শিরোনামঃ
গণহত্যার দায়ে নেতানিয়াহুসহ ৩৭ ইসরায়েলি নেতার নামে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ১৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে আপত্তি আহ্বান করেছে ইসি এনসিসি ব্যাংক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর বাজারে এলো ব্র্যান্ড নিউ প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ি ডিপল এস-০৫ ‘ইকুইটির মূল্য শূন্য’—পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন বন্ধ, বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়ছে রোনালদো বললেন ‘বিশ্বকাপ সব নয়’, মেসির পাল্টা: ‘এটাই জীবনের শীর্ষ অর্জন’! চার দশকের পথচলার অবসান, রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন ন্যান্সি পেলোসি ফেব্রুয়ারিতে ভোট, আগে গণভোটের দাবি জামায়াত আমিরের ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা, ১ জনের কারাদণ্ড কালিয়ায় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ পালিত

অ্যাম্বুলেন্স খাতে দ্বৈতনীতি: হাইকোর্টের রায় অমান্য, টোল ও করের বোঝায় থমকে যাচ্ছে জীবন বাঁচানোর শেষ ভরসা

#
news image

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে জরুরি সেবার প্রাণভোমরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বৈষম্যমূলক নীতি, অতিরিক্ত কর, এবং অবৈধ টোল আদায়ের কারণে। হাইকোর্টের রায় অমান্য করে অবৈধ টোল আদায় করা হয় এ সকল বিষয়ে গত মঙ্গলবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির নেতারা বলেন—হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স ও মৃতদেহবাহী ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সের টোল ও ফেরি টোল পুরোপুরি মওকুফ থাকবে। অথচ প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন সড়কে জোর করে এসব গাড়ি থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে।
বৈষম্যমূলক আয়কর—৫২ টাকার বিপরীতে ৩০ হাজার টাকা,আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাত্র ৫২ টাকা আয়কর নেওয়া হয়।

অথচ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের প্রায় ৮-৯ হাজার অ্যাম্বুলেন্স থেকে প্রতিটি গাড়ির জন্য ৩০ হাজার টাকা আয়কর আদায় করা হচ্ছে। একই ধরনের জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য এভাবে আলাদা নীতি তৈরি করা অমানবিক ও বৈষম্যমূলক।

৯০-৯৫% স্বাস্থ্যসেবা বহন করছে অ্যাম্বুলেন্স, এ প্রসঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন—
দেশের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় অ্যাম্বুলেন্স সরাসরি অবদান রাখছে। দিন-রাত, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করছে চালক ও মালিকরা। অথচ এই খাতকেই ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে অন্যায্য কর ও দ্বৈতনীতির মাধ্যমে। খুব দ্রুত সমাধান না হলে আমরা আবারও  কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল মাতবর, বলেন—অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে অনেক সময় সিএনজি পাম্পে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে অনেক রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। দেশের সব সিএনজি পাম্পে অ্যাম্বুলেন্স ও ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ২৪ ঘণ্টা বিশেষ সুবিধা চালু করতে হবে।
অ্যাম্বুলেন্সকে-মাইক্রোবাস, ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্স কে-পিকআপ,দেখিয়ে টোল আদায় করা হয়। 
 

অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির উপদেষ্টা-ডা. মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, টোল স্লিপে অ্যাম্বুলেন্সকে মাইক্রোবাস, আর ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সকে পিকআপ দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। এটি শুধু হাইকোর্টের রায় অমান্য নয়, বরং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে বহু বছরের বকেয়া কর মওকুফ করা হলেও অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। অনেককে হয়রানি করে মামলায় জড়ানো হচ্ছে, গাড়ি ডাম্পিংয়েও পাঠানো হচ্ছে।

মালিক সমিতির নেতারা স্মরণ করিয়ে দেন, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে দুইবার সারা দেশে ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হয়েছিল সমিতি। প্রতিবারই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাদের শান্ত করেন। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ- ভারপ্রাপ্ত সভাপতি: মো. দবির হোসেন ,সহসভাপতি: মোঃ নাছির উদ্দীন ,সাধারণ সম্পাদক: মো. বাদল মাতবর
সাংগঠনিক সম্পাদক: মো. জিল্লুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ: মো. কামাল উদ্দীন, ক্রিড়া সম্পাদক: মো. উজ্জলদপ্তর সম্পাদক মো. রুহুল আমিন সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপদেষ্টা: ডা. মো. সুলতান মাহমুদ।

বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ স্মরণ করিয়ে দেন, যদি এই বৈষম্যমূলক নীতি বন্ধ না হয়, তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখা ৮ থেকে ৯ হাজার অ্যাম্বুলেন্স ও ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্স হারিয়ে যাবে। তখন জরুরি সেবায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে, অগণিত জীবন ঝরে যাবে।

অবিলম্বে দ্বৈতনীতি ও অবৈধ টোল আদায় বন্ধ না হলে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।  আর এই সেবা খাত বন্ধ হলে এর দায় সরকার কে নিতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫-৯-২০২৫ বিকাল ৬:৪২

news image

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে জরুরি সেবার প্রাণভোমরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বৈষম্যমূলক নীতি, অতিরিক্ত কর, এবং অবৈধ টোল আদায়ের কারণে। হাইকোর্টের রায় অমান্য করে অবৈধ টোল আদায় করা হয় এ সকল বিষয়ে গত মঙ্গলবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির নেতারা বলেন—হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স ও মৃতদেহবাহী ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সের টোল ও ফেরি টোল পুরোপুরি মওকুফ থাকবে। অথচ প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন সড়কে জোর করে এসব গাড়ি থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে।
বৈষম্যমূলক আয়কর—৫২ টাকার বিপরীতে ৩০ হাজার টাকা,আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাত্র ৫২ টাকা আয়কর নেওয়া হয়।

অথচ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের প্রায় ৮-৯ হাজার অ্যাম্বুলেন্স থেকে প্রতিটি গাড়ির জন্য ৩০ হাজার টাকা আয়কর আদায় করা হচ্ছে। একই ধরনের জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য এভাবে আলাদা নীতি তৈরি করা অমানবিক ও বৈষম্যমূলক।

৯০-৯৫% স্বাস্থ্যসেবা বহন করছে অ্যাম্বুলেন্স, এ প্রসঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন—
দেশের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় অ্যাম্বুলেন্স সরাসরি অবদান রাখছে। দিন-রাত, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করছে চালক ও মালিকরা। অথচ এই খাতকেই ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে অন্যায্য কর ও দ্বৈতনীতির মাধ্যমে। খুব দ্রুত সমাধান না হলে আমরা আবারও  কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল মাতবর, বলেন—অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে অনেক সময় সিএনজি পাম্পে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে অনেক রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। দেশের সব সিএনজি পাম্পে অ্যাম্বুলেন্স ও ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ২৪ ঘণ্টা বিশেষ সুবিধা চালু করতে হবে।
অ্যাম্বুলেন্সকে-মাইক্রোবাস, ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্স কে-পিকআপ,দেখিয়ে টোল আদায় করা হয়। 
 

অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির উপদেষ্টা-ডা. মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, টোল স্লিপে অ্যাম্বুলেন্সকে মাইক্রোবাস, আর ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সকে পিকআপ দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। এটি শুধু হাইকোর্টের রায় অমান্য নয়, বরং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে বহু বছরের বকেয়া কর মওকুফ করা হলেও অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। অনেককে হয়রানি করে মামলায় জড়ানো হচ্ছে, গাড়ি ডাম্পিংয়েও পাঠানো হচ্ছে।

মালিক সমিতির নেতারা স্মরণ করিয়ে দেন, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে দুইবার সারা দেশে ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হয়েছিল সমিতি। প্রতিবারই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাদের শান্ত করেন। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ- ভারপ্রাপ্ত সভাপতি: মো. দবির হোসেন ,সহসভাপতি: মোঃ নাছির উদ্দীন ,সাধারণ সম্পাদক: মো. বাদল মাতবর
সাংগঠনিক সম্পাদক: মো. জিল্লুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ: মো. কামাল উদ্দীন, ক্রিড়া সম্পাদক: মো. উজ্জলদপ্তর সম্পাদক মো. রুহুল আমিন সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপদেষ্টা: ডা. মো. সুলতান মাহমুদ।

বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ স্মরণ করিয়ে দেন, যদি এই বৈষম্যমূলক নীতি বন্ধ না হয়, তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখা ৮ থেকে ৯ হাজার অ্যাম্বুলেন্স ও ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্স হারিয়ে যাবে। তখন জরুরি সেবায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে, অগণিত জীবন ঝরে যাবে।

অবিলম্বে দ্বৈতনীতি ও অবৈধ টোল আদায় বন্ধ না হলে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।  আর এই সেবা খাত বন্ধ হলে এর দায় সরকার কে নিতে হবে।