ওয়ালটন–মার্সেলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক ‘ডিলার মানববন্ধন’ ভুয়া ব্যানার, অজ্ঞ অংশগ্রহণকারী ও আত্মসাৎকারীদের নতুন চক্রের মুখোশ উন্মোচন
শহিদুল ইসলাম খোকন
২৫-১১-২০২৫ বিকাল ৬:৯
ওয়ালটন–মার্সেলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক ‘ডিলার মানববন্ধন’ ভুয়া ব্যানার, অজ্ঞ অংশগ্রহণকারী ও আত্মসাৎকারীদের নতুন চক্রের মুখোশ উন্মোচন
একমাত্র দেশীয় ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন–মার্সেল–এর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে সুনাম ক্ষুন্ন করতে “ওয়ালটন ও মার্সেল ক্ষতিগ্রস্ত ডিলার ঐক্য পরিষদ, বাইপাল–আশুলিয়া, ঢাকা” নামের অ-নিবন্ধিত ও অপ্রমাণিত একটি ব্যানার ব্যবহার করে বুধবার জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়—সেখানে গিয়ে দেখা যায় অভিযোগ, পরিচয় ও উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য সবই প্রশ্নবিদ্ধ।
ভুয়া পরিচয় ও অজ্ঞ অংশগ্রহণকারীদের ভিড়
মানববন্ধনে অংশ নিতে আসা একাধিক ব্যক্তিকে যখন এই প্রতিবেদক ডিলার কোড, শোরুম তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন—তারা কেউই কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা—
এক ব্যক্তি প্রথমে নিজেকে ওয়ালটনের ডিলার দাবি করলেও পরবর্তীতে জানান তিনি কেবল একটি শোরুমের কর্মচারী।
আরেকজন বলেন তিনি “মিনিস্টার কোম্পানির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে এসেছেন”, কিন্তু কেন ওয়ালটন–মার্সেল ব্যানারে দাঁড়ানো—তারও কোনো সদুত্তর নেই।
একজন নিজেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ওয়ালটনের ডিলার পরিচয় দিয়ে দাবি করেন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন; মামলার কপি চাইলে তিনি কোনো নথি দেখাতে ব্যর্থ হন এবং পরবর্তীতে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন।
তিনজন অংশগ্রহণকারী নিজেদের ডিলার পরিচয় দিলেও কেউই ডিলার কোড বলতে পারেননি, যা একপর্যায়ে পুরো আয়োজনের ভুয়ামি প্রকাশ করে।
এতে স্পষ্ট হয়, মানববন্ধনটি কোনো বাস্তব ডিলারদের দাবি নয়, বরং একটি পরিকল্পিত বিভ্রান্তিমূলক আয়োজন।
*অভ্যন্তরীণ সূত্র*: বাকিতে পণ্য নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে এখন উল্টো কোম্পানিকে দোষারোপ
ওয়ালটন–মার্সেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানির কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়ে সেই অর্থ পরিশোধ না করেই বারবার নতুন করে পণ্য দাবি করছিলো। মানবিক দিক বিবেচনা করে কোম্পানি তাদেরকে পুনরায় পণ্য দিলেও:
তারা দ্বিতীয় দফার বাকি অর্থও ফেরত দেয়নি
বরং নতুন করে একই দাবি তুলতে শুরু করেছে
যখন কোম্পানি আইনানুগ প্রক্রিয়ায় পাওনা ফেরত চাইছে—তখনই এই চক্র ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে ভুয়া মানববন্ধনের আয়োজন করে
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এটিকে দেশের বৃহৎ স্থানীয় শিল্পকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
*বিশেষজ্ঞ মতামত*: দেশীয় শিল্পকে দুর্বল করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাতীয় অর্থনীতি
বিশেষজ্ঞরা ঘটনাটিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছেন।
*অর্থনীতিবিদ ও শিল্প বিশ্লেষকরা বলেন—*
১.পরিকল্পিত অপতৎপরতা দেশীয় ব্র্যান্ডকে বিদেশে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে
বাংলাদেশের একমাত্র বড় ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন–মার্সেল দেশের সুনাম বহির্বিশ্বে সমুন্নত রাখছে।
এর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সুবিধা করে দিতে পারে।
২.ডিলার কোডবিহীন মানববন্ধনকে কেউই
বৈধ দাবি হিসেবে দেখছে না
(ডিলার কোড) চুক্তি নথি বা লেনদেন–সংক্রান্ত কোনো কাগজ ছাড়া ডিলার দাবি করা আইনিভাবে প্রতারণার শামিল।)
৩.বিশেষজ্ঞদের মতে-
ভুয়া ব্যানার ব্যবহার ও ভাড়াটে অংশগ্রহণকারী, মিথ্যা অভিযোগ ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য—এসবই অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড।
*জাতীয় স্বার্থে দেশীয় শিল্পকে রক্ষার দাবিতে জনমত:*
*দেশের মানুষ যেখানে প্রতিদিন কর্মহীন হচ্ছে, সেখানে একটি প্রতিষ্ঠান লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চলতে পারে না। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
*ওয়ালটন–মার্সেল বাংলাদেশে:*
প্রায় ৩০–৪০ হাজার সরাসরি চাকরি
লক্ষাধিক পরোক্ষ কর্মসংস্থান
রপ্তানির মাধ্যমে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন
ইলেকট্রনিক্স খাতকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি-নির্ভর পর্যায়ে উন্নীত করেছে
এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ভুয়া দাবিদাওয়া ও অপপ্রচার—অনেকের মতে দেশের অর্থনীতির জন্য হুমকি।
*আইনজ্ঞরা মনে করেন:*
ওয়ালটন–মার্সেলের মতো শিল্প প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত বিভ্রান্তির চক্রকে শাস্তি না দিলে ভবিষ্যতে দেশীয় উৎপাদন খাত বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়বে।
*শেষকথা:*
২৫ নভেম্বরের মানববন্ধনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে—
এটি কোনো প্রকৃত ডিলারের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নয়; বরং আত্মসাৎকারী চক্রের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর অপচেষ্টা।
ভাড়াটিয়া কর্মী, ভুয়া ব্যানার, ভুল তথ্য ও প্রশ্নের জবাবহীনতা—সবকিছু মিলিয়ে পুরো আয়োজনটি দেশের সবচেয়ে সফল দেশীয় ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের এক জঘন্য উদাহরণ।
*দেশীয় শিল্প রক্ষায় অবিলম্বে তদন্ত করে এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।*
শহিদুল ইসলাম খোকন
২৫-১১-২০২৫ বিকাল ৬:৯
একমাত্র দেশীয় ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন–মার্সেল–এর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে সুনাম ক্ষুন্ন করতে “ওয়ালটন ও মার্সেল ক্ষতিগ্রস্ত ডিলার ঐক্য পরিষদ, বাইপাল–আশুলিয়া, ঢাকা” নামের অ-নিবন্ধিত ও অপ্রমাণিত একটি ব্যানার ব্যবহার করে বুধবার জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়—সেখানে গিয়ে দেখা যায় অভিযোগ, পরিচয় ও উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য সবই প্রশ্নবিদ্ধ।
ভুয়া পরিচয় ও অজ্ঞ অংশগ্রহণকারীদের ভিড়
মানববন্ধনে অংশ নিতে আসা একাধিক ব্যক্তিকে যখন এই প্রতিবেদক ডিলার কোড, শোরুম তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন—তারা কেউই কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা—
এক ব্যক্তি প্রথমে নিজেকে ওয়ালটনের ডিলার দাবি করলেও পরবর্তীতে জানান তিনি কেবল একটি শোরুমের কর্মচারী।
আরেকজন বলেন তিনি “মিনিস্টার কোম্পানির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে এসেছেন”, কিন্তু কেন ওয়ালটন–মার্সেল ব্যানারে দাঁড়ানো—তারও কোনো সদুত্তর নেই।
একজন নিজেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ওয়ালটনের ডিলার পরিচয় দিয়ে দাবি করেন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন; মামলার কপি চাইলে তিনি কোনো নথি দেখাতে ব্যর্থ হন এবং পরবর্তীতে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন।
তিনজন অংশগ্রহণকারী নিজেদের ডিলার পরিচয় দিলেও কেউই ডিলার কোড বলতে পারেননি, যা একপর্যায়ে পুরো আয়োজনের ভুয়ামি প্রকাশ করে।
এতে স্পষ্ট হয়, মানববন্ধনটি কোনো বাস্তব ডিলারদের দাবি নয়, বরং একটি পরিকল্পিত বিভ্রান্তিমূলক আয়োজন।
*অভ্যন্তরীণ সূত্র*: বাকিতে পণ্য নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে এখন উল্টো কোম্পানিকে দোষারোপ
ওয়ালটন–মার্সেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানির কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়ে সেই অর্থ পরিশোধ না করেই বারবার নতুন করে পণ্য দাবি করছিলো। মানবিক দিক বিবেচনা করে কোম্পানি তাদেরকে পুনরায় পণ্য দিলেও:
তারা দ্বিতীয় দফার বাকি অর্থও ফেরত দেয়নি
বরং নতুন করে একই দাবি তুলতে শুরু করেছে
যখন কোম্পানি আইনানুগ প্রক্রিয়ায় পাওনা ফেরত চাইছে—তখনই এই চক্র ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে ভুয়া মানববন্ধনের আয়োজন করে
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এটিকে দেশের বৃহৎ স্থানীয় শিল্পকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
*বিশেষজ্ঞ মতামত*: দেশীয় শিল্পকে দুর্বল করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাতীয় অর্থনীতি
বিশেষজ্ঞরা ঘটনাটিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছেন।
*অর্থনীতিবিদ ও শিল্প বিশ্লেষকরা বলেন—*
১.পরিকল্পিত অপতৎপরতা দেশীয় ব্র্যান্ডকে বিদেশে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে
বাংলাদেশের একমাত্র বড় ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন–মার্সেল দেশের সুনাম বহির্বিশ্বে সমুন্নত রাখছে।
এর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সুবিধা করে দিতে পারে।
২.ডিলার কোডবিহীন মানববন্ধনকে কেউই
বৈধ দাবি হিসেবে দেখছে না
(ডিলার কোড) চুক্তি নথি বা লেনদেন–সংক্রান্ত কোনো কাগজ ছাড়া ডিলার দাবি করা আইনিভাবে প্রতারণার শামিল।)
৩.বিশেষজ্ঞদের মতে-
ভুয়া ব্যানার ব্যবহার ও ভাড়াটে অংশগ্রহণকারী, মিথ্যা অভিযোগ ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য—এসবই অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড।
*জাতীয় স্বার্থে দেশীয় শিল্পকে রক্ষার দাবিতে জনমত:*
*দেশের মানুষ যেখানে প্রতিদিন কর্মহীন হচ্ছে, সেখানে একটি প্রতিষ্ঠান লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চলতে পারে না। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
*ওয়ালটন–মার্সেল বাংলাদেশে:*
প্রায় ৩০–৪০ হাজার সরাসরি চাকরি
লক্ষাধিক পরোক্ষ কর্মসংস্থান
রপ্তানির মাধ্যমে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন
ইলেকট্রনিক্স খাতকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি-নির্ভর পর্যায়ে উন্নীত করেছে
এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ভুয়া দাবিদাওয়া ও অপপ্রচার—অনেকের মতে দেশের অর্থনীতির জন্য হুমকি।
*আইনজ্ঞরা মনে করেন:*
ওয়ালটন–মার্সেলের মতো শিল্প প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত বিভ্রান্তির চক্রকে শাস্তি না দিলে ভবিষ্যতে দেশীয় উৎপাদন খাত বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়বে।
*শেষকথা:*
২৫ নভেম্বরের মানববন্ধনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে—
এটি কোনো প্রকৃত ডিলারের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নয়; বরং আত্মসাৎকারী চক্রের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর অপচেষ্টা।
ভাড়াটিয়া কর্মী, ভুয়া ব্যানার, ভুল তথ্য ও প্রশ্নের জবাবহীনতা—সবকিছু মিলিয়ে পুরো আয়োজনটি দেশের সবচেয়ে সফল দেশীয় ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের এক জঘন্য উদাহরণ।
*দেশীয় শিল্প রক্ষায় অবিলম্বে তদন্ত করে এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।*