ব্যাটেল অব মাইন্ডস' ২০২৪ এর বিজয়ী বিইউপি’র টিম পারডন আস, কামিং থ্রু
বিজ্ঞপ্তি
৩০-১১-২০২৪ রাত ১১:০
ব্যাটেল অব মাইন্ডস' ২০২৪ এর বিজয়ী বিইউপি’র টিম পারডন আস, কামিং থ্রু
বিজনেস কেইস প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে দেশের অগ্রণী প্ল্যাটফর্ম ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ -এর ২১তম সংস্করণের সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য সক্ষমতার বিকাশ, সীমাবদ্ধতা অতিক্রম ও সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেধাবী ও সম্ভাবনাময় তরুণদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব হিসেবে প্রস্তুত করে তোলা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বক্তব্যে তিনি তরুণদের ক্ষমতায়নের রূপান্তরমূলক শক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে তাদের অপার সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও, তিনি তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান এবং তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও নেতৃত্বকে উদ্বুদ্ধ করতে ভূমিকা রাখার জন্য ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’-এর প্রশংসা করেন।
এই বছর, অংশগ্রহণকারীরা দুটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি বেছে নিতে পেরেছে – পণ্য বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিপ্লব, উভয়ই মানবকল্যানে অবদান রাখছে। প্রতিযোগিতার এবারের আসরে বিজয়ী হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) দল পারডন আস, কামিং থ্রু। বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন: মো. নাহিয়ান হাসান, আদীবা রুকাইয়া হাসান ও রিদাহ তারান্নুম মেহমুদ। বিজয়ী দল অনন্য দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করে অন্য চারটি ফাইনালিস্ট দলকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করে। বিজয়ী দলের বিজনেস প্ল্যান ছিল কাঁঠালের স্বাদকে নতুন রূপে নিয়ে আসা জ্যাকো ন্যাচারাল জ্যাকফ্রুট চিপস। ক্লাসিক সেভরি, আচারি টুইস্ট, বিবিকিউ ডিলাইট ও গ্রিলড চিজ – সুস্বাদু এসব ফ্লেভারের স্বাস্থ্যকর সুপার-স্ন্যাকটিতে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর উপাদান, সাথে দুর্দান্ত স্বাদ।
প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার-আপ হয় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) সামিহা মাসুদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ ফসিউল আবেদীন খান ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অর্পা সাহার গঠিত দল সিডসিঙ্ক। তাদের বিজনেস প্ল্যান ছিল ওয়েলনেস ড্রিংক লাইন ‘বাবল,’ যা নারীদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় ও হরমোনের সাইকেল ঠিক রাখতে সহায়তা করার মাধ্যমে তাদের সুস্থতায় ভূমিকা রাখবে। এ ড্রিংকের তিনটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। প্রত্যেক ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান ও কার্যকর ফর্মুলেশনের চমৎকার সমন্বয়। ‘বাবল’ নারীদের সুস্থতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
দ্বিতীয় রানার আপ দল হয়েছে নিউরনস। এর সদস্যরা হলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) আবির মোহাম্মদ সাদ ও সাদিয়া আহমেদ এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ফারহান ইশতিয়াক। তাদের আইডিয়া ছিল মস্তিষ্কের কার্যক্রম বোঝার মাধ্যমে অবচেতন মনে ভোক্তাদের আচরণ বিশ্লেষণে নিউরোমার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ইইজি ও আই-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরও কার্যকরী ও ফলপ্রসূ ক্যাম্পেইন ও কমিউনিকেশন প্ল্যান এবং পণ্যের ডিজাইন করতে পারবে।
ব্যাটেল অব মাইন্ডসের ২১তম সংস্করণে ৭০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭ শ’রও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ থেকে চ্যাম্পিয়ন দলটি বৈশ্বিক পর্বে ২৫টি দেশের বিজয়ী দলের সাথে প্রতিযোগিতা করবে। বৈশ্বিক পর্বের বিজয়ীরা তাদের উপস্থাপিত ধারণা বাস্তবায়নের জন্য সিড ফান্ড হিসেবে ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পাবে।
ব্যাটেল অব মাইন্ডস প্রতিযোগিতা ২০০৪ সাল থেকে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ প্রতিযোগিতা তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা, অগ্রণী প্রযুক্তি ও দূরদর্শী সমাধানের মাধ্যমে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসার সুযোগ প্রদান করছে। ব্যাটেল অব মাইন্ডসের প্রায় ২ হাজার সদস্যের একটি সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ধারাবাহিকভাবেই এর অ্যালামনাইরা তাদের কাজের জন্য খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি পেশাগত জায়গায় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খাতে নেতৃত্ব দান করে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।
বিজ্ঞপ্তি
৩০-১১-২০২৪ রাত ১১:০
বিজনেস কেইস প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে দেশের অগ্রণী প্ল্যাটফর্ম ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ -এর ২১তম সংস্করণের সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য সক্ষমতার বিকাশ, সীমাবদ্ধতা অতিক্রম ও সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেধাবী ও সম্ভাবনাময় তরুণদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব হিসেবে প্রস্তুত করে তোলা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বক্তব্যে তিনি তরুণদের ক্ষমতায়নের রূপান্তরমূলক শক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে তাদের অপার সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও, তিনি তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান এবং তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও নেতৃত্বকে উদ্বুদ্ধ করতে ভূমিকা রাখার জন্য ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’-এর প্রশংসা করেন।
এই বছর, অংশগ্রহণকারীরা দুটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি বেছে নিতে পেরেছে – পণ্য বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিপ্লব, উভয়ই মানবকল্যানে অবদান রাখছে। প্রতিযোগিতার এবারের আসরে বিজয়ী হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) দল পারডন আস, কামিং থ্রু। বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন: মো. নাহিয়ান হাসান, আদীবা রুকাইয়া হাসান ও রিদাহ তারান্নুম মেহমুদ। বিজয়ী দল অনন্য দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করে অন্য চারটি ফাইনালিস্ট দলকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করে। বিজয়ী দলের বিজনেস প্ল্যান ছিল কাঁঠালের স্বাদকে নতুন রূপে নিয়ে আসা জ্যাকো ন্যাচারাল জ্যাকফ্রুট চিপস। ক্লাসিক সেভরি, আচারি টুইস্ট, বিবিকিউ ডিলাইট ও গ্রিলড চিজ – সুস্বাদু এসব ফ্লেভারের স্বাস্থ্যকর সুপার-স্ন্যাকটিতে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর উপাদান, সাথে দুর্দান্ত স্বাদ।
প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার-আপ হয় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) সামিহা মাসুদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ ফসিউল আবেদীন খান ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অর্পা সাহার গঠিত দল সিডসিঙ্ক। তাদের বিজনেস প্ল্যান ছিল ওয়েলনেস ড্রিংক লাইন ‘বাবল,’ যা নারীদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় ও হরমোনের সাইকেল ঠিক রাখতে সহায়তা করার মাধ্যমে তাদের সুস্থতায় ভূমিকা রাখবে। এ ড্রিংকের তিনটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। প্রত্যেক ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান ও কার্যকর ফর্মুলেশনের চমৎকার সমন্বয়। ‘বাবল’ নারীদের সুস্থতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
দ্বিতীয় রানার আপ দল হয়েছে নিউরনস। এর সদস্যরা হলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) আবির মোহাম্মদ সাদ ও সাদিয়া আহমেদ এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ফারহান ইশতিয়াক। তাদের আইডিয়া ছিল মস্তিষ্কের কার্যক্রম বোঝার মাধ্যমে অবচেতন মনে ভোক্তাদের আচরণ বিশ্লেষণে নিউরোমার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ইইজি ও আই-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরও কার্যকরী ও ফলপ্রসূ ক্যাম্পেইন ও কমিউনিকেশন প্ল্যান এবং পণ্যের ডিজাইন করতে পারবে।
ব্যাটেল অব মাইন্ডসের ২১তম সংস্করণে ৭০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭ শ’রও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ থেকে চ্যাম্পিয়ন দলটি বৈশ্বিক পর্বে ২৫টি দেশের বিজয়ী দলের সাথে প্রতিযোগিতা করবে। বৈশ্বিক পর্বের বিজয়ীরা তাদের উপস্থাপিত ধারণা বাস্তবায়নের জন্য সিড ফান্ড হিসেবে ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পাবে।
ব্যাটেল অব মাইন্ডস প্রতিযোগিতা ২০০৪ সাল থেকে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ প্রতিযোগিতা তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা, অগ্রণী প্রযুক্তি ও দূরদর্শী সমাধানের মাধ্যমে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসার সুযোগ প্রদান করছে। ব্যাটেল অব মাইন্ডসের প্রায় ২ হাজার সদস্যের একটি সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ধারাবাহিকভাবেই এর অ্যালামনাইরা তাদের কাজের জন্য খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি পেশাগত জায়গায় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খাতে নেতৃত্ব দান করে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।