প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হামলা করে উল্টো মামলা দিয়ে চাকুরীচুত্যির চেষ্টা"
আবুল বারাকাত
১০-২-২০২৪ দুপুর ২:৪৩
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হামলা করে উল্টো মামলা দিয়ে চাকুরীচুত্যির চেষ্টা"
গত ০৩/০২/২০২৪ তারিখ ,ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাধীন ৭ নং কাজীরবেড় ইউনিয়ন এর পলিয়ানপুর গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহা: জহুরুল ইসলামের উপর একই গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম , মোঃ ইয়ানুর ও তরিকুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র রামদা , হাসুয়া ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এর বাড়ীতে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে।
মোঃ জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মোসা: মোমেনা বেগমের ক্রয় কৃত ১১ শতক জমি কে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে |হামলায় জহিরুল ইসলামকে মাথায় , মুখ, ও হাতে আঘাত করে | এতে তিনি গুরুতর ভাবে জখম হন |চিৎকার শুনে মোঃ মুছা করিম,মোঃ বোরহানউদ্দিন , ও মোঃ মাজহারুল ইসলাম নয়ন সাহায্য করতে এগিয়ে এলে তাদেরকেও গুরুতর ভাবে জখম করা হয়।
মুহা: জহুরুল ইসলামের ছেলে মোরশেদুল ইসলাম বলেন, আমি অফিস থেকে এসে আমার বাবা দাদার এ অবস্থা দেখে তাদের কে সরকারি সদর হসপিটালে ভর্তি করি |আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয় টার দিকে বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও করা হয়েছে।বাড়ীর মূলফটকের তালা ভেঙ্গে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে। ঘরের ক্লপসিপল গেটে আঘাত করে। বাহিরের দরজার হেজবল্ট ভেঙ্গে ফেলে এবং ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন,থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও যথাযথ বিচার পাচ্ছি না এবং আমাদেরকে হত্যা ও সম্মানহানি করার জন্য পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বাড়ীতে ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় গত ০৪ /০২ /২৪ ইং তারিখে মামলা রুজো করা হয় মামলা নং-৪০/২৪। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে ।আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা যায়, দীর্ঘ দিন গ্রামের মো: সাইফুল ইসলাম, মো: ইয়ানুর, মো: তরিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষককে মামলা-হামলা করে চাকুরিচুত্তি ও পেনশন বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক , জাতীয় অনলাইন পত্রিকাতেও সংবাদ প্রচারিত হয়েছে |
এমতাবস্থায় আহত রোগীগণ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় গত ০৫/০২/২০২৪ ইং তারিখ দুপুরে মহেশপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) জনাব জুম্মান খান [৮৮১৭২০০৩৫৮] হঠাৎ হাসপাতালে এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চাপপ্রদান শুরু করে অসুস্থ রোগীদের ছাড়পত্র প্রদান করার জন্য। হাসপাতালে উপস্থিত রোগীর আত্তীয়গণ এবং কর্তব্যরতডাক্তার গণ বলেন রোগীর অবস্থা ভলো নয়, এক্সরে রিপোর্টে দুইজনের হাত ভেঙ্গে গেছে | একজন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় থাকায় ছাড়পত্র দিতে অনাপত্তি জানায়। এ কথা শুনার পর এসআই জনাব যুম্মান খান রুদ্রমুর্তি ধারণ করেন এবং রোগীসহ ওয়ার্ডে কর্মরতদের ধমকাতে থাকেন।
একপর্যায় রোগীগণের কাগজপত্র ছিড়ে ফেলে এবং ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এ সময় রোগীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিড়ে ফেলেন। অতঃপর তিনি হাসপাতাল থেকে আহতগণকে টেনে-হেচড়ে নামান এবং থানায় নিয়ে যান। মিথ্যা মামলার আসামী একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালেয়ের প্রধান শিক্ষক (২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা) এর স্ত্রীর সম্মুখে তাকে হাসপাতালে নির্যাতন ও সম্মানহানি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক এর দুই ছেলে বলেন জনাব যুম্মান খান এর সাথে বারবার দেখা করে নতুন করে এক্সরে রিপোর্ট প্রদান করি এবং তার বাবার Medical Certificate (MC) এর আবেদন দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু জনাব যুম্মান খান তাদের উপর ও চড়াও হন। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, জনাব যুম্মান খান প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেএ ধরনের আচরণ করছেন বিধায় তার পক্ষে সুষ্ঠু তদন্তকরা সম্ভব নয়। এই বিষয়ে পলিয়ান পুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান এ কেমন বিচার হলো যাদের মারলো তাদেরকেই আসামী করা হয়েছে যা বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণীত ও সন্দেহজনক। এলাকাবাসি এর সুষ্ঠু বিচার চায় |
আবুল বারাকাত
১০-২-২০২৪ দুপুর ২:৪৩
গত ০৩/০২/২০২৪ তারিখ ,ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাধীন ৭ নং কাজীরবেড় ইউনিয়ন এর পলিয়ানপুর গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহা: জহুরুল ইসলামের উপর একই গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম , মোঃ ইয়ানুর ও তরিকুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র রামদা , হাসুয়া ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এর বাড়ীতে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে।
মোঃ জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মোসা: মোমেনা বেগমের ক্রয় কৃত ১১ শতক জমি কে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে |হামলায় জহিরুল ইসলামকে মাথায় , মুখ, ও হাতে আঘাত করে | এতে তিনি গুরুতর ভাবে জখম হন |চিৎকার শুনে মোঃ মুছা করিম,মোঃ বোরহানউদ্দিন , ও মোঃ মাজহারুল ইসলাম নয়ন সাহায্য করতে এগিয়ে এলে তাদেরকেও গুরুতর ভাবে জখম করা হয়।
মুহা: জহুরুল ইসলামের ছেলে মোরশেদুল ইসলাম বলেন, আমি অফিস থেকে এসে আমার বাবা দাদার এ অবস্থা দেখে তাদের কে সরকারি সদর হসপিটালে ভর্তি করি |আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয় টার দিকে বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও করা হয়েছে।বাড়ীর মূলফটকের তালা ভেঙ্গে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে। ঘরের ক্লপসিপল গেটে আঘাত করে। বাহিরের দরজার হেজবল্ট ভেঙ্গে ফেলে এবং ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন,থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও যথাযথ বিচার পাচ্ছি না এবং আমাদেরকে হত্যা ও সম্মানহানি করার জন্য পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বাড়ীতে ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় গত ০৪ /০২ /২৪ ইং তারিখে মামলা রুজো করা হয় মামলা নং-৪০/২৪। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে ।আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা যায়, দীর্ঘ দিন গ্রামের মো: সাইফুল ইসলাম, মো: ইয়ানুর, মো: তরিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষককে মামলা-হামলা করে চাকুরিচুত্তি ও পেনশন বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক , জাতীয় অনলাইন পত্রিকাতেও সংবাদ প্রচারিত হয়েছে |
এমতাবস্থায় আহত রোগীগণ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় গত ০৫/০২/২০২৪ ইং তারিখ দুপুরে মহেশপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) জনাব জুম্মান খান [৮৮১৭২০০৩৫৮] হঠাৎ হাসপাতালে এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চাপপ্রদান শুরু করে অসুস্থ রোগীদের ছাড়পত্র প্রদান করার জন্য। হাসপাতালে উপস্থিত রোগীর আত্তীয়গণ এবং কর্তব্যরতডাক্তার গণ বলেন রোগীর অবস্থা ভলো নয়, এক্সরে রিপোর্টে দুইজনের হাত ভেঙ্গে গেছে | একজন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় থাকায় ছাড়পত্র দিতে অনাপত্তি জানায়। এ কথা শুনার পর এসআই জনাব যুম্মান খান রুদ্রমুর্তি ধারণ করেন এবং রোগীসহ ওয়ার্ডে কর্মরতদের ধমকাতে থাকেন।
একপর্যায় রোগীগণের কাগজপত্র ছিড়ে ফেলে এবং ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এ সময় রোগীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিড়ে ফেলেন। অতঃপর তিনি হাসপাতাল থেকে আহতগণকে টেনে-হেচড়ে নামান এবং থানায় নিয়ে যান। মিথ্যা মামলার আসামী একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালেয়ের প্রধান শিক্ষক (২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা) এর স্ত্রীর সম্মুখে তাকে হাসপাতালে নির্যাতন ও সম্মানহানি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক এর দুই ছেলে বলেন জনাব যুম্মান খান এর সাথে বারবার দেখা করে নতুন করে এক্সরে রিপোর্ট প্রদান করি এবং তার বাবার Medical Certificate (MC) এর আবেদন দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু জনাব যুম্মান খান তাদের উপর ও চড়াও হন। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, জনাব যুম্মান খান প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেএ ধরনের আচরণ করছেন বিধায় তার পক্ষে সুষ্ঠু তদন্তকরা সম্ভব নয়। এই বিষয়ে পলিয়ান পুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান এ কেমন বিচার হলো যাদের মারলো তাদেরকেই আসামী করা হয়েছে যা বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণীত ও সন্দেহজনক। এলাকাবাসি এর সুষ্ঠু বিচার চায় |
সম্পর্কিত