‘শর্ট সার্কিটের আগুন’—কেন এত দ্রুত ছড়াল? তদন্তে যে পাঁচটি কারণ উঠে এসেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫-১১-২০২৫ রাত ১১:২৬
‘শর্ট সার্কিটের আগুন’—কেন এত দ্রুত ছড়াল? তদন্তে যে পাঁচটি কারণ উঠে এসেছে
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অক্টোবরের ভয়াবহ আগুন—যা প্রায় ২৭ ঘণ্টা ধরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল—নিয়ে প্রথম থেকেই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। এটি কি নাশকতা? নাকি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা? মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি জানাল, আগুনের মূল কারণ ছিল বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট। তবে শুধু শর্ট সার্কিট নয়—আরও কয়েকটি কারণ আগুনকে ভয়াবহ রূপ দিয়েছে বলে বিশ্লেষণে দেখা গেছে।
১. কুরিয়ার পণ্যের দাহ্য উপাদান
কুরিয়ার সার্ভিসের পণ্যের স্তূপে প্লাস্টিক, কার্টন, কেমিক্যালজাত দ্রব্যসহ নানা দাহ্য বস্তু ছিল। আগুন লেগে সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
২. লোহার খাঁচায় ‘হিট ট্র্যাপ’
কার্গো ভিলেজের কুরিয়ার জোনে ছোট ছোট লোহার খাঁচা ছিল, যা তাপ আটকে রেখে আগুন নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তোলে। ফায়ার সার্ভিসকে ধাতব খাঁচা ভেঙে প্রবেশ করতে হয়েছে।
৩. অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা
বৃহৎ পরিমাণ দাহ্য পণ্যের কেন্দ্রে আগুন প্রথমিক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় অটোমেটেড ব্যবস্থা ছিল না। ফলে শুরুতেই আগুন বিস্তারের সুযোগ পায়।
৪. ব্যস্ত এলাকা, ধোঁয়ার ঘনত্ব
কার্গো ভিলেজের ভেতরে বহু কনটেইনার, খাঁচা ও পথঘাট সরু হওয়ায় ধোঁয়া দ্রুত জমে যায় এবং উদ্ধারকাজে অন্তরায় সৃষ্টি হয়।
৫. দীর্ঘস্থায়ী দাহন
দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় লুকায়িত আগুন (hidden fire) তৈরি হয়, যা নিভে গিয়েও আবার জ্বলে ওঠে—ফলে সময় লেগে যায় ২৭ ঘণ্টা।
যদিও তদন্ত কমিটি ষড়যন্ত্র বা নাশকতার কোনো প্রমাণ পায়নি, তবে কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তা জোরদার, বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ওপর জোর দেওয়ার সুপারিশ দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫-১১-২০২৫ রাত ১১:২৬
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অক্টোবরের ভয়াবহ আগুন—যা প্রায় ২৭ ঘণ্টা ধরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল—নিয়ে প্রথম থেকেই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। এটি কি নাশকতা? নাকি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা? মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি জানাল, আগুনের মূল কারণ ছিল বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট। তবে শুধু শর্ট সার্কিট নয়—আরও কয়েকটি কারণ আগুনকে ভয়াবহ রূপ দিয়েছে বলে বিশ্লেষণে দেখা গেছে।
১. কুরিয়ার পণ্যের দাহ্য উপাদান
কুরিয়ার সার্ভিসের পণ্যের স্তূপে প্লাস্টিক, কার্টন, কেমিক্যালজাত দ্রব্যসহ নানা দাহ্য বস্তু ছিল। আগুন লেগে সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
২. লোহার খাঁচায় ‘হিট ট্র্যাপ’
কার্গো ভিলেজের কুরিয়ার জোনে ছোট ছোট লোহার খাঁচা ছিল, যা তাপ আটকে রেখে আগুন নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তোলে। ফায়ার সার্ভিসকে ধাতব খাঁচা ভেঙে প্রবেশ করতে হয়েছে।
৩. অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা
বৃহৎ পরিমাণ দাহ্য পণ্যের কেন্দ্রে আগুন প্রথমিক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় অটোমেটেড ব্যবস্থা ছিল না। ফলে শুরুতেই আগুন বিস্তারের সুযোগ পায়।
৪. ব্যস্ত এলাকা, ধোঁয়ার ঘনত্ব
কার্গো ভিলেজের ভেতরে বহু কনটেইনার, খাঁচা ও পথঘাট সরু হওয়ায় ধোঁয়া দ্রুত জমে যায় এবং উদ্ধারকাজে অন্তরায় সৃষ্টি হয়।
৫. দীর্ঘস্থায়ী দাহন
দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় লুকায়িত আগুন (hidden fire) তৈরি হয়, যা নিভে গিয়েও আবার জ্বলে ওঠে—ফলে সময় লেগে যায় ২৭ ঘণ্টা।
যদিও তদন্ত কমিটি ষড়যন্ত্র বা নাশকতার কোনো প্রমাণ পায়নি, তবে কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তা জোরদার, বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ওপর জোর দেওয়ার সুপারিশ দিয়েছে।