লোগো–স্পন্সর কেলেঙ্কারি—ফুটবল ফেডারেশনের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় দাঁড়াল?
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫-১১-২০২৫ রাত ১২:১৫
লোগো–স্পন্সর কেলেঙ্কারি—ফুটবল ফেডারেশনের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় দাঁড়াল?
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড আবারও সংগঠনের প্রশাসনিক দুর্বলতা ও স্বচ্ছতার অভাবকে বড় করে সামনে এনেছে। লোগো নকলের অভিযোগ সামলাতে না সামলাতেই এবার টাইটেল স্পন্সর নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে সংস্থাটি। স্পন্সর হিসেবে ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠান পেট্রোনাস সরাসরি বলেছে—এমন কোনো চুক্তিই হয়নি।
১. যাচাই-বাছাইহীন ঘোষণা—স্বচ্ছতার সংকট
এ ধরনের বড় স্পন্সর ঘোষণা সাধারণত দীর্ঘ আলোচনার ফল। অথচ বাফুফে যে নাম ঘোষণা করল, সেই কোম্পানি নিজেই জানাল তারা কিছুই জানে না।
এটি শুধু প্রশাসনিক অসাবধানতা নয়, শৃঙ্খলা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নও জাগায়।
২. লোগো বিতর্কে ‘নকল’-এর অভিযোগ
বিদেশি একটি অ্যাপের লোগোর সঙ্গে নতুন লিগ লোগোর হুবহু মিল পাওয়া সংগঠনের সৃজনশীলতা ও কপিরাইট সচেতনতার ঘাটতি তুলে ধরছে। দায়িত্বশীলরা ‘কাকতালীয়’ বললেও সমর্থক–সমাজে তা বিশ্বাস অর্জন করতে পারছে না।
৩. লিগ শুরু—কিন্তু মনোযোগ মাঠে নয়, বিতর্কে
এক মাস বিরতির পর লিগ মাঠে গড়ালেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন মাঠের খেলায় নয়; বরং প্রশাসনিক ব্যর্থতায়। আবাহনী–মোহামেডান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাচ দিয়েই রাউন্ড শুরু হলেও তার আগেই ফেডারেশনের ভুলভ্রান্তি অনেককেই হতাশ করেছে।
৪. ফুটবলের ইমেজ সংকট
বাংলাদেশ ফুটবল দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সংকট, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও পরিকল্পনার অভাবে ভুগছে। এর ওপর লোগো–স্পন্সর বিতর্ক নতুন করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে বাফুফেকে অবিলম্বে—
✔ সত্য তুলে ধরে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে
✔ লোগো ও স্পন্সর ঘোষণার প্রক্রিয়া প্রকাশ্যে আনতে হবে
✔ ভবিষ্যতের সব সিদ্ধান্তে পেশাদার মানদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে
অন্যথায় সংগঠনের প্রতি ক্লাব, খেলোয়াড় ও দর্শকের আস্থা আরও কমে যেতে পারে।
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫-১১-২০২৫ রাত ১২:১৫
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড আবারও সংগঠনের প্রশাসনিক দুর্বলতা ও স্বচ্ছতার অভাবকে বড় করে সামনে এনেছে। লোগো নকলের অভিযোগ সামলাতে না সামলাতেই এবার টাইটেল স্পন্সর নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে সংস্থাটি। স্পন্সর হিসেবে ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠান পেট্রোনাস সরাসরি বলেছে—এমন কোনো চুক্তিই হয়নি।
১. যাচাই-বাছাইহীন ঘোষণা—স্বচ্ছতার সংকট
এ ধরনের বড় স্পন্সর ঘোষণা সাধারণত দীর্ঘ আলোচনার ফল। অথচ বাফুফে যে নাম ঘোষণা করল, সেই কোম্পানি নিজেই জানাল তারা কিছুই জানে না।
এটি শুধু প্রশাসনিক অসাবধানতা নয়, শৃঙ্খলা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নও জাগায়।
২. লোগো বিতর্কে ‘নকল’-এর অভিযোগ
বিদেশি একটি অ্যাপের লোগোর সঙ্গে নতুন লিগ লোগোর হুবহু মিল পাওয়া সংগঠনের সৃজনশীলতা ও কপিরাইট সচেতনতার ঘাটতি তুলে ধরছে। দায়িত্বশীলরা ‘কাকতালীয়’ বললেও সমর্থক–সমাজে তা বিশ্বাস অর্জন করতে পারছে না।
৩. লিগ শুরু—কিন্তু মনোযোগ মাঠে নয়, বিতর্কে
এক মাস বিরতির পর লিগ মাঠে গড়ালেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন মাঠের খেলায় নয়; বরং প্রশাসনিক ব্যর্থতায়। আবাহনী–মোহামেডান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাচ দিয়েই রাউন্ড শুরু হলেও তার আগেই ফেডারেশনের ভুলভ্রান্তি অনেককেই হতাশ করেছে।
৪. ফুটবলের ইমেজ সংকট
বাংলাদেশ ফুটবল দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সংকট, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও পরিকল্পনার অভাবে ভুগছে। এর ওপর লোগো–স্পন্সর বিতর্ক নতুন করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে বাফুফেকে অবিলম্বে—
✔ সত্য তুলে ধরে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে
✔ লোগো ও স্পন্সর ঘোষণার প্রক্রিয়া প্রকাশ্যে আনতে হবে
✔ ভবিষ্যতের সব সিদ্ধান্তে পেশাদার মানদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে
অন্যথায় সংগঠনের প্রতি ক্লাব, খেলোয়াড় ও দর্শকের আস্থা আরও কমে যেতে পারে।