কুষ্টিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু—রাজনৈতিক প্রভাব, সাক্ষ্য–প্রমাণ ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নতুন প্রশ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫-১১-২০২৫ দুপুর ৩:৩৮
কুষ্টিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু—রাজনৈতিক প্রভাব, সাক্ষ্য–প্রমাণ ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নতুন প্রশ্ন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে মামলা শুরু হয়েছে, সেটি শুধু একটি বিচার নয়—এটি রাজনৈতিক উত্তাপ, মাঠপর্যায়ের সহিংসতা ও রাষ্ট্রীয় জবাবদিহির জটিল বাস্তবতাকেও সামনে আনছে।
১. উচ্চপ্রোফাইল আসামি—বিচারের উপর বাড়তি নজর
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফসহ জেলা শীর্ষ নেতারা আসামি হওয়ায় মামলা শুরু থেকেই রাজনৈতিকভাবে আলোচিত।
প্রতিরক্ষার আইনজীবীর বক্তব্য—“শুধু আওয়ামী লীগ করেন বলে যেন বিচার না হয়”—ইঙ্গিত দেয় রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও থাকবে বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গেই।
২. সাক্ষ্য ও প্রমাণ—ট্রাইব্যুনালের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ
মামলায় ৩৮ জন সাক্ষী, সঙ্গে অডিও–ভিডিও, পত্র-পত্রিকার তথ্যপ্রমাণ—সব মিলিয়ে মামলাটি দীর্ঘ ও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৩. নিহত ছয়জন—পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা
২০২৪ সালের আন্দোলনে নিহত শ্রমিক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ ছয়জনের পরিবারের মধ্যে বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাক্ষ্য মামলাকে নতুন মোড় দিতে পারে।
৪. রাজনৈতিক বাস্তবতা—বিচার কি নিরপেক্ষ থাকবে?
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাধারণত যুদ্ধাপরাধ মামলা দেখে। এবার সমসাময়িক রাজনৈতিক সহিংসতা সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন হওয়ায় আইনি মহলে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে—
এই বিচার কি ভবিষ্যতে অন্য রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার রেফারেন্স হিসেবে দাঁড়াবে?
৫. আগামীর দৃষ্টি—৮ ডিসেম্বরের সাক্ষ্যেই খোলাসা হবে অনেক কিছু
প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণই মামলার ভিত্তি দৃঢ় করবে—
✔ অভিযোগ কতটা প্রতিষ্ঠিত?
✔ প্রমাণ কীভাবে গ্রহণযোগ্য হয়?
✔ রাজনৈতিক চাপ আছে কি না?
সব প্রশ্নের প্রাথমিক উত্তর মিলবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫-১১-২০২৫ দুপুর ৩:৩৮
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে মামলা শুরু হয়েছে, সেটি শুধু একটি বিচার নয়—এটি রাজনৈতিক উত্তাপ, মাঠপর্যায়ের সহিংসতা ও রাষ্ট্রীয় জবাবদিহির জটিল বাস্তবতাকেও সামনে আনছে।
১. উচ্চপ্রোফাইল আসামি—বিচারের উপর বাড়তি নজর
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফসহ জেলা শীর্ষ নেতারা আসামি হওয়ায় মামলা শুরু থেকেই রাজনৈতিকভাবে আলোচিত।
প্রতিরক্ষার আইনজীবীর বক্তব্য—“শুধু আওয়ামী লীগ করেন বলে যেন বিচার না হয়”—ইঙ্গিত দেয় রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও থাকবে বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গেই।
২. সাক্ষ্য ও প্রমাণ—ট্রাইব্যুনালের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ
মামলায় ৩৮ জন সাক্ষী, সঙ্গে অডিও–ভিডিও, পত্র-পত্রিকার তথ্যপ্রমাণ—সব মিলিয়ে মামলাটি দীর্ঘ ও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৩. নিহত ছয়জন—পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা
২০২৪ সালের আন্দোলনে নিহত শ্রমিক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ ছয়জনের পরিবারের মধ্যে বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাক্ষ্য মামলাকে নতুন মোড় দিতে পারে।
৪. রাজনৈতিক বাস্তবতা—বিচার কি নিরপেক্ষ থাকবে?
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাধারণত যুদ্ধাপরাধ মামলা দেখে। এবার সমসাময়িক রাজনৈতিক সহিংসতা সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন হওয়ায় আইনি মহলে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে—
এই বিচার কি ভবিষ্যতে অন্য রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার রেফারেন্স হিসেবে দাঁড়াবে?
৫. আগামীর দৃষ্টি—৮ ডিসেম্বরের সাক্ষ্যেই খোলাসা হবে অনেক কিছু
প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণই মামলার ভিত্তি দৃঢ় করবে—
✔ অভিযোগ কতটা প্রতিষ্ঠিত?
✔ প্রমাণ কীভাবে গ্রহণযোগ্য হয়?
✔ রাজনৈতিক চাপ আছে কি না?
সব প্রশ্নের প্রাথমিক উত্তর মিলবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলে।