শিরোনামঃ
"১১তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারে  ফিলিপাইন দূতাবাস " বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে কৃষি ব্যাংকের দশম গ্রেডের কর্মকর্তাবৃন্দ" শেখ সেলিমের স্বর্ণ পাচারে সহযোগী দোলন -২০ হাজার কোটি টাকা পাচারে দিলীপ রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিকভাবে চাকুরীতে পুনর্বহালের সুযোগ খুঁজছে কর্মচারীর একাংশ সমবায়ের বাতিঘর খ্যাত 'কালব’ দুর্নীতির কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত : নেপথ্যে আরিফ ও জোনাস সোনা চোরাচালানে অপ্রতিরোধ্য, আছে খুনের অভিযোগ ধরাছোঁয়ার বাইরে দুই মাফিয়া ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলা ভাঙচুর: এরা কারা? বাংলাদেশে জুন ২০২৪ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলো কেমব্রিজ দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষায় অবিচল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী- সাজ্জাদ হোসেন চিশতী,গণমাধ্যম কর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিরসরাইতে সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল এর নেতৃত্বে বিশাল শোক র‍্যালী

ড. নূরুন নবী, আজীবন মুক্তিযোদ্ধা" প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো

#
news image

১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার, বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে অনুষ্ঠিত হবে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র "ড. নূরুন নবী, আজীবন মুক্তিযোদ্ধা" এর প্রিমিয়ার শো। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবীকে নিয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন কানাডাপ্রবাসী চলচ্চিত্র নির্মাতা নাদিম ইকবাল। 

প্রিমিয়ার শো তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি; তানভীর হাসান (ছোট মনির), এম.পি; রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক; এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। 

ড. নূরুন নবীর লেখা সাড়া জাগানো বই "বুলেট অব সেভেন্টি ওয়ান: আ ফ্রিডম ফাইটার্স স্টোরি" অবলম্বনে নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

বাংলাদেশের গৌরবময় অর্জনের কালজয়ী দৃষ্টান্ত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সাথে সংগ্রাম করে এ বিজয় অর্জন করেছিলেন। এরপর যাঁরা আত্মনিয়োগ করেছেন দেশ গড়ার কাজে, ড. নূরুন নবী তাঁদের অন্যতম।
একুশে পদকপ্রাপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও লেখক ড. নূরুন নবী। তাঁর বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামমুখর অনুকরণীয় জীবনের চিত্র দেখানো হয়েছে চলচ্চিত্রে। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ এ ড. নূরুন নবীকে টাঙ্গাইল মুক্তিবাহিনীর ব্রেইন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বিশেষ দায়িত্ব ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেলদের সাথে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করে ভারত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ ও বহন করে নিয়ে আসা। সেসময় তিনি যমুনা নদী দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনবার ভারত থেকে অস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংকটে সমাধানের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

১৯৭১ সালে ড. নূরুন নবী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তারপর জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা, কিউশু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, আমেরিকার নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন। সত্তর দশকে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং প্রথম সিনেটের সদস্য। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ড. নূরুন নবীর পেটেন্টকৃত আবিষ্কার ও পাবলিকেশনের সংখ্যা ৫৫টি। 

৮০ এর দশকে আমেরিকায় ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ এবং ৯০ এর দশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি প্রতিষ্ঠার নেতৃত্বে প্রধান ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র- এর প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বর্তমান সভাপতি। বাংলাদেশ সোসাইটি ফর নিউজার্সি- এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং প্রাক্তন সভাপতি।

ড. নূরুন নবী ২০০৭ সাল থেকে নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের  প্লেইন্সবোরো শহরের নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান। তাঁর স্ত্রী ড. জিনাত নবীও একজন বিজ্ঞানী।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭-২-২০২৪ দুপুর ৪:৩৩

news image

১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার, বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে অনুষ্ঠিত হবে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র "ড. নূরুন নবী, আজীবন মুক্তিযোদ্ধা" এর প্রিমিয়ার শো। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবীকে নিয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন কানাডাপ্রবাসী চলচ্চিত্র নির্মাতা নাদিম ইকবাল। 

প্রিমিয়ার শো তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি; তানভীর হাসান (ছোট মনির), এম.পি; রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক; এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। 

ড. নূরুন নবীর লেখা সাড়া জাগানো বই "বুলেট অব সেভেন্টি ওয়ান: আ ফ্রিডম ফাইটার্স স্টোরি" অবলম্বনে নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

বাংলাদেশের গৌরবময় অর্জনের কালজয়ী দৃষ্টান্ত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সাথে সংগ্রাম করে এ বিজয় অর্জন করেছিলেন। এরপর যাঁরা আত্মনিয়োগ করেছেন দেশ গড়ার কাজে, ড. নূরুন নবী তাঁদের অন্যতম।
একুশে পদকপ্রাপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও লেখক ড. নূরুন নবী। তাঁর বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামমুখর অনুকরণীয় জীবনের চিত্র দেখানো হয়েছে চলচ্চিত্রে। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ এ ড. নূরুন নবীকে টাঙ্গাইল মুক্তিবাহিনীর ব্রেইন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বিশেষ দায়িত্ব ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেলদের সাথে আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করে ভারত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ ও বহন করে নিয়ে আসা। সেসময় তিনি যমুনা নদী দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনবার ভারত থেকে অস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংকটে সমাধানের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

১৯৭১ সালে ড. নূরুন নবী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তারপর জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা, কিউশু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, আমেরিকার নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন। সত্তর দশকে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং প্রথম সিনেটের সদস্য। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ড. নূরুন নবীর পেটেন্টকৃত আবিষ্কার ও পাবলিকেশনের সংখ্যা ৫৫টি। 

৮০ এর দশকে আমেরিকায় ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ এবং ৯০ এর দশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি প্রতিষ্ঠার নেতৃত্বে প্রধান ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র- এর প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বর্তমান সভাপতি। বাংলাদেশ সোসাইটি ফর নিউজার্সি- এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং প্রাক্তন সভাপতি।

ড. নূরুন নবী ২০০৭ সাল থেকে নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের  প্লেইন্সবোরো শহরের নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান। তাঁর স্ত্রী ড. জিনাত নবীও একজন বিজ্ঞানী।

সম্পর্কিত