শিরোনামঃ
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নার্সদের মহাসমাবেশ, তোপখানায় তীব্র যানজট টানা ভূকম্পন: রাজধানী–সংলগ্ন স্থানে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কি বাড়ছে? মুশফিকের শততম টেস্ট: ‘ব্যাগি গ্রিন’–ই তাঁর সঙ্গী, সেঞ্চুরি উৎসর্গ দাদা-দাদী ও নানা-নানীকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা, বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশা দুদকে সাকিব: শুভেচ্ছাদূত থেকে অভিযুক্ত-কোথায় দাঁড়িয়ে মামলার তদন্ত? এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে আবাবিল এনজি কোর ব্যাংকিং সিস্টেম এর প্রশিক্ষণ উদ্বোধন বাংলাদেশের প্রথম আন্ত: চেইন হোটেল ডি'মোর লয়্যালটি ক্লাবের যাত্রা শুরু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ‘মব ভায়োলেন্স’ ত্যাগের আহ্বান মির্জা ফখরুলের আদানি চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত চলছে

২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের

#
news image

হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, শেখ মোরসালিন-নতুন প্রজন্মের তারুণ্যে বদলে যাচ্ছে লাল–সবুজের ফুটবল। যে বাংলাদেশ আগে হংকংয়ের বিপক্ষে লড়াই করলেই আশাবাদ খুঁজত, সেই বাংলাদেশ এখন ভারতের মতো প্রতিপক্ষকে আন্ডারডগ বানিয়ে দিচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ ১–০ গোলে হারিয়েছে ভারতকে। ২২ বছর পর ভারতবধের এ কীর্তি তৈরি হলো নতুন ইতিহাস।
 
দুই দলেরই মূল পর্বে ওঠার আশা আগেই শেষ। তবু মর্যাদার লড়াই বলে ম্যাচটিতে উত্তেজনার কমতি ছিল না একফোঁটাও। গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ-হামজাদের জন্য গর্জে উঠেছিল সমর্থকের ঢেউ।
 
মোরসালিনের গোল, উচ্ছ্বাসে ভাসে গ্যালারি

শুরুর দিক থেকেই আক্রমণাত্মক খেলায় ভারতকে চাপে রাখে বাংলাদেশ। তারই ফল, ম্যাচের ১৩তম মিনিটে শেখ মোরসালিনের দারুণ গোল। ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে গতি ও দক্ষতার চমৎকার সমন্বয়ে পাস বাড়ান রাকিব হোসেন। সেই বল আলতো টোকায় জালে পাঠিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন মোরসালিন। স্টেডিয়ামও যেন নেচে ওঠে।
 
হামজার অবিশ্বাস্য সেভ
 
গোল হজমের পর ভারত আক্রমণে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথমার্ধে একটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করেও ব্যর্থ হয় তারা। ফাঁকা পোস্টে বল ঢোকার মতো শট নিয়েছিল ভারত। ঠিক তখনই দৌড়ে গিয়ে হামজা চৌধুরীর অবিশ্বাস্য হেড ক্লিয়ারেন্স-ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত। ডিফেন্ডার তারিক কাজী ইনজুরিতে মাঠ ছাড়ার পর কিছুটা চাপে পড়লেও দল সামলে ওঠে দ্রুত।
 
রক্ষণে দৃঢ়তা, ভারতের আক্রমণের দেয়াল ভেঙে যায়
 
দ্বিতীয়ার্ধে বল নিজের দখলে রেখে আরও আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। শেষ সময়ে ভারত চাপ বাড়ালেও রক্ষণে ছিলেন হামজা–শমিত, জায়ান–তপু-সবাই মিলেই দেয়াল হয়ে দাঁড়ান। গোলরক্ষক মিতুলও ছিলেন শাটডাউন মুডে। শেষ ১০ মিনিটে কয়েকটি আক্রমণ আসে ভারতের পক্ষ থেকে, কিন্তু জাল ভেদ করার সুযোগ পায়নি তারা।
 
২২ বছর পর ভারতবধ
 
২০০৩ সালে ঢাকায় সর্বশেষ ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ (২–১ গোল)। এ পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩০ বার-এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে মোট ৪ বার, সমতা ১৩, পরাজয় ১৩। এবারের বাছাইপর্বের প্রথম লেগেও শিলংয়ে হামজার অভিষেকে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ।

স্পোর্টস ডেস্ক

১৮-১১-২০২৫ রাত ১১:৪৬

news image

হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, শেখ মোরসালিন-নতুন প্রজন্মের তারুণ্যে বদলে যাচ্ছে লাল–সবুজের ফুটবল। যে বাংলাদেশ আগে হংকংয়ের বিপক্ষে লড়াই করলেই আশাবাদ খুঁজত, সেই বাংলাদেশ এখন ভারতের মতো প্রতিপক্ষকে আন্ডারডগ বানিয়ে দিচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ ১–০ গোলে হারিয়েছে ভারতকে। ২২ বছর পর ভারতবধের এ কীর্তি তৈরি হলো নতুন ইতিহাস।
 
দুই দলেরই মূল পর্বে ওঠার আশা আগেই শেষ। তবু মর্যাদার লড়াই বলে ম্যাচটিতে উত্তেজনার কমতি ছিল না একফোঁটাও। গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ-হামজাদের জন্য গর্জে উঠেছিল সমর্থকের ঢেউ।
 
মোরসালিনের গোল, উচ্ছ্বাসে ভাসে গ্যালারি

শুরুর দিক থেকেই আক্রমণাত্মক খেলায় ভারতকে চাপে রাখে বাংলাদেশ। তারই ফল, ম্যাচের ১৩তম মিনিটে শেখ মোরসালিনের দারুণ গোল। ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে গতি ও দক্ষতার চমৎকার সমন্বয়ে পাস বাড়ান রাকিব হোসেন। সেই বল আলতো টোকায় জালে পাঠিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন মোরসালিন। স্টেডিয়ামও যেন নেচে ওঠে।
 
হামজার অবিশ্বাস্য সেভ
 
গোল হজমের পর ভারত আক্রমণে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথমার্ধে একটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করেও ব্যর্থ হয় তারা। ফাঁকা পোস্টে বল ঢোকার মতো শট নিয়েছিল ভারত। ঠিক তখনই দৌড়ে গিয়ে হামজা চৌধুরীর অবিশ্বাস্য হেড ক্লিয়ারেন্স-ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত। ডিফেন্ডার তারিক কাজী ইনজুরিতে মাঠ ছাড়ার পর কিছুটা চাপে পড়লেও দল সামলে ওঠে দ্রুত।
 
রক্ষণে দৃঢ়তা, ভারতের আক্রমণের দেয়াল ভেঙে যায়
 
দ্বিতীয়ার্ধে বল নিজের দখলে রেখে আরও আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। শেষ সময়ে ভারত চাপ বাড়ালেও রক্ষণে ছিলেন হামজা–শমিত, জায়ান–তপু-সবাই মিলেই দেয়াল হয়ে দাঁড়ান। গোলরক্ষক মিতুলও ছিলেন শাটডাউন মুডে। শেষ ১০ মিনিটে কয়েকটি আক্রমণ আসে ভারতের পক্ষ থেকে, কিন্তু জাল ভেদ করার সুযোগ পায়নি তারা।
 
২২ বছর পর ভারতবধ
 
২০০৩ সালে ঢাকায় সর্বশেষ ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ (২–১ গোল)। এ পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩০ বার-এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে মোট ৪ বার, সমতা ১৩, পরাজয় ১৩। এবারের বাছাইপর্বের প্রথম লেগেও শিলংয়ে হামজার অভিষেকে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ।