সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের রাজত্ব: এল ক্লাসিকোতে বার্সাকে উড়িয়ে দিল আলোনসোর দল
স্পোর্টস ডেস্ক
২৭-১০-২০২৫ রাত ১২:১৪
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের রাজত্ব: এল ক্লাসিকোতে বার্সাকে উড়িয়ে দিল আলোনসোর দল
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর আলোয় যখন এল ক্লাসিকোর মঞ্চে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল মুখোমুখি, তখন প্রত্যাশা ছিল হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার আধিপত্য বজায় রাখার।
কিন্তু বাস্তবে হলো তার উল্টো—জাবি আলোনসোর রিয়াল মাদ্রিদ দেখাল পুনর্জাগরণের এক নিখুঁত চিত্র। ছন্দ, শৃঙ্খলা ও ক্ষুধার মিশেলে তারা যেন নিজেদের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনল।
প্রথমার্ধেই ম্যাচের গতি নির্ধারণ করে দেয় রিয়াল। শুরুতেই ভিনিসিয়ুসের বিতর্কিত পেনাল্টি দাবি ভিএআরে বাতিল হলেও আক্রমণ থামেনি। গুলের পাস থেকে এমবাপ্পের এক নিখুঁত ফিনিশে জাল কাঁপে বার্সার, যদিও প্রথমটি অফসাইডে বাতিল হয়। পরে বেলিংহ্যামের নিখুঁত ক্রসে ফরাসি তারকা গোল করলে এগিয়ে যায় মাদ্রিদ।
বার্সা বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে কার্যকর ছিল না। বিপরীতে, বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়ুস ও হুইজেনের সমন্বয়ে মাদ্রিদের ফুটবলে ছিল গতি ও শৃঙ্খলার দারুণ মিশ্রণ। বার্সাকে প্রথমার্ধে ভরসা জুগিয়েছেন কেবল গোলরক্ষক সেজনি—একের পর এক সেভে দলকে বাঁচিয়ে রাখেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ফিরে আসে বার্সা। পেদ্রির দারুণ চেষ্টায় ফার্মিনের গোলে সমতায় ফেরে দল। কিন্তু আনন্দটা স্থায়ী হয়নি। মিনিট পাঁচেক পরই ভিনিসিয়ুসের ক্রস থেকে মিলিতাওয়ের হেডে বেলিংহ্যামের ট্যাপে আবারও এগিয়ে যায় রিয়াল।
এরপর এরিক গার্সিয়ার হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় মাদ্রিদ, কিন্তু সেজনি এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন। শেষ দিকে ইয়ামাল ও আরাউহোকে আক্রমণে পাঠিয়ে ফ্লিক শেষ চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত গোল আসেনি।
শেষ বাঁশির আগে মাঠে ধস্তাধস্তি ও উত্তেজনায় রঙিন হয়ে ওঠে ক্লাসিকো। ম্যাচ শেষে স্পষ্ট—এই জয় শুধু স্কোরবোর্ডের নয়, মানসিক প্রভাবেরও। পাঁচ পয়েন্ট ব্যবধানে এখন লা লিগার শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে, বার্সেলোনার জন্য এটি কঠিন সতর্কবার্তা—বল দখল নয়, কার্যকারিতাই এখন শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি।
স্পোর্টস ডেস্ক
২৭-১০-২০২৫ রাত ১২:১৪
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর আলোয় যখন এল ক্লাসিকোর মঞ্চে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল মুখোমুখি, তখন প্রত্যাশা ছিল হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার আধিপত্য বজায় রাখার।
কিন্তু বাস্তবে হলো তার উল্টো—জাবি আলোনসোর রিয়াল মাদ্রিদ দেখাল পুনর্জাগরণের এক নিখুঁত চিত্র। ছন্দ, শৃঙ্খলা ও ক্ষুধার মিশেলে তারা যেন নিজেদের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনল।
প্রথমার্ধেই ম্যাচের গতি নির্ধারণ করে দেয় রিয়াল। শুরুতেই ভিনিসিয়ুসের বিতর্কিত পেনাল্টি দাবি ভিএআরে বাতিল হলেও আক্রমণ থামেনি। গুলের পাস থেকে এমবাপ্পের এক নিখুঁত ফিনিশে জাল কাঁপে বার্সার, যদিও প্রথমটি অফসাইডে বাতিল হয়। পরে বেলিংহ্যামের নিখুঁত ক্রসে ফরাসি তারকা গোল করলে এগিয়ে যায় মাদ্রিদ।
বার্সা বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে কার্যকর ছিল না। বিপরীতে, বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়ুস ও হুইজেনের সমন্বয়ে মাদ্রিদের ফুটবলে ছিল গতি ও শৃঙ্খলার দারুণ মিশ্রণ। বার্সাকে প্রথমার্ধে ভরসা জুগিয়েছেন কেবল গোলরক্ষক সেজনি—একের পর এক সেভে দলকে বাঁচিয়ে রাখেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ফিরে আসে বার্সা। পেদ্রির দারুণ চেষ্টায় ফার্মিনের গোলে সমতায় ফেরে দল। কিন্তু আনন্দটা স্থায়ী হয়নি। মিনিট পাঁচেক পরই ভিনিসিয়ুসের ক্রস থেকে মিলিতাওয়ের হেডে বেলিংহ্যামের ট্যাপে আবারও এগিয়ে যায় রিয়াল।
এরপর এরিক গার্সিয়ার হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় মাদ্রিদ, কিন্তু সেজনি এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন। শেষ দিকে ইয়ামাল ও আরাউহোকে আক্রমণে পাঠিয়ে ফ্লিক শেষ চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত গোল আসেনি।
শেষ বাঁশির আগে মাঠে ধস্তাধস্তি ও উত্তেজনায় রঙিন হয়ে ওঠে ক্লাসিকো। ম্যাচ শেষে স্পষ্ট—এই জয় শুধু স্কোরবোর্ডের নয়, মানসিক প্রভাবেরও। পাঁচ পয়েন্ট ব্যবধানে এখন লা লিগার শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে, বার্সেলোনার জন্য এটি কঠিন সতর্কবার্তা—বল দখল নয়, কার্যকারিতাই এখন শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি।