মুশফিকের শততম টেস্ট: ‘ব্যাগি গ্রিন’–ই তাঁর সঙ্গী, সেঞ্চুরি উৎসর্গ দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে
স্পোর্টস ডেস্ক
২০-১১-২০২৫ রাত ১১:৫০
মুশফিকের শততম টেস্ট: ‘ব্যাগি গ্রিন’–ই তাঁর সঙ্গী, সেঞ্চুরি উৎসর্গ দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে
ইংল্যান্ডে ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলা শুরু। দুই দশক পর ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছেন ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট—বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল অর্জন। আর সেই মাইলফলক ম্যাচেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে আবারও নিজেকে প্রমাণ করলেন ৩৮ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাগি গ্রিন ক্যাপই মুশফিকের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কিছুদিন আগেই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরনো হয়ে যাওয়া ক্যাপটির ছবি পোস্ট করেছিলেন। রং চটে যাওয়া, সুতা খসে পড়া সেই ক্যাপ নিয়ে ক্যাপশনে লিখেছিলেন— “সকল উত্থান-পতনের সঙ্গী...”।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে শততম ম্যাচে প্রথম ইনিংসের ১০৬ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক বললেন, এই ক্যাপটাই তাঁর আবেগ, তাঁর ক্রিকেট–যাত্রার প্রতীক।
মুশফিক বলেন,
“আমি মনে করি টেস্ট আল্টিমেট ফরম্যাট। টেস্টে ব্যাগি গ্রিনের মর্যাদা বলে বোঝানো যাবে না। আমি এমন কোনো টেস্ট নেই যেখানে ক্যাপ ছাড়া ফিল্ডিং করি। ক্যাপটা ফিল্ডিং করতে করতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। আশা করি, আমৃত্যু আমি এটা রাখতে পারবো।”
শততম টেস্টে করা সেঞ্চুরিটি তিনি উৎসর্গ করেছেন তাঁর দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে—যারা ছিলেন তাঁর জীবনের প্রথম সমর্থক, প্রথম প্রেরণা।
মুশফিক আবেগভরে বলেন,
“তারা আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান ছিলেন। বলতেন— তোমার খেলা দেখার জন্য আরেকটু বাঁচতে চাই। তাদের প্রার্থনায় আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি। জীবনে আরও অনেক বিশেষ মানুষ আছেন, তবে এই সেঞ্চুরিটি আমি উৎসর্গ করছি তাদের চারজনকে।”
বাংলাদেশ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে মুশফিক টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি জানালেন তাঁর শততম টেস্টে বুকে চাপা আবেগের গল্প শোনাতে শোনাতে।
স্পোর্টস ডেস্ক
২০-১১-২০২৫ রাত ১১:৫০
ইংল্যান্ডে ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলা শুরু। দুই দশক পর ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছেন ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট—বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল অর্জন। আর সেই মাইলফলক ম্যাচেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে আবারও নিজেকে প্রমাণ করলেন ৩৮ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাগি গ্রিন ক্যাপই মুশফিকের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কিছুদিন আগেই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরনো হয়ে যাওয়া ক্যাপটির ছবি পোস্ট করেছিলেন। রং চটে যাওয়া, সুতা খসে পড়া সেই ক্যাপ নিয়ে ক্যাপশনে লিখেছিলেন— “সকল উত্থান-পতনের সঙ্গী...”।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে শততম ম্যাচে প্রথম ইনিংসের ১০৬ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক বললেন, এই ক্যাপটাই তাঁর আবেগ, তাঁর ক্রিকেট–যাত্রার প্রতীক।
মুশফিক বলেন,
“আমি মনে করি টেস্ট আল্টিমেট ফরম্যাট। টেস্টে ব্যাগি গ্রিনের মর্যাদা বলে বোঝানো যাবে না। আমি এমন কোনো টেস্ট নেই যেখানে ক্যাপ ছাড়া ফিল্ডিং করি। ক্যাপটা ফিল্ডিং করতে করতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। আশা করি, আমৃত্যু আমি এটা রাখতে পারবো।”
শততম টেস্টে করা সেঞ্চুরিটি তিনি উৎসর্গ করেছেন তাঁর দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে—যারা ছিলেন তাঁর জীবনের প্রথম সমর্থক, প্রথম প্রেরণা।
মুশফিক আবেগভরে বলেন,
“তারা আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান ছিলেন। বলতেন— তোমার খেলা দেখার জন্য আরেকটু বাঁচতে চাই। তাদের প্রার্থনায় আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি। জীবনে আরও অনেক বিশেষ মানুষ আছেন, তবে এই সেঞ্চুরিটি আমি উৎসর্গ করছি তাদের চারজনকে।”
বাংলাদেশ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে মুশফিক টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি জানালেন তাঁর শততম টেস্টে বুকে চাপা আবেগের গল্প শোনাতে শোনাতে।