শিরোনামঃ
‘ভারত কঠিন কূটনৈতিক সংকটে’-শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যুতে বিবিসির বিশ্লেষণ ‘বাংলাদেশ বৈশ্বিক জবাবদিহির পথে ফিরছে’-প্রধান উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া বিএনপি: রায়ে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত’ - ১৬ বছরের সংগ্রামের প্রতিফলন মানবতাবিরোধী অপরাধ ও তদন্তের চ্যালেঞ্জ-যে প্রশ্নগুলো এখনও অব্যাহত আছে নড়িয়া সরকারি কলেজে পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষকদের কর্মবিরতি রেলওয়ের লাগেজ ভ্যান প্রকল্পে ‘ফাঁক-ফোকর’—কোথায় ব্যর্থতা, কোথায় দুর্নীতির ছাপ? চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জে প্রস্তুতি—অর্ডন্যান্স কোর সম্মেলনে সেনাপ্রধানের বার্তা জয়পুরহাট-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন তুললেন ওমর আলী বাবু মিডল্যান্ড ব্যাংক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের নতুন সিইও সামির উদ্দিন নগদ–ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড: ২৭ সাংবাদিক পেলেন সম্মাননা

বোয়িং-এয়ারবাস প্রতিযোগিতা: বাংলাদেশের আকাশে কূটনৈতিক দৌড়

#
news image

বাংলাদেশের আকাশে এখন শুধু বিমানের গর্জন নয়, চলছে কূটনৈতিক কৌশলেরও দৌড়। ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা এয়ারবাস এখন সরাসরি ঢাকায় কূটনৈতিক মাঠে নেমেছে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে।

মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স-জার্মান দূতাবাসে আয়োজিত এক আলোচনায় “বাংলাদেশের এভিয়েশন গ্রোথ” নিয়ে সরব হয় ইউরোপীয় কূটনীতিকরা। উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা। আলোচনায় তারা বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানটি আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।

বর্তমানে এয়ারবাস বিমানের কাছে ১৪টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে—এর মধ্যে ১০টি এয়ারবাস A-350 এবং ৪টি A-320neo। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িংও পিছিয়ে নেই; তারা দিয়েছে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, “এয়ারবাস শুধু ইউরোপের নয়, এটি বিশ্বের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অংশীদার। বাংলাদেশ এখন আঞ্চলিক বিমান হাব হিসেবে গড়ে ওঠার পথে, আর এই যাত্রায় এয়ারবাস হতে পারে কৌশলগত সহযাত্রী।”

জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ মনে করেন, বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও যাত্রীচাহিদা বৃদ্ধির ফলে এখন সময় এসেছে পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজে বিনিয়োগের।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, “বাংলাদেশের বিমান খাতে যুক্তরাজ্যের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।” ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার যোগ করেন, “এভিয়েশন খাত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সংযোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে।”

এয়ারবাস প্রতিনিধি রাফায়েল গোমেজ নয়া জানান, বিশ্বে ২৫ হাজারের বেশি বিমান বিক্রি করেছে এয়ারবাস, যার ৭২ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আশাবাদী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও ভবিষ্যতের বহর নির্বাচনে এয়ারবাসকে বেছে নেবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪-১১-২০২৫ রাত ১১:৫৭

news image

বাংলাদেশের আকাশে এখন শুধু বিমানের গর্জন নয়, চলছে কূটনৈতিক কৌশলেরও দৌড়। ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা এয়ারবাস এখন সরাসরি ঢাকায় কূটনৈতিক মাঠে নেমেছে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে।

মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স-জার্মান দূতাবাসে আয়োজিত এক আলোচনায় “বাংলাদেশের এভিয়েশন গ্রোথ” নিয়ে সরব হয় ইউরোপীয় কূটনীতিকরা। উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা। আলোচনায় তারা বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানটি আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।

বর্তমানে এয়ারবাস বিমানের কাছে ১৪টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে—এর মধ্যে ১০টি এয়ারবাস A-350 এবং ৪টি A-320neo। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িংও পিছিয়ে নেই; তারা দিয়েছে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, “এয়ারবাস শুধু ইউরোপের নয়, এটি বিশ্বের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অংশীদার। বাংলাদেশ এখন আঞ্চলিক বিমান হাব হিসেবে গড়ে ওঠার পথে, আর এই যাত্রায় এয়ারবাস হতে পারে কৌশলগত সহযাত্রী।”

জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ মনে করেন, বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও যাত্রীচাহিদা বৃদ্ধির ফলে এখন সময় এসেছে পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজে বিনিয়োগের।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, “বাংলাদেশের বিমান খাতে যুক্তরাজ্যের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।” ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার যোগ করেন, “এভিয়েশন খাত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সংযোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে।”

এয়ারবাস প্রতিনিধি রাফায়েল গোমেজ নয়া জানান, বিশ্বে ২৫ হাজারের বেশি বিমান বিক্রি করেছে এয়ারবাস, যার ৭২ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আশাবাদী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও ভবিষ্যতের বহর নির্বাচনে এয়ারবাসকে বেছে নেবে।