শিরোনামঃ
লোগো–স্পন্সর কেলেঙ্কারি—ফুটবল ফেডারেশনের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় দাঁড়াল? সম্পাদনার ভুল নাকি প্রাতিষ্ঠানিক সংকট—বিবিসির সামনে নজিরবিহীন বিশ্বাসহীনতা বৈশ্বিক মার্কেটপ্লেসে বড় দরজা খুলল, উপকারে এসএমই রপ্তানিকারকরা বিএনপিতে তৃণমূলের ক্ষোভ বাড়ছে: মনোনয়ন ‘বঞ্চনা’ ঘিরে উত্তপ্ত বিভিন্ন জেলা বাউল শিল্পীকে ঘিরে উত্তেজনা: মতবিরোধের জায়গায় সহিংসতা কেন? প্রশ্ন তুলছে এনসিপি নানা জটিলতায় আবার হাসপাতালে খালেদা জিয়া: চিকিৎসা নিয়ে সতর্ক নজরে বিএনপি–পরিবার সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব অগ্রাহ্য করতে আহ্বান—‘ভূমিকম্প ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না’, বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের স্পষ্ট বক্তব্য হলুদ সাংবাদিকতা ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা রুখতে নীতি চান অ্যাটর্নি জেনারেল ময়মনসিংহে আন্তঃজেলা এক নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার  পিয়ারসন নেটওয়ার্ক মিটে শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্য আলোচনা

বাউল শিল্পীকে ঘিরে উত্তেজনা: মতবিরোধের জায়গায় সহিংসতা কেন? প্রশ্ন তুলছে এনসিপি

#
news image

মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অবস্থান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এবং ভক্তদের ওপর হামলার ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরাসরি সহিংসতার বিরোধিতা করে বলেছে—ধর্মীয় ব্যাখ্যা, মতভিন্নতা কিংবা অভিযোগ যাই থাকুক, তার সমাধান আইনি ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের মধ্যেই হওয়া উচিত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মতবিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় দ্রুত, কিন্তু আইন ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের চর্চা দুর্বল হয়ে পড়ে। এনসিপি-বিবৃতিও সেই প্রশ্নই তুলেছে—এ ধরনের ইস্যুতে কেন ‘উসকানি ও দলবদ্ধ চাপ’ বাড়ছে?

দলের বিবৃতিতে দেশে বাউল–ফকির–তাসাওফপন্থী ধারার ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ধর্মীয় ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ দাওয়াত, ধৈর্য ও প্রজ্ঞার চর্চাই বাংলাদেশের মূলধারা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এ ধরনের অবস্থান ধর্মীয় সম্প্রীতি জোরদারে ইতিবাচক বার্তা দেয়।

মানিকগঞ্জের ঘটনায় ‘সর্বস্তরের আলেম–ওলামা ও তৌহিদী জনতা’ ব্যানারধারী একদল ব্যক্তির পাল্টাপাল্টি অবস্থান উত্তেজনা বাড়িয়েছে। তার মধ্যেই ঘটে হামলা ও চারজনের আহত হওয়ার ঘটনা। স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ বলছেন, আলোচনার বদলে শক্তির প্রদর্শনই সংঘর্ষ বাড়িয়েছে।

এনসিপির দাবি, মতবিরোধের সমাধান হতে হবে আইনের মাধ্যমে। কোনোভাবেই জনতা বা গোষ্ঠীর হাতে বিচার চলে যেতে দেওয়া যাবে না। সাংস্কৃতিক–আধ্যাত্মিক চর্চার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব—এ বার্তাই উঠে এসেছে বিবৃতিতে।

ডেস্ক রিপোর্ট

২৪-১১-২০২৫ রাত ১১:৫৯

news image

মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অবস্থান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এবং ভক্তদের ওপর হামলার ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরাসরি সহিংসতার বিরোধিতা করে বলেছে—ধর্মীয় ব্যাখ্যা, মতভিন্নতা কিংবা অভিযোগ যাই থাকুক, তার সমাধান আইনি ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের মধ্যেই হওয়া উচিত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মতবিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় দ্রুত, কিন্তু আইন ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের চর্চা দুর্বল হয়ে পড়ে। এনসিপি-বিবৃতিও সেই প্রশ্নই তুলেছে—এ ধরনের ইস্যুতে কেন ‘উসকানি ও দলবদ্ধ চাপ’ বাড়ছে?

দলের বিবৃতিতে দেশে বাউল–ফকির–তাসাওফপন্থী ধারার ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ধর্মীয় ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণ দাওয়াত, ধৈর্য ও প্রজ্ঞার চর্চাই বাংলাদেশের মূলধারা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এ ধরনের অবস্থান ধর্মীয় সম্প্রীতি জোরদারে ইতিবাচক বার্তা দেয়।

মানিকগঞ্জের ঘটনায় ‘সর্বস্তরের আলেম–ওলামা ও তৌহিদী জনতা’ ব্যানারধারী একদল ব্যক্তির পাল্টাপাল্টি অবস্থান উত্তেজনা বাড়িয়েছে। তার মধ্যেই ঘটে হামলা ও চারজনের আহত হওয়ার ঘটনা। স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ বলছেন, আলোচনার বদলে শক্তির প্রদর্শনই সংঘর্ষ বাড়িয়েছে।

এনসিপির দাবি, মতবিরোধের সমাধান হতে হবে আইনের মাধ্যমে। কোনোভাবেই জনতা বা গোষ্ঠীর হাতে বিচার চলে যেতে দেওয়া যাবে না। সাংস্কৃতিক–আধ্যাত্মিক চর্চার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব—এ বার্তাই উঠে এসেছে বিবৃতিতে।