উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন: তিন দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে জটিলতা বাড়ছে
ডেস্ক রিপোর্ট
২৪-১০-২০২৫ রাত ১২:২
উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন: তিন দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে জটিলতা বাড়ছে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের তিন প্রধান শক্তি—বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—প্রত্যেকে দাবি করছে, কিছু উপদেষ্টা নিরপেক্ষ নন এবং বিশেষ কোনো দলের পক্ষে কাজ করছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে এই তিন দলই নিজেদের অভিযোগ তুলে ধরে।
বিএনপি তাদের বৈঠকে নির্দিষ্ট কয়েকজন উপদেষ্টার নামও উল্লেখ করেছে। দলের অভিযোগ—প্রশাসন ও পুলিশে বদলি-পদায়নে জামায়াতপন্থী উপদেষ্টারা প্রভাব খাটাচ্ছেন। নাম এসেছে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীও অভিযোগ তুলেছে বিএনপিপন্থী উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে। তবে তারা এখনই কারও নাম প্রকাশ করেনি। নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “সরকারকে আমরা শুধু সতর্ক করেছি, প্রয়োজনে নাম প্রকাশ করব।”
জামায়াতের ভেতরের সূত্রগুলো জানায়, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজনের ভূমিকা নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে।
এনসিপি বলছে, প্রশাসনের পদায়নে বড় দলগুলোর প্রভাব উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকেই সহায়তা পাচ্ছে। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা সরকারে নিরপেক্ষতা চাই—কোনো দলের ভাগাভাগি নয়।”
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি দলই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি নির্ধারণে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে। বিএনপি চায় সরকার তত্ত্বাবধায়ক কাঠামোর মতো আচরণ করুক, অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি নিরপেক্ষ ভূমিকার নিশ্চয়তা চায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সূত্র জানাচ্ছে—অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, উপদেষ্টাদের সংখ্যা বাড়লেও বা কমলেও নেতৃত্বে পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, “উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়—কারণ, যাকে এক দল নিরপেক্ষ মনে করছে, অন্য দল তাকেই পক্ষপাতদুষ্ট বলছে।”
ডেস্ক রিপোর্ট
২৪-১০-২০২৫ রাত ১২:২
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের তিন প্রধান শক্তি—বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—প্রত্যেকে দাবি করছে, কিছু উপদেষ্টা নিরপেক্ষ নন এবং বিশেষ কোনো দলের পক্ষে কাজ করছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে এই তিন দলই নিজেদের অভিযোগ তুলে ধরে।
বিএনপি তাদের বৈঠকে নির্দিষ্ট কয়েকজন উপদেষ্টার নামও উল্লেখ করেছে। দলের অভিযোগ—প্রশাসন ও পুলিশে বদলি-পদায়নে জামায়াতপন্থী উপদেষ্টারা প্রভাব খাটাচ্ছেন। নাম এসেছে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীও অভিযোগ তুলেছে বিএনপিপন্থী উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে। তবে তারা এখনই কারও নাম প্রকাশ করেনি। নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “সরকারকে আমরা শুধু সতর্ক করেছি, প্রয়োজনে নাম প্রকাশ করব।”
জামায়াতের ভেতরের সূত্রগুলো জানায়, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজনের ভূমিকা নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে।
এনসিপি বলছে, প্রশাসনের পদায়নে বড় দলগুলোর প্রভাব উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকেই সহায়তা পাচ্ছে। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা সরকারে নিরপেক্ষতা চাই—কোনো দলের ভাগাভাগি নয়।”
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি দলই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি নির্ধারণে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে। বিএনপি চায় সরকার তত্ত্বাবধায়ক কাঠামোর মতো আচরণ করুক, অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি নিরপেক্ষ ভূমিকার নিশ্চয়তা চায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সূত্র জানাচ্ছে—অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, উপদেষ্টাদের সংখ্যা বাড়লেও বা কমলেও নেতৃত্বে পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, “উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়—কারণ, যাকে এক দল নিরপেক্ষ মনে করছে, অন্য দল তাকেই পক্ষপাতদুষ্ট বলছে।”