ব্যবসা দখল, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে নলছিটি থানায় মামলা
ডেস্ক রিপোর্ট
৮-১০-২০২৫ দুপুর ১১:২০
ব্যবসা দখল, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে নলছিটি থানায় মামলা
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বদিরুজ্জামান খান কাওছার ঝালকাঠির নলছিটিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি, হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
নলছিটি থানায় মামলাটি গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) বিকালে রুজু করা হয়। মামলায় আসামিরা হলেন- উপজেলার কাপড়কাঠি গ্রামের (১) মো. মিজানুর রহমান সজিব (৩৮), পিতা- ইউনুচ আলী ফকির, (২) মো. ইউনুচ আলী ফকির (৬০), (৩) মো. জয়নাল ফকির (৬২), উভয়ের পিতা- মৃত তোরাব আলী ফকির, (৪) ইমন ফকির (২৫), পিতা-সেদ্দেক ফকির। এছাড়া মামলায় ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা নং ০২, ধারা ১৪৩/ ৪৪৭/ ৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/ ৪২৭/ ৫০৬।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে বাদীসহ অন্যান্য ভাইদের যৌথ পরিচালনায় নিজেদের জমি ও পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের নিকট হতে নগদ টাকায় লিজ নিয়ে ৩৫ একর জমির উপরে দুইটি মাছের ঘের ও ব্রয়লার মুরগীর খামার স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ২০১৮ সালে বাদীর বড় ভাই অসুস্থ হলে বাদী নিজেই ব্যবসাটি পারচালনা করেন। বাদীর বড় ভাইয়ের অসুস্থতার সুযোগে এজাহারে উল্লেখিত ১ ও ২ নং বিবাদী মিজানুর রহমান সজিব ও ইউনুচ আলী ফকির ২০২৪ সালের শেষ দিকে বাদীর নিকট ১০,০০,০০০/= (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীগণ ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন সংঘবদ্ধভাবে গত ৩০/০৪/২০২৫ ইংরেজি তারিখে আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে মুরগীর ফার্মে আগুন দেয়। মাছের ঘেরের ভেরিবাঁধ কেটে চাষকৃত মাছ মুক্ত জলাশয়ে ছেড়ে প্রায় ৫,০০,০০০/= (পাঁচ লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করেছে এবং বাদী ও ঘেরের শ্রমিকদের খুন, গুম জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে লিজ নেওয়া জমি, মাছের ঘের ও মুরগীর ফার্ম জবর দখল করে নিয়ে নিবে বলে হুমকি দেয়। বাদী কাওসার খান বিবাদী পক্ষকে ভেরিবাঁধ কাটতে বাধা দিলে তাকে ও ঘেরের কর্মরত শ্রমিকদের মারধর করে জখম করে। পরবর্তীতে বাদী কাওসার খান প্রাণনাশের ভয়ে আসামীগণকে পূর্বের দাবীকৃত চাঁদার ১০ লাখ টাকার মধ্য থেকে কতিপয় স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে লিখিত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ৪,০০,০০০/= (চার লক্ষ) টাকা চাঁদা দেয়। উক্ত ৪ লাখ টাকা চাঁদা দেওয়ার পরেও ১নং আসামী মিজানুর রহমান সজিব বাকী ৬ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে বাদীকে খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাইতেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাদী কাওসার খান তার ঘেরের ভেরিবাঁধে আমড়া গাছ থেকে আমড়া বিক্রির সময়ে উল্লেখিত আসামীসহ আরও অজ্ঞাত ১০/১২ জন বেআইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা ও লাঠি শোঠা নিয়ে খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাইয়া দাবীকৃত বাকী ৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে ঘেরের আমড়া বিক্রিতে বাঁধা প্রদান করে। ইতোমধ্যে স্বাক্ষীগণ উপস্থিত হলে ঘের কেটে মাছ মুক্ত জলাশয়ে ছেড়ে দিবে এবং বাদীকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. বদিরুজ্জামান খান কাওসার জানান, বিবাদীদের সাথে আমাদের কোন ব্যবসায়িক বা পারিবারিক বিরোধ নেই। কি কারণে তারা চাঁদা দাবি করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও আমাদের হত্যার হুমকি দিতেছে তা বুঝতে পারছি না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট
৮-১০-২০২৫ দুপুর ১১:২০
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বদিরুজ্জামান খান কাওছার ঝালকাঠির নলছিটিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি, হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
নলছিটি থানায় মামলাটি গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) বিকালে রুজু করা হয়। মামলায় আসামিরা হলেন- উপজেলার কাপড়কাঠি গ্রামের (১) মো. মিজানুর রহমান সজিব (৩৮), পিতা- ইউনুচ আলী ফকির, (২) মো. ইউনুচ আলী ফকির (৬০), (৩) মো. জয়নাল ফকির (৬২), উভয়ের পিতা- মৃত তোরাব আলী ফকির, (৪) ইমন ফকির (২৫), পিতা-সেদ্দেক ফকির। এছাড়া মামলায় ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা নং ০২, ধারা ১৪৩/ ৪৪৭/ ৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/ ৪২৭/ ৫০৬।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে বাদীসহ অন্যান্য ভাইদের যৌথ পরিচালনায় নিজেদের জমি ও পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের নিকট হতে নগদ টাকায় লিজ নিয়ে ৩৫ একর জমির উপরে দুইটি মাছের ঘের ও ব্রয়লার মুরগীর খামার স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ২০১৮ সালে বাদীর বড় ভাই অসুস্থ হলে বাদী নিজেই ব্যবসাটি পারচালনা করেন। বাদীর বড় ভাইয়ের অসুস্থতার সুযোগে এজাহারে উল্লেখিত ১ ও ২ নং বিবাদী মিজানুর রহমান সজিব ও ইউনুচ আলী ফকির ২০২৪ সালের শেষ দিকে বাদীর নিকট ১০,০০,০০০/= (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। বাদী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিবাদীগণ ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন সংঘবদ্ধভাবে গত ৩০/০৪/২০২৫ ইংরেজি তারিখে আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে মুরগীর ফার্মে আগুন দেয়। মাছের ঘেরের ভেরিবাঁধ কেটে চাষকৃত মাছ মুক্ত জলাশয়ে ছেড়ে প্রায় ৫,০০,০০০/= (পাঁচ লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করেছে এবং বাদী ও ঘেরের শ্রমিকদের খুন, গুম জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে লিজ নেওয়া জমি, মাছের ঘের ও মুরগীর ফার্ম জবর দখল করে নিয়ে নিবে বলে হুমকি দেয়। বাদী কাওসার খান বিবাদী পক্ষকে ভেরিবাঁধ কাটতে বাধা দিলে তাকে ও ঘেরের কর্মরত শ্রমিকদের মারধর করে জখম করে। পরবর্তীতে বাদী কাওসার খান প্রাণনাশের ভয়ে আসামীগণকে পূর্বের দাবীকৃত চাঁদার ১০ লাখ টাকার মধ্য থেকে কতিপয় স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে লিখিত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ৪,০০,০০০/= (চার লক্ষ) টাকা চাঁদা দেয়। উক্ত ৪ লাখ টাকা চাঁদা দেওয়ার পরেও ১নং আসামী মিজানুর রহমান সজিব বাকী ৬ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে বাদীকে খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাইতেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাদী কাওসার খান তার ঘেরের ভেরিবাঁধে আমড়া গাছ থেকে আমড়া বিক্রির সময়ে উল্লেখিত আসামীসহ আরও অজ্ঞাত ১০/১২ জন বেআইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা ও লাঠি শোঠা নিয়ে খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাইয়া দাবীকৃত বাকী ৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে ঘেরের আমড়া বিক্রিতে বাঁধা প্রদান করে। ইতোমধ্যে স্বাক্ষীগণ উপস্থিত হলে ঘের কেটে মাছ মুক্ত জলাশয়ে ছেড়ে দিবে এবং বাদীকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. বদিরুজ্জামান খান কাওসার জানান, বিবাদীদের সাথে আমাদের কোন ব্যবসায়িক বা পারিবারিক বিরোধ নেই। কি কারণে তারা চাঁদা দাবি করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও আমাদের হত্যার হুমকি দিতেছে তা বুঝতে পারছি না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।