শিরোনামঃ
কুষ্টিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু—রাজনৈতিক প্রভাব, সাক্ষ্য–প্রমাণ ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নতুন প্রশ্ন শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়ে এরা কারা-দেশীয় দুই ইলেকট্রনিক কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বা অপপ্রচারের অভিযোগ নামে লোগো–স্পন্সর কেলেঙ্কারি—ফুটবল ফেডারেশনের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় দাঁড়াল? সম্পাদনার ভুল নাকি প্রাতিষ্ঠানিক সংকট—বিবিসির সামনে নজিরবিহীন বিশ্বাসহীনতা বৈশ্বিক মার্কেটপ্লেসে বড় দরজা খুলল, উপকারে এসএমই রপ্তানিকারকরা বিএনপিতে তৃণমূলের ক্ষোভ বাড়ছে: মনোনয়ন ‘বঞ্চনা’ ঘিরে উত্তপ্ত বিভিন্ন জেলা বাউল শিল্পীকে ঘিরে উত্তেজনা: মতবিরোধের জায়গায় সহিংসতা কেন? প্রশ্ন তুলছে এনসিপি নানা জটিলতায় আবার হাসপাতালে খালেদা জিয়া: চিকিৎসা নিয়ে সতর্ক নজরে বিএনপি–পরিবার সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব অগ্রাহ্য করতে আহ্বান—‘ভূমিকম্প ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না’, বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের স্পষ্ট বক্তব্য হলুদ সাংবাদিকতা ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা রুখতে নীতি চান অ্যাটর্নি জেনারেল

ইসরায়েল–হামাসের মুখোমুখি অবস্থান, বিদেশি নিয়ন্ত্রণ ও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র—ট্রাম্পের প্রস্তাব ঘিরে বিভাজন বাড়ছে

#
news image

ট্রাম্পের গাজা প্রস্তাব ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র বিভাজন তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল, হামাস, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর আলাদা অবস্থান প্রস্তাবটির কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা বাড়িয়েছে।

ইসরায়েল কী চায়?
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ছাড়া কোনো শান্তি নয়। তিনি বলেন, জর্ডান নদীর পশ্চিমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে তাদের আপত্তির ‘একচুলও পরিবর্তন’ হবে না।
ইসরায়েল আরও অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র গাজাকে অসামরিকীকরণের বিষয়টি এড়িয়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কথা বলছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তারা এমন একটি বেসামরিক প্রশাসন চায় যেখানে হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ—দু’পক্ষই থাকবে না।

হামাসের অবস্থান
হামাস জাতিসংঘে উত্থাপিত প্রস্তাবকে “বিপদজ্জনক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সংগঠনটির দাবি—

* গাজার নিরস্ত্রীকরণ

* ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের অধিকার খর্ব
—এসব শর্তযুক্ত কোনো সমাধান তারা গ্রহণ করবে না।

তারা আরও বলছে, গাজাকে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

ফিলিস্তিনিদের ভূমিকা কী?
প্রস্তাবের খসড়া অনুসারে শান্তি বোর্ড এক সময় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। যুদ্ধবিরতির এক বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথাও বলা হয়েছে।
ফ্রান্স জানিয়েছে, ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান প্রণয়নেও তারা সহায়তা করতে প্রস্তুত।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলিদের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়া এই পরিকল্পনা স্থায়ী সমাধান আনতে পারবে না। বরং এতে ইসরায়েলের সীমানা নিরাপদ রাখা হলেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ঝুলে থাকতে পারে।

এ অবস্থায় ট্রাম্পের প্রস্তাব ভোটে পাস হলেও তা বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব—এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮-১১-২০২৫ রাত ১১:৩০

news image

ট্রাম্পের গাজা প্রস্তাব ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র বিভাজন তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল, হামাস, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর আলাদা অবস্থান প্রস্তাবটির কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা বাড়িয়েছে।

ইসরায়েল কী চায়?
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ছাড়া কোনো শান্তি নয়। তিনি বলেন, জর্ডান নদীর পশ্চিমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে তাদের আপত্তির ‘একচুলও পরিবর্তন’ হবে না।
ইসরায়েল আরও অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র গাজাকে অসামরিকীকরণের বিষয়টি এড়িয়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কথা বলছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তারা এমন একটি বেসামরিক প্রশাসন চায় যেখানে হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ—দু’পক্ষই থাকবে না।

হামাসের অবস্থান
হামাস জাতিসংঘে উত্থাপিত প্রস্তাবকে “বিপদজ্জনক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সংগঠনটির দাবি—

* গাজার নিরস্ত্রীকরণ

* ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের অধিকার খর্ব
—এসব শর্তযুক্ত কোনো সমাধান তারা গ্রহণ করবে না।

তারা আরও বলছে, গাজাকে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

ফিলিস্তিনিদের ভূমিকা কী?
প্রস্তাবের খসড়া অনুসারে শান্তি বোর্ড এক সময় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। যুদ্ধবিরতির এক বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথাও বলা হয়েছে।
ফ্রান্স জানিয়েছে, ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান প্রণয়নেও তারা সহায়তা করতে প্রস্তুত।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলিদের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়া এই পরিকল্পনা স্থায়ী সমাধান আনতে পারবে না। বরং এতে ইসরায়েলের সীমানা নিরাপদ রাখা হলেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ঝুলে থাকতে পারে।

এ অবস্থায় ট্রাম্পের প্রস্তাব ভোটে পাস হলেও তা বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব—এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সন্দেহ তৈরি হয়েছে।