শিরোনামঃ
‘ইকুইটির মূল্য শূন্য’—পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন বন্ধ, বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়ছে রোনালদো বললেন ‘বিশ্বকাপ সব নয়’, মেসির পাল্টা: ‘এটাই জীবনের শীর্ষ অর্জন’! চার দশকের পথচলার অবসান, রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন ন্যান্সি পেলোসি ফেব্রুয়ারিতে ভোট, আগে গণভোটের দাবি জামায়াত আমিরের ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা, ১ জনের কারাদণ্ড কালিয়ায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ পালিত আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪৪৩তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং-এ সাউথইস্ট শাকিব খানের ঢাকা ফিরছে আরও শক্তভাবে বিপিএলে ঘোষিত হলো ২৭ সদস্যের বাংলাদেশ দল, কোচের ভরসা পুরোনো মুখে

দিনাজপুরে এইচএসসি ফলে মহাবিপর্যয় : স্বীকৃতি বাতিলের কঠোর হুঁশিয়ারি বোর্ডের

#
news image

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) ২০২৫-এর ফলাফলে বড় ধরনের ধস নেমেছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে। এবারের পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৫ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক খবর হলো, বোর্ডের অধীনে ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও কৃতকার্য হতে পারেনি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২০, অর্থাৎ এক বছরেই শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২৩টি।

শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এই ৪৩টি কলেজের ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পাসের মুখ দেখেনি। জেলাভিত্তিক হিসাবে নীলফামারীতে ১০টি, কুড়িগ্রামে ৯টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬টি, লালমনিরহাটে ৫টি, দিনাজপুর ও রংপুরে ৪টি করে, পঞ্চগড়ে ৩টি ও গাইবান্ধায় ২টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

এই ভয়াবহ ফল বিপর্যয়ের পর কলেজগুলোকে কঠোর বার্তা দিয়েছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে এবং তাদের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও ফল কেন বিপর্যয় হলো, আমরা সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করব। যদি তারা শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিতে না পারে এবং তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের স্বীকৃতি বাতিল করা হতে পারে।

এ বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৯২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে পাস করেছে ৬০ হাজার ৮৮২ জন। ফেল করেছে ৪৫ হাজার ৩৯ জন শিক্ষার্থী। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর এই অকৃতকার্য হওয়া এবং ৪৩টি প্রতিষ্ঠানে 'শূন্য পাস' শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

বেশকিছু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করার কথা জানিয়েছে এবং বোর্ডের প্রতি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা মনে করছেন, কলেজগুলোতে পাঠদানের মান, শিক্ষকদের নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং মনিটরিং-এর দুর্বলতাই এই বিপর্যয়ের মূল কারণ।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এই অভূতপূর্ব ফল বিপর্যয় উত্তরাঞ্চলের শিক্ষাঙ্গনে এক তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বোর্ড কর্তৃক ৪৩টি কলেজের স্বীকৃতি বাতিলের হুঁশিয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

মো. ইসমাইল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি

২৫-১০-২০২৫ রাত ১০:৪৫

news image

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) ২০২৫-এর ফলাফলে বড় ধরনের ধস নেমেছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে। এবারের পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৫ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক খবর হলো, বোর্ডের অধীনে ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও কৃতকার্য হতে পারেনি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২০, অর্থাৎ এক বছরেই শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২৩টি।

শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এই ৪৩টি কলেজের ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পাসের মুখ দেখেনি। জেলাভিত্তিক হিসাবে নীলফামারীতে ১০টি, কুড়িগ্রামে ৯টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬টি, লালমনিরহাটে ৫টি, দিনাজপুর ও রংপুরে ৪টি করে, পঞ্চগড়ে ৩টি ও গাইবান্ধায় ২টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

এই ভয়াবহ ফল বিপর্যয়ের পর কলেজগুলোকে কঠোর বার্তা দিয়েছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে এবং তাদের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও ফল কেন বিপর্যয় হলো, আমরা সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করব। যদি তারা শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিতে না পারে এবং তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের স্বীকৃতি বাতিল করা হতে পারে।

এ বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৯২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে পাস করেছে ৬০ হাজার ৮৮২ জন। ফেল করেছে ৪৫ হাজার ৩৯ জন শিক্ষার্থী। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর এই অকৃতকার্য হওয়া এবং ৪৩টি প্রতিষ্ঠানে 'শূন্য পাস' শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

বেশকিছু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করার কথা জানিয়েছে এবং বোর্ডের প্রতি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা মনে করছেন, কলেজগুলোতে পাঠদানের মান, শিক্ষকদের নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং মনিটরিং-এর দুর্বলতাই এই বিপর্যয়ের মূল কারণ।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এই অভূতপূর্ব ফল বিপর্যয় উত্তরাঞ্চলের শিক্ষাঙ্গনে এক তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বোর্ড কর্তৃক ৪৩টি কলেজের স্বীকৃতি বাতিলের হুঁশিয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।