‘না ভোট’ ফিরল, ইভিএম বাদ—নতুন আরপিও সংশোধনীতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩-১০-২০২৫ রাত ১১:৫৪
‘না ভোট’ ফিরল, ইভিএম বাদ—নতুন আরপিও সংশোধনীতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনী ২০২৫’-এ। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে নতুন এক নির্বাচনী সংস্কারের পথ খুলে দিল সরকার।
সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ‘না ভোট’ ফেরানো। এক প্রার্থী থাকলে ভোটাররা ‘না ভোট’ দিতে পারবেন—এই বিধান ভোটারদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, ইভিএমের ব্যবহার বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচনে ডিজিটাল পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের পর এই সিদ্ধান্তকে অনেকে ‘বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখছেন।
প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি সম্পদের পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে পারে।
প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সুযোগও রাখা হয়েছে—যা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের দাবির অন্যতম বিষয় ছিল।
রাজনৈতিক অনুদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ৫০ হাজার টাকার বেশি চাঁদা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে, সঙ্গে দাতার ট্যাক্স রিটার্ন বাধ্যতামূলক।
সবশেষে, অনিয়মের কারণে নির্বাচন কমিশন এখন শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোটও বাতিল করতে পারবে—এই বিধান নির্বাচন ব্যবস্থার দায়বদ্ধতা বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, এসব পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো—“যেন আর ২০১৪ সালের মতো একক প্রার্থীর সাজানো নির্বাচন না হয়।”
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩-১০-২০২৫ রাত ১১:৫৪
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনী ২০২৫’-এ। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে নতুন এক নির্বাচনী সংস্কারের পথ খুলে দিল সরকার।
সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ‘না ভোট’ ফেরানো। এক প্রার্থী থাকলে ভোটাররা ‘না ভোট’ দিতে পারবেন—এই বিধান ভোটারদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, ইভিএমের ব্যবহার বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচনে ডিজিটাল পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের পর এই সিদ্ধান্তকে অনেকে ‘বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখছেন।
প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি সম্পদের পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে পারে।
প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সুযোগও রাখা হয়েছে—যা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের দাবির অন্যতম বিষয় ছিল।
রাজনৈতিক অনুদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ৫০ হাজার টাকার বেশি চাঁদা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে, সঙ্গে দাতার ট্যাক্স রিটার্ন বাধ্যতামূলক।
সবশেষে, অনিয়মের কারণে নির্বাচন কমিশন এখন শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোটও বাতিল করতে পারবে—এই বিধান নির্বাচন ব্যবস্থার দায়বদ্ধতা বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, এসব পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য হলো—“যেন আর ২০১৪ সালের মতো একক প্রার্থীর সাজানো নির্বাচন না হয়।”