ইউনূস-জামায়াত-এনসিপি বৈঠক: নির্বাচনী নিরপেক্ষতার আশ্বাস, আলোচনায় জুলাই সনদ ও গণভোট
ডেস্ক রিপোর্ট
২৩-১০-২০২৫ রাত ১২:৪
ইউনূস-জামায়াত-এনসিপি বৈঠক: নির্বাচনী নিরপেক্ষতার আশ্বাস, আলোচনায় জুলাই সনদ ও গণভোট
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘জুলাই সনদ’ ও নির্বাচনকালীন প্রশাসনের নিরপেক্ষতা—তখনই পৃথক বৈঠকে বসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই দুই বৈঠককে রাজনৈতিক মহল নির্বাচনের আগে সংলাপ-উদ্যোগের ধারাবাহিক অংশ হিসেবেই দেখছে।
বৈঠকে ইউনূস আশ্বাস দেন—অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, “নির্বাচন যেন সব দলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর হয়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।”
এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রোডম্যাপ ও গণভোটের সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সনদের বাস্তবায়নে সরকারের দৃঢ়তা প্রয়োজন।”
প্রধান উপদেষ্টা জবাবে জানান, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কাজ করছে। এনসিপিসহ সব পক্ষের অংশগ্রহণ জরুরি।”
অন্যদিকে জামায়াত নেতারা জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদে গণভোটের দাবি জানান। নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ তাহের বলেন, “নির্বাচনের আগেই গণভোট হওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় ভোট প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।”
প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের আশ্বস্ত করেন, প্রশাসনের যেকোনো পরিবর্তন তিনি নিজে তদারকি করবেন এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পদক্ষেপ নেবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠকগুলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের রাজনৈতিক গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিচ্ছে—বিশেষত জুলাই সনদকে ঘিরে সরকারের অবস্থান ও বিরোধী দলের কৌশল এখনই স্পষ্ট হচ্ছে।
সূত্র: বাসস
ডেস্ক রিপোর্ট
২৩-১০-২০২৫ রাত ১২:৪
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘জুলাই সনদ’ ও নির্বাচনকালীন প্রশাসনের নিরপেক্ষতা—তখনই পৃথক বৈঠকে বসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই দুই বৈঠককে রাজনৈতিক মহল নির্বাচনের আগে সংলাপ-উদ্যোগের ধারাবাহিক অংশ হিসেবেই দেখছে।
বৈঠকে ইউনূস আশ্বাস দেন—অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, “নির্বাচন যেন সব দলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর হয়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।”
এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রোডম্যাপ ও গণভোটের সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সনদের বাস্তবায়নে সরকারের দৃঢ়তা প্রয়োজন।”
প্রধান উপদেষ্টা জবাবে জানান, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কাজ করছে। এনসিপিসহ সব পক্ষের অংশগ্রহণ জরুরি।”
অন্যদিকে জামায়াত নেতারা জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদে গণভোটের দাবি জানান। নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ তাহের বলেন, “নির্বাচনের আগেই গণভোট হওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় ভোট প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।”
প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের আশ্বস্ত করেন, প্রশাসনের যেকোনো পরিবর্তন তিনি নিজে তদারকি করবেন এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পদক্ষেপ নেবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠকগুলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের রাজনৈতিক গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিচ্ছে—বিশেষত জুলাই সনদকে ঘিরে সরকারের অবস্থান ও বিরোধী দলের কৌশল এখনই স্পষ্ট হচ্ছে।
সূত্র: বাসস