সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব অগ্রাহ্য করতে আহ্বান—‘ভূমিকম্প ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না’, বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের স্পষ্ট বক্তব্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪-১১-২০২৫ রাত ১১:৫১
সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব অগ্রাহ্য করতে আহ্বান—‘ভূমিকম্প ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না’, বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের স্পষ্ট বক্তব্য
জরুরি বৈঠকে ভূমিকম্প–সংক্রান্ত গুজব ও অপতথ্য ছড়ানো নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বড় ভূমিকম্প হবে”—এ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুজবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ভূমিকম্পের নির্দিষ্ট সময়–তারিখ কেউ বলতে পারে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিল্লুর রহমান জানান, বাংলাদেশের ভূমিকম্প উৎসগুলো পর্যালোচনা করে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি নিরূপণ করা সম্ভব হলেও নির্দিষ্ট দিন বলা অসম্ভব। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ তুলনামূলক কম ভূমিকম্প–প্রবণ অঞ্চল হলেও প্রস্তুতি অবশ্যই নিতে হবে।
চুয়েটের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ–গ্যাস–জল সংযোগ—এসব খাতকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। স্কুল–কলেজে ভূমিকম্প বিষয়ে নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচি চালুর গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।
এমআইএসটির অধ্যাপক জয়নুল আবেদীন বলেন, মানুষের আতঙ্ক কমাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য পৌঁছে দেওয়া জরুরি। কোথায় খোলা জায়গা আছে, কোথায় জমায়েত হওয়া যায়—এসব তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে নিয়মিত মহড়া চালানো প্রয়োজন।
বৈঠকে জানানো হয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর ইতোমধ্যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফাটল ধরা ভবনের ছবি সংগ্রহ ও মূল্যায়ন শুরু করেছে—দুই শতাধিক ভবন মূল্যায়নও শেষ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা হাসপাতালের সক্ষমতা, ভবনের মান, জরুরি সাড়া দেওয়ার সামর্থ্য পুনর্মূল্যায়ন করার পরামর্শ দেন। তরুণদের যুক্ত করে দেশজুড়ে চার স্তরের জনসচেতনতা পরিকল্পনা তৈরির পরামর্শও উঠে আসে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞদের লিখিত সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করবে এবং তাৎক্ষণিক করণীয় নির্ধারণ করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪-১১-২০২৫ রাত ১১:৫১
জরুরি বৈঠকে ভূমিকম্প–সংক্রান্ত গুজব ও অপতথ্য ছড়ানো নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বড় ভূমিকম্প হবে”—এ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুজবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ভূমিকম্পের নির্দিষ্ট সময়–তারিখ কেউ বলতে পারে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিল্লুর রহমান জানান, বাংলাদেশের ভূমিকম্প উৎসগুলো পর্যালোচনা করে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি নিরূপণ করা সম্ভব হলেও নির্দিষ্ট দিন বলা অসম্ভব। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ তুলনামূলক কম ভূমিকম্প–প্রবণ অঞ্চল হলেও প্রস্তুতি অবশ্যই নিতে হবে।
চুয়েটের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ–গ্যাস–জল সংযোগ—এসব খাতকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। স্কুল–কলেজে ভূমিকম্প বিষয়ে নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচি চালুর গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।
এমআইএসটির অধ্যাপক জয়নুল আবেদীন বলেন, মানুষের আতঙ্ক কমাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য পৌঁছে দেওয়া জরুরি। কোথায় খোলা জায়গা আছে, কোথায় জমায়েত হওয়া যায়—এসব তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে নিয়মিত মহড়া চালানো প্রয়োজন।
বৈঠকে জানানো হয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর ইতোমধ্যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফাটল ধরা ভবনের ছবি সংগ্রহ ও মূল্যায়ন শুরু করেছে—দুই শতাধিক ভবন মূল্যায়নও শেষ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা হাসপাতালের সক্ষমতা, ভবনের মান, জরুরি সাড়া দেওয়ার সামর্থ্য পুনর্মূল্যায়ন করার পরামর্শ দেন। তরুণদের যুক্ত করে দেশজুড়ে চার স্তরের জনসচেতনতা পরিকল্পনা তৈরির পরামর্শও উঠে আসে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞদের লিখিত সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করবে এবং তাৎক্ষণিক করণীয় নির্ধারণ করবে।