ওভারভ্যালুয়েড শেয়ার–ঋণের ফাঁদে আইসিবি, সরকারের ১ হাজার কোটি টাকার সহায়তায় কতটা বদলাবে অবস্থা?
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫-১১-২০২৫ রাত ১১:৪১
ওভারভ্যালুয়েড শেয়ার–ঋণের ফাঁদে আইসিবি, সরকারের ১ হাজার কোটি টাকার সহায়তায় কতটা বদলাবে অবস্থা?
একসময় পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় ‘শেষ ভরসা’ হিসেবে বিবেচিত ছিল রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন (আইসিবি)। কিন্তু এখন প্রতিষ্ঠানটি নিজেই গভীর আর্থিক সংকটে। এতটাই যে, টিকে থাকার জন্য সরকারের ১ হাজার কোটি টাকার সুদযুক্ত বিশেষ ঋণের প্রয়োজন হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে দীর্ঘমেয়াদি ধস, অতিরিক্ত ঋণ নির্ভরতা এবং অতিমূল্যায়িত শেয়ারে বিনিয়োগ—এই তিন কারণেই আইসিবির ঘাড়ে বিপুল লোকসানের বোঝা জমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা লোকসান করেছে—যা আইসিবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই নতুন লোকসান ১৫১ কোটি।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, আইসিবির পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারগুলোর আনরিয়ালাইজড লস এখন ৫ হাজার কোটি টাকা। পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন না থামায় ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
এ অবস্থায় সরকার ৫ শতাংশ সুদে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ দিয়েছে। তবে এটি ‘বেইলআউট’ নয়, বরং কঠোর শর্তযুক্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। অর্থটি শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বাজার-স্থিতিশীলতা কার্যক্রমে ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না।
শর্তগুলো কঠোর—
-
১০ বছরে ঋণ পরিশোধ, ১ বছর গ্রেস
-
ব্যয়ের নিরীক্ষা রিপোর্ট ৩ মাসের মধ্যে
-
পূর্বের সব বকেয়া আগে পরিশোধ
-
সরকারি বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ
-
নিরীক্ষিত হিসাবের সঙ্গে সমন্বয়
প্রশ্ন উঠেছে- এ সহায়তা আইসিবির আর্থিক সংকট কাটাতে কতটা কার্যকর হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের বড় ধরনের ইতিবাচক উত্থান ছাড়া কেবল ঋণ দিয়ে আইসিবি পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে—এ নিশ্চয়তা এখনই নেই।
তবে সরকারের প্রত্যাশা, পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগকারী হিসেবে আইসিবি আবারও মার্কেট–স্ট্যাবিলাইজারে পরিণত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫-১১-২০২৫ রাত ১১:৪১
একসময় পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় ‘শেষ ভরসা’ হিসেবে বিবেচিত ছিল রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন (আইসিবি)। কিন্তু এখন প্রতিষ্ঠানটি নিজেই গভীর আর্থিক সংকটে। এতটাই যে, টিকে থাকার জন্য সরকারের ১ হাজার কোটি টাকার সুদযুক্ত বিশেষ ঋণের প্রয়োজন হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে দীর্ঘমেয়াদি ধস, অতিরিক্ত ঋণ নির্ভরতা এবং অতিমূল্যায়িত শেয়ারে বিনিয়োগ—এই তিন কারণেই আইসিবির ঘাড়ে বিপুল লোকসানের বোঝা জমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা লোকসান করেছে—যা আইসিবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই নতুন লোকসান ১৫১ কোটি।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, আইসিবির পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারগুলোর আনরিয়ালাইজড লস এখন ৫ হাজার কোটি টাকা। পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন না থামায় ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
এ অবস্থায় সরকার ৫ শতাংশ সুদে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ দিয়েছে। তবে এটি ‘বেইলআউট’ নয়, বরং কঠোর শর্তযুক্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। অর্থটি শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বাজার-স্থিতিশীলতা কার্যক্রমে ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না।
শর্তগুলো কঠোর—
-
১০ বছরে ঋণ পরিশোধ, ১ বছর গ্রেস
-
ব্যয়ের নিরীক্ষা রিপোর্ট ৩ মাসের মধ্যে
-
পূর্বের সব বকেয়া আগে পরিশোধ
-
সরকারি বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ
-
নিরীক্ষিত হিসাবের সঙ্গে সমন্বয়
প্রশ্ন উঠেছে- এ সহায়তা আইসিবির আর্থিক সংকট কাটাতে কতটা কার্যকর হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের বড় ধরনের ইতিবাচক উত্থান ছাড়া কেবল ঋণ দিয়ে আইসিবি পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে—এ নিশ্চয়তা এখনই নেই।
তবে সরকারের প্রত্যাশা, পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগকারী হিসেবে আইসিবি আবারও মার্কেট–স্ট্যাবিলাইজারে পরিণত হবে।