
এর আগে জাপান সরকারের কঠোর প্রতিক্রিয়ার পর চীনে জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। চীনের উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং অভিযোগ করেন—তাকাইচির মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের “রাজনৈতিক ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত” করেছে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগি বলেছেন, তাকাইচির মন্তব্য প্রত্যাহারের প্রয়োজন নেই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মিনোরু কিহারা যোগ করেন— “তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি শুধু জাপানের নিরাপত্তা নয়, বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ান সংকটে জাপানের অবস্থান আগের তুলনায় অনেক বেশি দৃঢ় হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র–জাপান প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী, তাইওয়ান নিয়ে যেকোনো বড় সংঘাতে জাপানের ঘাঁটিগুলো লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেছে—চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাবাহিনীকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। যদিও অনেক বিশ্লেষক এ তথ্য পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন না।
চীন–জাপান সম্পর্কের এই উত্তেজনা পুরো এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নতুনভাবে নাড়া দিয়েছে।