উগ্রবাদ দমনে ব্যর্থতার সমালোচনা, সতর্ক করলেন ২৫৮ নাগরিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩-১১-২০২৫ রাত ১১:৫৯
উগ্রবাদ দমনে ব্যর্থতার সমালোচনা, সতর্ক করলেন ২৫৮ নাগরিক
ধর্মীয় উগ্রবাদ ও মবসন্ত্রাস দমনে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার সমালোচনা করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ২৫৮ বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলেন, দেড় বছর পরেও উগ্রবাদ দমনের পরিবর্তে বরং তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ হুমকি।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, একটি সংগঠিত গোষ্ঠী নিজেদের ইসলাম ধর্মের “একচ্ছত্র রক্ষক” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চা, মত প্রকাশ ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের ওপর আঘাত হানতেই নানা অজুহাতে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
নাগরিকদের মতে, আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা এবং কার্যকর পদক্ষেপের অভাব উগ্রবাদীদের আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। এর ফলে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি সম্ভাব্য উগ্রবাদী রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার ঝুঁকি বাড়ছে—যা ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ করে দেবে।
বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিও পুনরুত্থানের সুযোগ পাবে। নাগরিকরা বলেন, রাষ্ট্রকে অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণুতার পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আজফার হোসেন, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইনজীবী মীরু খানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের শীর্ষ বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩-১১-২০২৫ রাত ১১:৫৯
ধর্মীয় উগ্রবাদ ও মবসন্ত্রাস দমনে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার সমালোচনা করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ২৫৮ বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলেন, দেড় বছর পরেও উগ্রবাদ দমনের পরিবর্তে বরং তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ হুমকি।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, একটি সংগঠিত গোষ্ঠী নিজেদের ইসলাম ধর্মের “একচ্ছত্র রক্ষক” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চা, মত প্রকাশ ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের ওপর আঘাত হানতেই নানা অজুহাতে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
নাগরিকদের মতে, আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা এবং কার্যকর পদক্ষেপের অভাব উগ্রবাদীদের আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। এর ফলে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি সম্ভাব্য উগ্রবাদী রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার ঝুঁকি বাড়ছে—যা ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ করে দেবে।
বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিও পুনরুত্থানের সুযোগ পাবে। নাগরিকরা বলেন, রাষ্ট্রকে অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণুতার পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আজফার হোসেন, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইনজীবী মীরু খানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের শীর্ষ বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী।