পল্লবীতে নারী সাংবাদিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
ডেস্ক রিপোর্ট
১৯-১০-২০২৫ রাত ১২:৭
পল্লবীতে নারী সাংবাদিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
ঢাকার পল্লবীর বালুঘাট এলাকায় নারী সাংবাদিককে সারা রাত আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক আমেনা খাতুন গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন— বালুঘাট গ্রিন সিটি গার্ডেনের কেয়ারটেকার এনামুল হক, শাহীন চৌধুরী ও মাহমুদুল হাসান। তবে একই আবাসনের অপর কেয়ারটেকার হামিদুর রহমানসহ এজাহারনামীয় পাঁচজন ও অজ্ঞাত আটজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই নারী সাংবাদিক জানতে পারেন— রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার মাটিকাটা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিরীহ নারী-পুরুষকে ফাঁদে ফেলে নির্যাতনের পর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায় করে।
১৭ মার্চ রাত ১১টার দিকে ওই চক্রের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হন। অজ্ঞাতনামা ১৬ জন পুরুষ তাকে ঘিরে ধরে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে পল্লবীর বালুঘাট ইস্টার গার্ডেন গ্রিন সিটি বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় নিয়ে সারা রাত আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
পরদিন ভোরে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে আবারও তাকে মারধর করা হয়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনার পর ওই নারী সাংবাদিক পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলার পর কেয়ারটেকার এনামুল হক ও হামিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুজন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এর মধ্যে এনামুল হক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডেস্ক রিপোর্ট
১৯-১০-২০২৫ রাত ১২:৭
ঢাকার পল্লবীর বালুঘাট এলাকায় নারী সাংবাদিককে সারা রাত আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক আমেনা খাতুন গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন— বালুঘাট গ্রিন সিটি গার্ডেনের কেয়ারটেকার এনামুল হক, শাহীন চৌধুরী ও মাহমুদুল হাসান। তবে একই আবাসনের অপর কেয়ারটেকার হামিদুর রহমানসহ এজাহারনামীয় পাঁচজন ও অজ্ঞাত আটজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই নারী সাংবাদিক জানতে পারেন— রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার মাটিকাটা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিরীহ নারী-পুরুষকে ফাঁদে ফেলে নির্যাতনের পর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায় করে।
১৭ মার্চ রাত ১১টার দিকে ওই চক্রের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হন। অজ্ঞাতনামা ১৬ জন পুরুষ তাকে ঘিরে ধরে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে পল্লবীর বালুঘাট ইস্টার গার্ডেন গ্রিন সিটি বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় নিয়ে সারা রাত আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
পরদিন ভোরে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে আবারও তাকে মারধর করা হয়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনার পর ওই নারী সাংবাদিক পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলার পর কেয়ারটেকার এনামুল হক ও হামিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুজন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এর মধ্যে এনামুল হক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।