বিএনপিতে তৃণমূলের ক্ষোভ বাড়ছে: মনোনয়ন ‘বঞ্চনা’ ঘিরে উত্তপ্ত বিভিন্ন জেলা
ডেস্ক রিপোর্ট
২৫-১১-২০২৫ রাত ১২:৪
বিএনপিতে তৃণমূলের ক্ষোভ বাড়ছে: মনোনয়ন ‘বঞ্চনা’ ঘিরে উত্তপ্ত বিভিন্ন জেলা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ঘোষণার পর বিএনপিতে তৃণমূল পর্যায়ে অসন্তুষ্টি চরমে উঠেছে। প্রার্থী বাছাইয়ে ‘মাঠের রাজনীতি’ ও ‘ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না হওয়া’—এসব অভিযোগ তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, রোডমার্চ, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির দীর্ঘদিন ধরে বাইরে থাকা রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একাধিক আসনে নতুন মুখ ও প্রবাসফেরত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ফলে মাঠে থাকা নেতাদের অনুসারীদের মাঝে ‘বঞ্চনার অনুভূতি’ তীব্র হয়েছে।
ইসলামপুর: নারীদের ঢল ভবিষ্যৎ রাজনীতির ইঙ্গিত?
ইসলামপুরের কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নারীর অংশ নেওয়া নজর কাড়ে। স্থানীয়রা বলছেন, এটি তৃণমূল বিএনপির ভেতরের গভীর বিভাজনের ইঙ্গিত দেয়। অভিযোগ—মনোনয়ন পাওয়া সুলতান মাহমুদ বাবু এলাকায় সক্রিয় ছিলেন না, বরং আওয়ামী লীগ–ঘনিষ্ঠ ‘সমঝোতার রাজনীতি’ করেছেন।
জয়পুরহাটে সড়ক অবরোধ: মাঠের নেতাদের রাগ উত্তপ্ত
জয়পুরহাট–২ আসনে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ বিরল ঘটনা নয়, তবে এ ধরনের কর্মসূচি নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে হলে তা দলের অভ্যন্তরীণ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, “১৫ বছর যাকে দেখা যায়নি, তিনি কীভাবে প্রার্থী?”
মনোনীত প্রার্থী আব্দুল বারীর পাল্টা বক্তব্য বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে।
পাবনা–কুলাউড়া: পুরোনো মুখ বনাম নতুন মুখ
পাবনা–৪ ও মৌলভীবাজার–২ আসনে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য একটাই—রাজপথে থাকা নেতারাই মনোনয়নের যোগ্য। তারা প্রশ্ন তুলছেন, প্রবাসজীবী বা দীর্ঘ অনুপস্থিত থাকা ব্যক্তিরা হঠাৎ কীভাবে দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন?
শোকজ: শৃঙ্খলা রক্ষার বার্তা?
শ্যামনগরে ছাত্রদল আহ্বায়ককে শোকজ দেওয়া দেখায়, কেন্দ্রীয় বিএনপি কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চাইছে। তবে মাঠপর্যায়ের ক্ষোভ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে নির্বাচনী প্রস্তুতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ
বিএনপির সামনে এখন দ্বিমুখী চাপ—
-
তৃণমূলকে শান্ত রাখা
-
আবারও নতুন মুখদের জায়গা দেওয়ার পরিকল্পনা বজায় রাখা
মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত; তবে তৃণমূল পর্যায়ের বিক্ষোভ বাড়লে দলকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
ডেস্ক রিপোর্ট
২৫-১১-২০২৫ রাত ১২:৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ঘোষণার পর বিএনপিতে তৃণমূল পর্যায়ে অসন্তুষ্টি চরমে উঠেছে। প্রার্থী বাছাইয়ে ‘মাঠের রাজনীতি’ ও ‘ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না হওয়া’—এসব অভিযোগ তুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, রোডমার্চ, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির দীর্ঘদিন ধরে বাইরে থাকা রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একাধিক আসনে নতুন মুখ ও প্রবাসফেরত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ফলে মাঠে থাকা নেতাদের অনুসারীদের মাঝে ‘বঞ্চনার অনুভূতি’ তীব্র হয়েছে।
ইসলামপুর: নারীদের ঢল ভবিষ্যৎ রাজনীতির ইঙ্গিত?
ইসলামপুরের কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নারীর অংশ নেওয়া নজর কাড়ে। স্থানীয়রা বলছেন, এটি তৃণমূল বিএনপির ভেতরের গভীর বিভাজনের ইঙ্গিত দেয়। অভিযোগ—মনোনয়ন পাওয়া সুলতান মাহমুদ বাবু এলাকায় সক্রিয় ছিলেন না, বরং আওয়ামী লীগ–ঘনিষ্ঠ ‘সমঝোতার রাজনীতি’ করেছেন।
জয়পুরহাটে সড়ক অবরোধ: মাঠের নেতাদের রাগ উত্তপ্ত
জয়পুরহাট–২ আসনে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ বিরল ঘটনা নয়, তবে এ ধরনের কর্মসূচি নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে হলে তা দলের অভ্যন্তরীণ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, “১৫ বছর যাকে দেখা যায়নি, তিনি কীভাবে প্রার্থী?”
মনোনীত প্রার্থী আব্দুল বারীর পাল্টা বক্তব্য বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে।
পাবনা–কুলাউড়া: পুরোনো মুখ বনাম নতুন মুখ
পাবনা–৪ ও মৌলভীবাজার–২ আসনে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য একটাই—রাজপথে থাকা নেতারাই মনোনয়নের যোগ্য। তারা প্রশ্ন তুলছেন, প্রবাসজীবী বা দীর্ঘ অনুপস্থিত থাকা ব্যক্তিরা হঠাৎ কীভাবে দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন?
শোকজ: শৃঙ্খলা রক্ষার বার্তা?
শ্যামনগরে ছাত্রদল আহ্বায়ককে শোকজ দেওয়া দেখায়, কেন্দ্রীয় বিএনপি কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চাইছে। তবে মাঠপর্যায়ের ক্ষোভ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে নির্বাচনী প্রস্তুতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ
বিএনপির সামনে এখন দ্বিমুখী চাপ—
-
তৃণমূলকে শান্ত রাখা
-
আবারও নতুন মুখদের জায়গা দেওয়ার পরিকল্পনা বজায় রাখা
মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত; তবে তৃণমূল পর্যায়ের বিক্ষোভ বাড়লে দলকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।