পিয়ারসন নেটওয়ার্ক মিটে শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্য আলোচনা
বিজ্ঞপ্তি
২৪-১১-২০২৫ রাত ১১:৩৮
পিয়ারসন নেটওয়ার্ক মিটে শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্য আলোচনা
বৈশ্বিকভাবে শিক্ষা খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান পিয়ারসন সম্প্রতি রাজধানীর লে মেরিডিয়েন ঢাকায় ‘প্রিন্সিপাল নেটওয়ার্ক মিট ২০২৫’ আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষেরা। আলোচনায় তারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান এবং স্কুলে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বৃদ্ধির মত জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
পিয়ারসন বাংলাদেশ ও নেপালের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন লিটন ও পিয়ারসন বাংলাদেশের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার জান্নাতুল ফেরদৌস সিগমা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে দেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রায় ২ শ’ জন অধ্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান সকল শিক্ষার্থীর জন্য ন্যায়সংগত মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন। এরপর পিয়ারসন স্কুল কোয়ালিফিকেশনের ডিরেক্টর ক্যাথরিন বুথ বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের ধরন এবং তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে পিয়ারসনের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি পিয়ারসন এডেক্সেলের বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ এবং আপডেট নিয়েও কথা বলেন।
এ সম্মেলনে মূলত দুইটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়। প্রথমে ‘স্পটলাইট অন ইনক্লুশন: সাপোর্টিং লার্নারস উইথ স্পেশাল নিডস’ সেশনে শিক্ষকদের জন্য সহজ ও কার্যকর পদ্ধতিসমূহ আলোচনা করা হয়, যেন তারা শ্রেণিকক্ষে যেকোন শিক্ষার্থীকে সমানভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারেন। এ সেশনে স্যার জন উইলসন স্কুলের অধ্যক্ষা সাবরিনা শাহীদ উল্লেখ করেন কীভাবে তারা তাদের স্কুলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়তা করছেন।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘স্টুডেন্ট ওয়েলবিইং অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ইন দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি স্কুল’ প্যানেল আলোচনা। এতে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান একত্রিত হয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এ আলোচনায় স্কুলের দৈনন্দিন কার্যক্রমে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয়।
আলোচকেরা মনে করেন, প্রতিটি শিশুই তার শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছ থেকে পূর্ণ সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে। এক্ষেত্রে সকল শিক্ষার্থীর সমান অন্তর্ভুক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মনোযোগ শুধুমাত্র যে শিক্ষাকে উন্নত করে তা-ই নয়, পাশাপাশি একটি সহানুভূতিশীল প্রজন্ম গড়ে তোলে, যারা মানুষের শারীরিক কিংবা মানসিক ভিন্নতাকে সম্মান করতে পারে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল আউটস্ট্যান্ডিং পিয়ারসন স্কুল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫। এ সময় ৩৬টি স্কুলকে অ্যাকাডেমিক সাফল্যের জন্য পিয়ারসন স্কুল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এই নেটওয়ার্ক মিটটি দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে সমতার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করার প্রতি পিয়ারসনের অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ করেছে।
বিজ্ঞপ্তি
২৪-১১-২০২৫ রাত ১১:৩৮
বৈশ্বিকভাবে শিক্ষা খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান পিয়ারসন সম্প্রতি রাজধানীর লে মেরিডিয়েন ঢাকায় ‘প্রিন্সিপাল নেটওয়ার্ক মিট ২০২৫’ আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষেরা। আলোচনায় তারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান এবং স্কুলে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বৃদ্ধির মত জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
পিয়ারসন বাংলাদেশ ও নেপালের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন লিটন ও পিয়ারসন বাংলাদেশের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার জান্নাতুল ফেরদৌস সিগমা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে দেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রায় ২ শ’ জন অধ্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান সকল শিক্ষার্থীর জন্য ন্যায়সংগত মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন। এরপর পিয়ারসন স্কুল কোয়ালিফিকেশনের ডিরেক্টর ক্যাথরিন বুথ বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের ধরন এবং তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে পিয়ারসনের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি পিয়ারসন এডেক্সেলের বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ এবং আপডেট নিয়েও কথা বলেন।
এ সম্মেলনে মূলত দুইটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়। প্রথমে ‘স্পটলাইট অন ইনক্লুশন: সাপোর্টিং লার্নারস উইথ স্পেশাল নিডস’ সেশনে শিক্ষকদের জন্য সহজ ও কার্যকর পদ্ধতিসমূহ আলোচনা করা হয়, যেন তারা শ্রেণিকক্ষে যেকোন শিক্ষার্থীকে সমানভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারেন। এ সেশনে স্যার জন উইলসন স্কুলের অধ্যক্ষা সাবরিনা শাহীদ উল্লেখ করেন কীভাবে তারা তাদের স্কুলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়তা করছেন।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘স্টুডেন্ট ওয়েলবিইং অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ইন দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি স্কুল’ প্যানেল আলোচনা। এতে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান একত্রিত হয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এ আলোচনায় স্কুলের দৈনন্দিন কার্যক্রমে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয়।
আলোচকেরা মনে করেন, প্রতিটি শিশুই তার শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছ থেকে পূর্ণ সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে। এক্ষেত্রে সকল শিক্ষার্থীর সমান অন্তর্ভুক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মনোযোগ শুধুমাত্র যে শিক্ষাকে উন্নত করে তা-ই নয়, পাশাপাশি একটি সহানুভূতিশীল প্রজন্ম গড়ে তোলে, যারা মানুষের শারীরিক কিংবা মানসিক ভিন্নতাকে সম্মান করতে পারে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল আউটস্ট্যান্ডিং পিয়ারসন স্কুল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫। এ সময় ৩৬টি স্কুলকে অ্যাকাডেমিক সাফল্যের জন্য পিয়ারসন স্কুল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এই নেটওয়ার্ক মিটটি দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে সমতার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করার প্রতি পিয়ারসনের অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ করেছে।