রক্তক্ষয়ের পর শান্তির চেষ্টা: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৫-১০-২০২৫ রাত ৯:৫
রক্তক্ষয়ের পর শান্তির চেষ্টা: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ডজনখানেক প্রাণহানির পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে গেল দক্ষিণ এশিয়ার দুই মুসলিম প্রতিবেশী পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে এই ৪৮ ঘণ্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি।
ইসলামাবাদের ঘোষণায় বলা হয়, দুই পক্ষ গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে সম্মত হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি কার অনুরোধে এসেছে, তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ইসলামাবাদ বলছে, কাবুলের অনুরোধে যুদ্ধবিরতি; আর কাবুলের দাবি, ইসলামাবাদের চাপে তা মানা হয়েছে।
এর আগে কান্দাহার ও কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তাদের দাবি—এটি আফগান তালেবানের হামলার পাল্টা জবাব। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, তালেবানের কয়েকটি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ও ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
অন্যদিকে তালেবান প্রশাসন বলছে, পাকিস্তানের হামলায় নিরীহ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং আফগান সার্বভৌমত্বের ওপর এটি সরাসরি আঘাত।
গত সপ্তাহ থেকে টানা সংঘর্ষে দুই দেশের সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, শুধু গত সাত দিনেই পাকিস্তানের ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছে। পাল্টা অভিযানে ২০০-এর বেশি আফগান যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও আইএসআইএস-খোরাসান ইস্যু নিয়েই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে অবিশ্বাসের দেয়াল গড়ে উঠছে। যুদ্ধবিরতি সাময়িক স্বস্তি দিলেও স্থায়ী শান্তির পথ এখনো অনিশ্চিত।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৫-১০-২০২৫ রাত ৯:৫
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ডজনখানেক প্রাণহানির পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে গেল দক্ষিণ এশিয়ার দুই মুসলিম প্রতিবেশী পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে এই ৪৮ ঘণ্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি।
ইসলামাবাদের ঘোষণায় বলা হয়, দুই পক্ষ গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে সম্মত হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি কার অনুরোধে এসেছে, তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ইসলামাবাদ বলছে, কাবুলের অনুরোধে যুদ্ধবিরতি; আর কাবুলের দাবি, ইসলামাবাদের চাপে তা মানা হয়েছে।
এর আগে কান্দাহার ও কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তাদের দাবি—এটি আফগান তালেবানের হামলার পাল্টা জবাব। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, তালেবানের কয়েকটি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ও ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
অন্যদিকে তালেবান প্রশাসন বলছে, পাকিস্তানের হামলায় নিরীহ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং আফগান সার্বভৌমত্বের ওপর এটি সরাসরি আঘাত।
গত সপ্তাহ থেকে টানা সংঘর্ষে দুই দেশের সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, শুধু গত সাত দিনেই পাকিস্তানের ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছে। পাল্টা অভিযানে ২০০-এর বেশি আফগান যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও আইএসআইএস-খোরাসান ইস্যু নিয়েই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে অবিশ্বাসের দেয়াল গড়ে উঠছে। যুদ্ধবিরতি সাময়িক স্বস্তি দিলেও স্থায়ী শান্তির পথ এখনো অনিশ্চিত।