হায়দরাবাদ থেকে সিডনি: সাজিদ আকরামের উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়ার পথ ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৭-১২-২০২৫ রাত ১২:১১
হায়দরাবাদ থেকে সিডনি: সাজিদ আকরামের উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়ার পথ ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকতে ভয়াবহ হামলার পর অভিযুক্ত সাজিদ আকরামের অতীত জীবন ও উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তেলেঙ্গানা পুলিশের তথ্যমতে, সাজিদ আকরাম হায়দরাবাদে শিক্ষিত এবং অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল না। ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত নারীকে বিয়ে করে ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে তাঁর উগ্রপন্থায় যুক্ত হওয়ার ঘটনাকে ‘বিদেশে বসবাসকালীন র্যাডিকালাইজেশন’ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো, হামলার আগে সাজিদ ও তাঁর ছেলে নাভিদের ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাভাও সফর। দাভাও অবস্থিত মিন্দানাও দ্বীপে, যা ১৯৯০-এর দশক থেকে বিভিন্ন ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানেই তারা সামরিক ধাঁচের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম দাবি করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একাধিক দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার, আন্তর্জাতিক যাতায়াত এবং সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিষয়টি বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকির ইঙ্গিত দেয়। সাজিদের ক্ষেত্রে ভারতীয় পাসপোর্ট এবং তাঁর ছেলের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট ব্যবহারের তথ্য বহুজাতিক নজরদারির সীমাবদ্ধতাও সামনে এনেছে।
তেলেঙ্গানা পুলিশ স্পষ্ট করেছে, সাজিদের উগ্রপন্থার সঙ্গে ভারতের কোনো প্রত্যক্ষ যোগসূত্র নেই। তবে ঘটনাটি প্রবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে উগ্রবাদ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তা আবারও তুলে ধরেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বন্ডাই সৈকতের হামলা শুধু অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইস্যু নয়; এটি দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য একটি যৌথ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা উচিত।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৭-১২-২০২৫ রাত ১২:১১
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকতে ভয়াবহ হামলার পর অভিযুক্ত সাজিদ আকরামের অতীত জীবন ও উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তেলেঙ্গানা পুলিশের তথ্যমতে, সাজিদ আকরাম হায়দরাবাদে শিক্ষিত এবং অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল না। ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত নারীকে বিয়ে করে ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে তাঁর উগ্রপন্থায় যুক্ত হওয়ার ঘটনাকে ‘বিদেশে বসবাসকালীন র্যাডিকালাইজেশন’ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো, হামলার আগে সাজিদ ও তাঁর ছেলে নাভিদের ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাভাও সফর। দাভাও অবস্থিত মিন্দানাও দ্বীপে, যা ১৯৯০-এর দশক থেকে বিভিন্ন ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানেই তারা সামরিক ধাঁচের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম দাবি করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একাধিক দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার, আন্তর্জাতিক যাতায়াত এবং সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিষয়টি বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকির ইঙ্গিত দেয়। সাজিদের ক্ষেত্রে ভারতীয় পাসপোর্ট এবং তাঁর ছেলের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট ব্যবহারের তথ্য বহুজাতিক নজরদারির সীমাবদ্ধতাও সামনে এনেছে।
তেলেঙ্গানা পুলিশ স্পষ্ট করেছে, সাজিদের উগ্রপন্থার সঙ্গে ভারতের কোনো প্রত্যক্ষ যোগসূত্র নেই। তবে ঘটনাটি প্রবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে উগ্রবাদ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তা আবারও তুলে ধরেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বন্ডাই সৈকতের হামলা শুধু অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইস্যু নয়; এটি দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য একটি যৌথ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা উচিত।