শিরোনামঃ
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নার্সদের মহাসমাবেশ, তোপখানায় তীব্র যানজট টানা ভূকম্পন: রাজধানী–সংলগ্ন স্থানে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কি বাড়ছে? মুশফিকের শততম টেস্ট: ‘ব্যাগি গ্রিন’–ই তাঁর সঙ্গী, সেঞ্চুরি উৎসর্গ দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা, বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশা দুদকে সাকিব: শুভেচ্ছাদূত থেকে অভিযুক্ত-কোথায় দাঁড়িয়ে মামলার তদন্ত? এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে আবাবিল এনজি কোর ব্যাংকিং সিস্টেম এর প্রশিক্ষণ উদ্বোধন বাংলাদেশের প্রথম আন্ত: চেইন হোটেল ডি'মোর লয়্যালটি ক্লাবের যাত্রা শুরু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ‘মব ভায়োলেন্স’ ত্যাগের আহ্বান মির্জা ফখরুলের আদানি চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত চলছে

মুশফিকের শততম টেস্ট: ‘ব্যাগি গ্রিন’–ই তাঁর সঙ্গী, সেঞ্চুরি উৎসর্গ দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে

#
news image

ইংল্যান্ডে ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলা শুরু। দুই দশক পর ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছেন ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট—বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল অর্জন। আর সেই মাইলফলক ম্যাচেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে আবারও নিজেকে প্রমাণ করলেন ৩৮ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাগি গ্রিন ক্যাপই মুশফিকের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কিছুদিন আগেই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরনো হয়ে যাওয়া ক্যাপটির ছবি পোস্ট করেছিলেন। রং চটে যাওয়া, সুতা খসে পড়া সেই ক্যাপ নিয়ে ক্যাপশনে লিখেছিলেন— “সকল উত্থান-পতনের সঙ্গী...”।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে শততম ম্যাচে প্রথম ইনিংসের ১০৬ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক বললেন, এই ক্যাপটাই তাঁর আবেগ, তাঁর ক্রিকেট–যাত্রার প্রতীক।
মুশফিক বলেন,
“আমি মনে করি টেস্ট আল্টিমেট ফরম্যাট। টেস্টে ব্যাগি গ্রিনের মর্যাদা বলে বোঝানো যাবে না। আমি এমন কোনো টেস্ট নেই যেখানে ক্যাপ ছাড়া ফিল্ডিং করি। ক্যাপটা ফিল্ডিং করতে করতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। আশা করি, আমৃত্যু আমি এটা রাখতে পারবো।”
শততম টেস্টে করা সেঞ্চুরিটি তিনি উৎসর্গ করেছেন তাঁর দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে—যারা ছিলেন তাঁর জীবনের প্রথম সমর্থক, প্রথম প্রেরণা।
মুশফিক আবেগভরে বলেন,
“তারা আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান ছিলেন। বলতেন— তোমার খেলা দেখার জন্য আরেকটু বাঁচতে চাই। তাদের প্রার্থনায় আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি। জীবনে আরও অনেক বিশেষ মানুষ আছেন, তবে এই সেঞ্চুরিটি আমি উৎসর্গ করছি তাদের চারজনকে।”
বাংলাদেশ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে মুশফিক টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি জানালেন তাঁর শততম টেস্টে বুকে চাপা আবেগের গল্প শোনাতে শোনাতে।

স্পোর্টস ডেস্ক

২০-১১-২০২৫ রাত ১১:৫০

news image

ইংল্যান্ডে ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলা শুরু। দুই দশক পর ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছেন ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট—বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল অর্জন। আর সেই মাইলফলক ম্যাচেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে আবারও নিজেকে প্রমাণ করলেন ৩৮ বছর বয়সী মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাগি গ্রিন ক্যাপই মুশফিকের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কিছুদিন আগেই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরনো হয়ে যাওয়া ক্যাপটির ছবি পোস্ট করেছিলেন। রং চটে যাওয়া, সুতা খসে পড়া সেই ক্যাপ নিয়ে ক্যাপশনে লিখেছিলেন— “সকল উত্থান-পতনের সঙ্গী...”।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে শততম ম্যাচে প্রথম ইনিংসের ১০৬ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক বললেন, এই ক্যাপটাই তাঁর আবেগ, তাঁর ক্রিকেট–যাত্রার প্রতীক।
মুশফিক বলেন,
“আমি মনে করি টেস্ট আল্টিমেট ফরম্যাট। টেস্টে ব্যাগি গ্রিনের মর্যাদা বলে বোঝানো যাবে না। আমি এমন কোনো টেস্ট নেই যেখানে ক্যাপ ছাড়া ফিল্ডিং করি। ক্যাপটা ফিল্ডিং করতে করতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। আশা করি, আমৃত্যু আমি এটা রাখতে পারবো।”
শততম টেস্টে করা সেঞ্চুরিটি তিনি উৎসর্গ করেছেন তাঁর দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে—যারা ছিলেন তাঁর জীবনের প্রথম সমর্থক, প্রথম প্রেরণা।
মুশফিক আবেগভরে বলেন,
“তারা আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান ছিলেন। বলতেন— তোমার খেলা দেখার জন্য আরেকটু বাঁচতে চাই। তাদের প্রার্থনায় আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি। জীবনে আরও অনেক বিশেষ মানুষ আছেন, তবে এই সেঞ্চুরিটি আমি উৎসর্গ করছি তাদের চারজনকে।”
বাংলাদেশ দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে মুশফিক টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি জানালেন তাঁর শততম টেস্টে বুকে চাপা আবেগের গল্প শোনাতে শোনাতে।