শিরোনামঃ
‘ইকুইটির মূল্য শূন্য’—পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন বন্ধ, বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়ছে রোনালদো বললেন ‘বিশ্বকাপ সব নয়’, মেসির পাল্টা: ‘এটাই জীবনের শীর্ষ অর্জন’! চার দশকের পথচলার অবসান, রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন ন্যান্সি পেলোসি ফেব্রুয়ারিতে ভোট, আগে গণভোটের দাবি জামায়াত আমিরের ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা, ১ জনের কারাদণ্ড কালিয়ায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ পালিত আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪৪৩তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং-এ সাউথইস্ট শাকিব খানের ঢাকা ফিরছে আরও শক্তভাবে বিপিএলে ঘোষিত হলো ২৭ সদস্যের বাংলাদেশ দল, কোচের ভরসা পুরোনো মুখে

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্ম ও যাত্রা- মানবতার চিরন্তন আশ্রয়স্থল প্রকৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে চিকিৎসার মানবিক বিবর্তনের ইতিহাস

#
news image

মানবসভ্যতার ইতিহাস যত প্রাচীন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসও ততটাই গভীর ও বিস্ময়কর।

মানুষ যখন আগুন আবিষ্কার করেনি, তখনও তার শরীর ব্যথা পেত, জ্বর হতো, ক্ষত বয়ে বেড়াত। কিন্তু প্রকৃতির কাছ থেকেই মানুষ শিখে নেয়—কীভাবে বাঁচতে হয়, কীভাবে আরোগ্য ফিরে পাওয়া যায়।

পাতা দিয়ে ক্ষত বাঁধা, ভেষজ গাছের রস দিয়ে জ্বর সারানো, আগুনের ধোঁয়ায় ব্যথা কমানো—এই ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের আদিযুগের প্রতিচ্ছবি।

প্রকৃতি ছিল মানুষের প্রথম চিকিৎসক:

প্রাচীন মানুষ প্রকৃতির সান্নিধ্যে বসবাস করত। তারা পর্যবেক্ষণ করত পশু-পাখি কীভাবে অসুখ সারায়, কীভাবে প্রকৃতির উপাদান ব্যবহার করে।

সেই অনুকরণেই মানুষ শিখে নেয় উদ্ভিদ, ফুল, শেকড় ও গাছের ভেতর লুকিয়ে থাকা চিকিৎসাশক্তি।

ভারতের আয়ুর্বেদ, চীনের প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্র এবং মিশরের পিরামিডে উৎকীর্ণ হায়ারোগ্লিফিক চিত্র আজও সাক্ষ্য দেয়—সহস্র বছর আগে মানুষ জানত, সুস্থতার চাবিকাঠি প্রকৃতির ভেতরেই লুকিয়ে আছে। মিশরীয় সভ্যতায় চিকিৎসা ছিল ধর্মের মতো পবিত্র:

খ্রিষ্টপূর্ব ৩,০০০ বছর আগে মিশরের চিকিৎসকরা মানবদেহের গঠন ও রোগের কারণ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন শুরু করেন।

তাদের হাতে লেখা “ইবার্স প্যাপিরাস” ছিল বিশ্বের প্রথম চিকিৎসা গ্রন্থগুলোর একটি, যেখানে ৭০০-রও বেশি ওষুধের নাম ও ব্যবহার উল্লেখ ছিল।

মধু, দারুচিনি, পুদিনা, এমনকি বিভিন্ন খনিজ পদার্থও ব্যবহৃত হতো চিকিৎসায়।

মিশরীয় চিকিৎসকরা বিশ্বাস করতেন—রোগ মানে দেহের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। তাই তারা দেহ, মন ও আত্মার সমন্বয়ের মাধ্যমে আরোগ্যের পথ খুঁজে নিতেন।

হিপোক্রেটিস চিকিৎসার জনক:

গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬০–৩৭০) আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেন।

তিনি প্রথম বলেছিলেন—“রোগ দেবতাদের অভিশাপ নয়, এটি প্রাকৃতিক কারণে ঘটে।”

এই ভাবনা মানবচিকিৎসায় বিপ্লব আনে।

তার রচিত “কোরপাস হিপোক্রেটিকাম” গ্রন্থে বলা হয়, রোগীর দেহ, পরিবেশ ও জীবনযাত্রার গভীর বিশ্লেষণই সঠিক চিকিৎসার পথ নির্দেশ করে।

আজও বিশ্বের চিকিৎসকেরা যে শপথ নেন—“হিপোক্রেটিক শপথ”—তা এই মহান বিজ্ঞানীর মানবিক দর্শনের অমর প্রতীক।

ইসলামী সভ্যতায় চিকিৎসার নবজাগরণ:

খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইসলামী চিকিৎসাবিদরা মানবস্বাস্থ্যের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লেখেন।

ইবনে সিনা (আবু আলি ইবনে সিনা)-র “আল-কানুন ফি আত-তিব্ব” (চিকিৎসার বিধান) গ্রন্থ শতাব্দীর পর শতাব্দী ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আল-রাজি (মুহাম্মদ ইবনে জাকারিয়া আল-রাজি) গুটি বসন্ত ও হাম রোগ আলাদা করে প্রথম সনাক্ত করেন।

ইবনে আল-নাফিস আবিষ্কার করেন রক্ত সঞ্চালনের ধারণা—যা পরবর্তীতে আধুনিক হৃদরোগবিদ্যার মূল ভিত্তি হয়ে ওঠে।

ইসলামী চিকিৎসকরা চিকিৎসাকে শুধু পেশা নয়, বরং সেবার ব্রত, মানবতার একটি পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখতেন।

পুনর্জাগরণ ও আধুনিক চিকিৎসার সূচনা:

রেনেসাঁর যুগে বিজ্ঞান ও যুক্তির আলো চিকিৎসাকে নতুন মাত্রা দেয়।

১৬শ শতকে আন্দ্রেয়াস ভেসালিয়াস মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক গঠন প্রকাশ করেন, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।

১৮শ শতকে এডওয়ার্ড জেনার উদ্ভাবন করেন গুটি বসন্তের টিকা—মানবজাতির প্রথম প্রতিষেধক।

এরপর লুই পাস্তুর ও রবার্ট কখ জীবাণু তত্ত্ব আবিষ্কার করে আধুনিক চিকিৎসা ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ভিত গড়ে দেন।

আধুনিক যুগে চিকিৎসা প্রযুক্তি ও মানবতার সহযাত্রা:

আজকের চিকিৎসা কেবল ওষুধ বা অস্ত্রোপচারেই সীমাবদ্ধ নয়।

জিন চিকিৎসা, কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, রোবটিক শল্যচিকিৎসা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—সবকিছু মিলে চিকিৎসা এখন প্রযুক্তির শীর্ষে।

তবু মূল দর্শন একটাই—মানবজীবন রক্ষা, যন্ত্রণার উপশম, আর সহমর্মিতার স্পর্শ।

যত উন্নতই হোক যন্ত্র, চিকিৎসার প্রাণ আজও মানুষ—তার করুণা, সহানুভূতি ও ভালোবাসা।

চিকিৎসা মানবতার চিরন্তন আলোকবর্তিকা:

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস কেবল ওষুধের কিংবা অস্ত্রোপচারের গল্প নয়—এটি মানবতার ইতিহাস।

একজন চিকিৎসক যখন কষ্টে কাতর রোগীর পাশে দাঁড়ান, তখন তিনি হিপোক্রেটিসের উত্তরসূরি, ইবনে সিনার দার্শনিক, পাস্তুরের বিজ্ঞানমনস্কতা এবং মিশরীয়দের প্রাচীন সহানুভূতির ধারক হয়ে ওঠেন।

চিকিৎসা আসলে একটাই শিক্ষা দেয়—

মানুষকে ভালোবাসো, কারণ প্রতিটি জীবনই এক একটি মহাবিশ্ব।

শেষকথা:

সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের যাত্রা কেবল জ্ঞানের নয়, হৃদয়েরও এক যাত্রা।

প্রকৃতির শেখানো ভেষজ চিকিৎসা থেকে শুরু করে মহাকাশভিত্তিক দূরচিকিৎসা—এই দীর্ঘ অভিযাত্রা মানব সভ্যতার সবচেয়ে মানবিক অধ্যায়।

চিকিৎসা—এটাই পৃথিবীর প্রথম, এবং চিরন্তন বিজ্ঞান—বাঁচার বিজ্ঞান।

শহিদুল ইসলাম খোকন

৪-১১-২০২৫ রাত ৮:৮

news image

মানবসভ্যতার ইতিহাস যত প্রাচীন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসও ততটাই গভীর ও বিস্ময়কর।

মানুষ যখন আগুন আবিষ্কার করেনি, তখনও তার শরীর ব্যথা পেত, জ্বর হতো, ক্ষত বয়ে বেড়াত। কিন্তু প্রকৃতির কাছ থেকেই মানুষ শিখে নেয়—কীভাবে বাঁচতে হয়, কীভাবে আরোগ্য ফিরে পাওয়া যায়।

পাতা দিয়ে ক্ষত বাঁধা, ভেষজ গাছের রস দিয়ে জ্বর সারানো, আগুনের ধোঁয়ায় ব্যথা কমানো—এই ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের আদিযুগের প্রতিচ্ছবি।

প্রকৃতি ছিল মানুষের প্রথম চিকিৎসক:

প্রাচীন মানুষ প্রকৃতির সান্নিধ্যে বসবাস করত। তারা পর্যবেক্ষণ করত পশু-পাখি কীভাবে অসুখ সারায়, কীভাবে প্রকৃতির উপাদান ব্যবহার করে।

সেই অনুকরণেই মানুষ শিখে নেয় উদ্ভিদ, ফুল, শেকড় ও গাছের ভেতর লুকিয়ে থাকা চিকিৎসাশক্তি।

ভারতের আয়ুর্বেদ, চীনের প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্র এবং মিশরের পিরামিডে উৎকীর্ণ হায়ারোগ্লিফিক চিত্র আজও সাক্ষ্য দেয়—সহস্র বছর আগে মানুষ জানত, সুস্থতার চাবিকাঠি প্রকৃতির ভেতরেই লুকিয়ে আছে। মিশরীয় সভ্যতায় চিকিৎসা ছিল ধর্মের মতো পবিত্র:

খ্রিষ্টপূর্ব ৩,০০০ বছর আগে মিশরের চিকিৎসকরা মানবদেহের গঠন ও রোগের কারণ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন শুরু করেন।

তাদের হাতে লেখা “ইবার্স প্যাপিরাস” ছিল বিশ্বের প্রথম চিকিৎসা গ্রন্থগুলোর একটি, যেখানে ৭০০-রও বেশি ওষুধের নাম ও ব্যবহার উল্লেখ ছিল।

মধু, দারুচিনি, পুদিনা, এমনকি বিভিন্ন খনিজ পদার্থও ব্যবহৃত হতো চিকিৎসায়।

মিশরীয় চিকিৎসকরা বিশ্বাস করতেন—রোগ মানে দেহের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। তাই তারা দেহ, মন ও আত্মার সমন্বয়ের মাধ্যমে আরোগ্যের পথ খুঁজে নিতেন।

হিপোক্রেটিস চিকিৎসার জনক:

গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস (খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬০–৩৭০) আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেন।

তিনি প্রথম বলেছিলেন—“রোগ দেবতাদের অভিশাপ নয়, এটি প্রাকৃতিক কারণে ঘটে।”

এই ভাবনা মানবচিকিৎসায় বিপ্লব আনে।

তার রচিত “কোরপাস হিপোক্রেটিকাম” গ্রন্থে বলা হয়, রোগীর দেহ, পরিবেশ ও জীবনযাত্রার গভীর বিশ্লেষণই সঠিক চিকিৎসার পথ নির্দেশ করে।

আজও বিশ্বের চিকিৎসকেরা যে শপথ নেন—“হিপোক্রেটিক শপথ”—তা এই মহান বিজ্ঞানীর মানবিক দর্শনের অমর প্রতীক।

ইসলামী সভ্যতায় চিকিৎসার নবজাগরণ:

খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইসলামী চিকিৎসাবিদরা মানবস্বাস্থ্যের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লেখেন।

ইবনে সিনা (আবু আলি ইবনে সিনা)-র “আল-কানুন ফি আত-তিব্ব” (চিকিৎসার বিধান) গ্রন্থ শতাব্দীর পর শতাব্দী ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আল-রাজি (মুহাম্মদ ইবনে জাকারিয়া আল-রাজি) গুটি বসন্ত ও হাম রোগ আলাদা করে প্রথম সনাক্ত করেন।

ইবনে আল-নাফিস আবিষ্কার করেন রক্ত সঞ্চালনের ধারণা—যা পরবর্তীতে আধুনিক হৃদরোগবিদ্যার মূল ভিত্তি হয়ে ওঠে।

ইসলামী চিকিৎসকরা চিকিৎসাকে শুধু পেশা নয়, বরং সেবার ব্রত, মানবতার একটি পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখতেন।

পুনর্জাগরণ ও আধুনিক চিকিৎসার সূচনা:

রেনেসাঁর যুগে বিজ্ঞান ও যুক্তির আলো চিকিৎসাকে নতুন মাত্রা দেয়।

১৬শ শতকে আন্দ্রেয়াস ভেসালিয়াস মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক গঠন প্রকাশ করেন, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।

১৮শ শতকে এডওয়ার্ড জেনার উদ্ভাবন করেন গুটি বসন্তের টিকা—মানবজাতির প্রথম প্রতিষেধক।

এরপর লুই পাস্তুর ও রবার্ট কখ জীবাণু তত্ত্ব আবিষ্কার করে আধুনিক চিকিৎসা ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ভিত গড়ে দেন।

আধুনিক যুগে চিকিৎসা প্রযুক্তি ও মানবতার সহযাত্রা:

আজকের চিকিৎসা কেবল ওষুধ বা অস্ত্রোপচারেই সীমাবদ্ধ নয়।

জিন চিকিৎসা, কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, রোবটিক শল্যচিকিৎসা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—সবকিছু মিলে চিকিৎসা এখন প্রযুক্তির শীর্ষে।

তবু মূল দর্শন একটাই—মানবজীবন রক্ষা, যন্ত্রণার উপশম, আর সহমর্মিতার স্পর্শ।

যত উন্নতই হোক যন্ত্র, চিকিৎসার প্রাণ আজও মানুষ—তার করুণা, সহানুভূতি ও ভালোবাসা।

চিকিৎসা মানবতার চিরন্তন আলোকবর্তিকা:

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস কেবল ওষুধের কিংবা অস্ত্রোপচারের গল্প নয়—এটি মানবতার ইতিহাস।

একজন চিকিৎসক যখন কষ্টে কাতর রোগীর পাশে দাঁড়ান, তখন তিনি হিপোক্রেটিসের উত্তরসূরি, ইবনে সিনার দার্শনিক, পাস্তুরের বিজ্ঞানমনস্কতা এবং মিশরীয়দের প্রাচীন সহানুভূতির ধারক হয়ে ওঠেন।

চিকিৎসা আসলে একটাই শিক্ষা দেয়—

মানুষকে ভালোবাসো, কারণ প্রতিটি জীবনই এক একটি মহাবিশ্ব।

শেষকথা:

সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের যাত্রা কেবল জ্ঞানের নয়, হৃদয়েরও এক যাত্রা।

প্রকৃতির শেখানো ভেষজ চিকিৎসা থেকে শুরু করে মহাকাশভিত্তিক দূরচিকিৎসা—এই দীর্ঘ অভিযাত্রা মানব সভ্যতার সবচেয়ে মানবিক অধ্যায়।

চিকিৎসা—এটাই পৃথিবীর প্রথম, এবং চিরন্তন বিজ্ঞান—বাঁচার বিজ্ঞান।