শিরোনামঃ
মাগুরায় আওয়ামী লীগের লকডাউনের প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে গোলাম পরওয়ার: আওয়ামী ফ্যাসিবাদিরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার র‍্যালি আয়োজন ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের নিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মশালা ৭ ব্যাংক হিসাব ঘিরে ৫৪ কোটি টাকার লেনদেন: সাঈদ খোকন-শাহানা হানিফের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অভিযোগ জুলাই সনদ থেকে গণভোট- ইউনূস সরকারের ‘নতুন গণতন্ত্রের রূপরেখা’? পূবালী ব্যাংক কর্তৃক এমআইএসটি-কে আর্থিক সহায়তা প্রদান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৯০৭তম সভা অনুষ্ঠিত আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও দীন ইসলামিকের মধ্যে কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: কূটনৈতিক উত্তেজনা এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ

ধর্মীয় সম্প্রীতির চ্যালেঞ্জে সরকার: ককটেল হামলার পর কঠোর নিরাপত্তা, প্রশ্ন বাড়ছে ‘মূল লক্ষ্য নিয়ে’

#
news image

এক সপ্তাহে রাজধানীতে ধারাবাহিক ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকার নড়েচড়ে বসেছে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, “আন্তঃধর্মীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার অটল।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধর্মীয় সহাবস্থানে বিঘ্ন ঘটানোর যেকোনো প্রয়াসে ‘আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ’ করা হবে।

এরই মধ্যে ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি, যিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। তাকে সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল ও সেন্ট যোসেফ স্কুলে হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘটনাগুলো কেবল ধর্মীয় স্থান নয়, বরং রাজধানীর কৌশলগত এলাকায় ঘটছে- যা ইঙ্গিত দেয়, কোনো গোষ্ঠী সচেতনভাবেই ‘অস্থিরতা সৃষ্টি’ করতে চাইছে।

একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এ ধরনের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ সাধারণ ভাঙচুর নয়, বরং এটি গোছানো বার্তা পাঠানোর মতো কাজ।”

সরকার এখন রাজধানীর প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়েছে, তবে নাগরিকদের মধ্যে প্রশ্ন রয়ে গেছে- “কে বা কারা এই হামলার পেছনে?”

বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটি একটি বড় পরীক্ষা:
একদিকে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অন্যদিকে গণআস্থা ধরে রাখা- এই দুই চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।

তানভীর সানি

১০-১১-২০২৫ রাত ১১:১১

news image

এক সপ্তাহে রাজধানীতে ধারাবাহিক ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকার নড়েচড়ে বসেছে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, “আন্তঃধর্মীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার অটল।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধর্মীয় সহাবস্থানে বিঘ্ন ঘটানোর যেকোনো প্রয়াসে ‘আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ’ করা হবে।

এরই মধ্যে ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি, যিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। তাকে সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল ও সেন্ট যোসেফ স্কুলে হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘটনাগুলো কেবল ধর্মীয় স্থান নয়, বরং রাজধানীর কৌশলগত এলাকায় ঘটছে- যা ইঙ্গিত দেয়, কোনো গোষ্ঠী সচেতনভাবেই ‘অস্থিরতা সৃষ্টি’ করতে চাইছে।

একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “এ ধরনের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ সাধারণ ভাঙচুর নয়, বরং এটি গোছানো বার্তা পাঠানোর মতো কাজ।”

সরকার এখন রাজধানীর প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়েছে, তবে নাগরিকদের মধ্যে প্রশ্ন রয়ে গেছে- “কে বা কারা এই হামলার পেছনে?”

বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটি একটি বড় পরীক্ষা:
একদিকে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অন্যদিকে গণআস্থা ধরে রাখা- এই দুই চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।