শিরোনামঃ
বক্তব্য সম্পাদনা বনাম মানহানি: বিবিসির সঙ্গে ট্রাম্পের আইনি লড়াই কতটা গুরুতর? হায়দরাবাদ থেকে সিডনি: সাজিদ আকরামের উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়ার পথ ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ প্রবাসী ভোটে নতুন দিগন্ত? পোস্টাল ভোট অ্যাপে আগ্রহ বাড়ছে, তবে চ্যালেঞ্জও কম নয় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পুরান ঢাকায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  নড়িয়া সরকারি কলেজে মহান বিজয় দিবস উদযাপন কলাপাড়ায় বিজয় দিবসে শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত ব্যানার ঘিরে বিতর্ক ফুডপ্যান্ডার ‘পাউ-পাউ প্লাশি চ্যালেঞ্জ’ ক্যাম্পেইন চালু  ঢাকা, পানি ও যানজট—সমাধানের রূপরেখা দিলেন তারেক রহমান অনারের ‘বিজয়’ অফারে মিলছে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক সুবিধা ২০২৫ সালে তরুণদের পছন্দের তালিকায় ইনফিনিক্সের যেসব স্মার্টফোন

বক্তব্য সম্পাদনা বনাম মানহানি: বিবিসির সঙ্গে ট্রাম্পের আইনি লড়াই কতটা গুরুতর?

#
news image

প্যানোরামা প্রামাণ্যচিত্রে ৬ জানুয়ারির ভাষণ সম্পাদনা নিয়ে বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মামলা শুধু একটি গণমাধ্যম সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নয়, বরং সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতার প্রশ্নেও নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব এবং আমাদের সাহসী সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের উৎসাহ দেব।’ প্রায় ৫০ মিনিট পর তিনি বলেন, ‘আর আমরা লড়ব। আমরা মরিয়া হয়ে লড়ব।’

কিন্তু বিবিসির প্যানোরামা প্রামাণ্যচিত্রে ভাষণের মাঝের অংশ বাদ দিয়ে বক্তব্যটি এমনভাবে দেখানো হয়—‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব… এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আর আমরা লড়ব। আমরা মরিয়া হয়ে লড়ব।’ বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে দর্শকদের কাছে ট্রাম্পের বক্তব্য সরাসরি সহিংসতার আহ্বান হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

ট্রাম্পপক্ষের দাবি, এটি ছিল ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষমূলক বিকৃতি, যা তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। অন্যদিকে বিবিসির অবস্থান, এই সম্পাদনা মানহানির পর্যায়ে পড়ে না এবং মামলার কোনো যুক্তিসংগত আইনি ভিত্তি নেই।

বিশ্লেষকদের মতে, মামলাটি গণমাধ্যমের সম্পাদনাগত স্বাধীনতা বনাম ব্যক্তির সুনাম রক্ষার আইনি সীমারেখা নতুন করে নির্ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের করা এই মামলা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর জন্যও একটি সতর্কবার্তা হয়ে উঠতে পারে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭-১২-২০২৫ রাত ১২:১৭

news image

প্যানোরামা প্রামাণ্যচিত্রে ৬ জানুয়ারির ভাষণ সম্পাদনা নিয়ে বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মামলা শুধু একটি গণমাধ্যম সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নয়, বরং সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতার প্রশ্নেও নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব এবং আমাদের সাহসী সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের উৎসাহ দেব।’ প্রায় ৫০ মিনিট পর তিনি বলেন, ‘আর আমরা লড়ব। আমরা মরিয়া হয়ে লড়ব।’

কিন্তু বিবিসির প্যানোরামা প্রামাণ্যচিত্রে ভাষণের মাঝের অংশ বাদ দিয়ে বক্তব্যটি এমনভাবে দেখানো হয়—‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব… এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আর আমরা লড়ব। আমরা মরিয়া হয়ে লড়ব।’ বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে দর্শকদের কাছে ট্রাম্পের বক্তব্য সরাসরি সহিংসতার আহ্বান হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

ট্রাম্পপক্ষের দাবি, এটি ছিল ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষমূলক বিকৃতি, যা তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। অন্যদিকে বিবিসির অবস্থান, এই সম্পাদনা মানহানির পর্যায়ে পড়ে না এবং মামলার কোনো যুক্তিসংগত আইনি ভিত্তি নেই।

বিশ্লেষকদের মতে, মামলাটি গণমাধ্যমের সম্পাদনাগত স্বাধীনতা বনাম ব্যক্তির সুনাম রক্ষার আইনি সীমারেখা নতুন করে নির্ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের করা এই মামলা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর জন্যও একটি সতর্কবার্তা হয়ে উঠতে পারে।