জেন-জি তরুণদের বিক্ষোভে পেরুতে জরুরি অবস্থা, গণতন্ত্র নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩-১০-২০২৫ রাত ১২:১৮
জেন-জি তরুণদের বিক্ষোভে পেরুতে জরুরি অবস্থা, গণতন্ত্র নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে জেন-জি প্রজন্মের নেতৃত্বে শুরু হওয়া দুর্নীতি ও অপরাধবিরোধী আন্দোলন ক্রমেই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিক্ষোভের জেরে বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানী লিমা ও আশপাশের এলাকায় ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এখন কথায় নয়, কঠোর বাস্তব পদক্ষেপেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”
জরুরি অবস্থার আওতায় সেনাবাহিনী রাস্তায় টহল দিচ্ছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার সীমিত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জেরি ঘোষণা করেছেন, “রাষ্ট্র এখন প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করবে—অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ সরকারের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হলেও, এর ফলে গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জেন-জি তরুণদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলন পেরুর রাজনীতিতে নতুন গতিপথ তৈরি করেছে। তারা কেবল দুর্নীতির বিরুদ্ধেই নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতার দাবিতেও রাস্তায় নেমেছে।
গত বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে একজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর পেরুতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে—১৮ হাজারের বেশি ঘটনা রেকর্ড করেছে কর্তৃপক্ষ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
রাজনৈতিক অস্থিরতার শুরু ১০ অক্টোবর, যখন দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তেকে কংগ্রেস অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণ করে। এরপর সংসদের স্পিকার হোসে জেরি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হন।
কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পর অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণ প্রজন্মের এই আন্দোলন তাঁর নেতৃত্বের প্রতি নতুন প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পেরু এখন এক কঠিন ভারসাম্যের পথে—যেখানে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার সীমারেখা ক্রমেই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩-১০-২০২৫ রাত ১২:১৮
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে জেন-জি প্রজন্মের নেতৃত্বে শুরু হওয়া দুর্নীতি ও অপরাধবিরোধী আন্দোলন ক্রমেই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিক্ষোভের জেরে বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানী লিমা ও আশপাশের এলাকায় ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এখন কথায় নয়, কঠোর বাস্তব পদক্ষেপেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”
জরুরি অবস্থার আওতায় সেনাবাহিনী রাস্তায় টহল দিচ্ছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার সীমিত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জেরি ঘোষণা করেছেন, “রাষ্ট্র এখন প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করবে—অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ সরকারের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হলেও, এর ফলে গণতান্ত্রিক অধিকার সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জেন-জি তরুণদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলন পেরুর রাজনীতিতে নতুন গতিপথ তৈরি করেছে। তারা কেবল দুর্নীতির বিরুদ্ধেই নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতার দাবিতেও রাস্তায় নেমেছে।
গত বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে একজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর পেরুতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে—১৮ হাজারের বেশি ঘটনা রেকর্ড করেছে কর্তৃপক্ষ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
রাজনৈতিক অস্থিরতার শুরু ১০ অক্টোবর, যখন দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তেকে কংগ্রেস অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণ করে। এরপর সংসদের স্পিকার হোসে জেরি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হন।
কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পর অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণ প্রজন্মের এই আন্দোলন তাঁর নেতৃত্বের প্রতি নতুন প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পেরু এখন এক কঠিন ভারসাম্যের পথে—যেখানে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার সীমারেখা ক্রমেই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর