শিরোনামঃ
‘ভারত কঠিন কূটনৈতিক সংকটে’-শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যুতে বিবিসির বিশ্লেষণ ‘বাংলাদেশ বৈশ্বিক জবাবদিহির পথে ফিরছে’-প্রধান উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া বিএনপি: রায়ে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত’ - ১৬ বছরের সংগ্রামের প্রতিফলন মানবতাবিরোধী অপরাধ ও তদন্তের চ্যালেঞ্জ-যে প্রশ্নগুলো এখনও অব্যাহত আছে নড়িয়া সরকারি কলেজে পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষকদের কর্মবিরতি রেলওয়ের লাগেজ ভ্যান প্রকল্পে ‘ফাঁক-ফোকর’—কোথায় ব্যর্থতা, কোথায় দুর্নীতির ছাপ? চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জে প্রস্তুতি—অর্ডন্যান্স কোর সম্মেলনে সেনাপ্রধানের বার্তা জয়পুরহাট-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন তুললেন ওমর আলী বাবু মিডল্যান্ড ব্যাংক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের নতুন সিইও সামির উদ্দিন নগদ–ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড: ২৭ সাংবাদিক পেলেন সম্মাননা

রাজশাহীতে মব সৃষ্টি করে প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করানোর পাঁয়তারা, নেপথ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক

#
news image

রাজশাহী মহানগরীর হেতম খাঁ-তে অবস্থিত মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক একরামুল হককে মব সৃষ্টি করে পদত্যাগ করানোর জন্য কমলমতি শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। সাথে রয়েছেন সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন ও সোহানা পারভীন। এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে অত্র বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করতে দেখা যায়। ব্যানারে বর্তমান শিক্ষার্থী, পুরাতন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ এর আয়োজনে লেখা থাকলেও মানববন্ধনে  পুরাতন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাউকে দেখা যায়নি। সকল শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।

এরপর অত্র বিদ্যালয়ের একটি ক্লাস রুমে পড়ালেখা বন্ধ করে শুরু হয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থআত্বসাৎসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অত্র বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে  নানা অনিয়ন ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। পরে তার লিখিত বক্তব্যের উপরে সাংবাদিকরা ক্লাস বর্জন করে কেন ক্লাস রুমে সংবাদ সম্মেলন, মব সৃষ্টি কেন এবং এ সকল বিষয়ে শিক্ষাবোর্ড, মাউসি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবরে কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা প্রশ্ন শুরু করলে তরিকুল ইসলাম বলেন, সকল স্থানে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।  সভাপতি প্রধান শিক্ষকের পক্ষে হয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

ক্লাস বর্জনের  বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্লাস করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এরপর সাংবাদিকার মব সৃষ্টির বিষয়ে কথা বলতে গেলেই তার পাশে থাকার তার দোসররা সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হলে এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয় এবং সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন বর্জন করে চলে যায়। তবে সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষককে তার কার্যালয় প্রবেশ করে বের করে দিতে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে। সেইসাথে প্রধান শিক্ষকের সামনেই শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকে।  

সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে রাাজশাহী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক বলেন,  সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম শিক্ষক তাঁর নামে মিথ্যাচার করেছেন। সেইসাথে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে নানা প্রকাণ্ডা চালাচ্ছে বলে  উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, ধর্ম শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান। এছাড়া তিনি প্রতিদিন দেরী করে বিদ্যালয়ে আসেন। শুধু তাইনয় তিনি ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক হলেও প্যান্ট শার্ট পড়ে বিদ্যালয়ে আসেন। তাঁকে পায়জামা পাঞ্জাবী পড়তে বলায় তিনি তাঁর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। 

প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, বিদ্যালয়ে চলতি মাসের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদ সম্পুর্ন করে জমা দেয়ার জন্য সরকারীভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ নিয়ে তিনি সকল প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে তপশিল ঘোষনা করেন। এটা বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানেন। তপশিল শেষে মনোনয়ন উত্তোলন ও জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তবে এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠন তিন মাসের মধ্যে স্থগিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। এজন্য এ নিয়ে তিনি আর কোন কথা বলেননি। 

কিন্তু এটাকে পুজি করে নিজের খায়েশ মেটাতে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যাচার করছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, মব সৃষ্টি করে জবরদস্তী করা সরকারীভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। এরপরেও ধর্মশিক্ষক কমলমতি শিশুদের উস্কিয়ে দিয়ে তাঁকে নানাভাবে হেনস্তা ও তার বিরুদ্ধে অপমানজক স্লোগান ও বক্তব্য দেয়াচ্ছেন জানান তিনি। তিনি তরিকুল ইসলামসহ এর সঙ্গে জড়িত সকলের বিচার দাবী করেন। সেইসাথে  তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান প্রধান শিক্ষক।

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪-১১-২০২৫ রাত ১২:৩৯

news image

রাজশাহী মহানগরীর হেতম খাঁ-তে অবস্থিত মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক একরামুল হককে মব সৃষ্টি করে পদত্যাগ করানোর জন্য কমলমতি শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। সাথে রয়েছেন সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন ও সোহানা পারভীন। এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে অত্র বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করতে দেখা যায়। ব্যানারে বর্তমান শিক্ষার্থী, পুরাতন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ এর আয়োজনে লেখা থাকলেও মানববন্ধনে  পুরাতন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাউকে দেখা যায়নি। সকল শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।

এরপর অত্র বিদ্যালয়ের একটি ক্লাস রুমে পড়ালেখা বন্ধ করে শুরু হয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থআত্বসাৎসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অত্র বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক তরিকুল ইসলাম। তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে  নানা অনিয়ন ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। পরে তার লিখিত বক্তব্যের উপরে সাংবাদিকরা ক্লাস বর্জন করে কেন ক্লাস রুমে সংবাদ সম্মেলন, মব সৃষ্টি কেন এবং এ সকল বিষয়ে শিক্ষাবোর্ড, মাউসি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবরে কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা প্রশ্ন শুরু করলে তরিকুল ইসলাম বলেন, সকল স্থানে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।  সভাপতি প্রধান শিক্ষকের পক্ষে হয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

ক্লাস বর্জনের  বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্লাস করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এরপর সাংবাদিকার মব সৃষ্টির বিষয়ে কথা বলতে গেলেই তার পাশে থাকার তার দোসররা সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হলে এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয় এবং সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন বর্জন করে চলে যায়। তবে সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষককে তার কার্যালয় প্রবেশ করে বের করে দিতে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে। সেইসাথে প্রধান শিক্ষকের সামনেই শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকে।  

সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে রাাজশাহী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক বলেন,  সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম শিক্ষক তাঁর নামে মিথ্যাচার করেছেন। সেইসাথে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে নানা প্রকাণ্ডা চালাচ্ছে বলে  উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, ধর্ম শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান। এছাড়া তিনি প্রতিদিন দেরী করে বিদ্যালয়ে আসেন। শুধু তাইনয় তিনি ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক হলেও প্যান্ট শার্ট পড়ে বিদ্যালয়ে আসেন। তাঁকে পায়জামা পাঞ্জাবী পড়তে বলায় তিনি তাঁর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। 

প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, বিদ্যালয়ে চলতি মাসের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদ সম্পুর্ন করে জমা দেয়ার জন্য সরকারীভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ নিয়ে তিনি সকল প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে তপশিল ঘোষনা করেন। এটা বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানেন। তপশিল শেষে মনোনয়ন উত্তোলন ও জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তবে এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠন তিন মাসের মধ্যে স্থগিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। এজন্য এ নিয়ে তিনি আর কোন কথা বলেননি। 

কিন্তু এটাকে পুজি করে নিজের খায়েশ মেটাতে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যাচার করছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, মব সৃষ্টি করে জবরদস্তী করা সরকারীভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। এরপরেও ধর্মশিক্ষক কমলমতি শিশুদের উস্কিয়ে দিয়ে তাঁকে নানাভাবে হেনস্তা ও তার বিরুদ্ধে অপমানজক স্লোগান ও বক্তব্য দেয়াচ্ছেন জানান তিনি। তিনি তরিকুল ইসলামসহ এর সঙ্গে জড়িত সকলের বিচার দাবী করেন। সেইসাথে  তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান প্রধান শিক্ষক।