টেকসই অর্থনীতিতে নেতৃত্বের স্বীকৃতি, আইপিডিসির জোড়া অর্জন

বিজ্ঞপ্তি
১৩-৭-২০২৫ রাত ১১:৩৪

টেকসই অর্থনীতিতে নেতৃত্বের স্বীকৃতি, আইপিডিসির জোড়া অর্জন
টেকসই উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির পথে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় এবার ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’-এ দুটি ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি অর্জন করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে, বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভ ও সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড ইনিশিয়েটিভের সহায়তায় আয়োজিত এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসডিজি-ভিত্তিক উদ্ভাবনী ও ইতিবাচক প্রভাবসৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়।
সর্বাধিক টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)’ হিসেবে আইপিডিসি এই স্বীকৃতি পায় তাদের ‘Finance for the Planet and People’ কৌশলের জন্য, যেখানে তারা গ্রিন লোন, জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের মাধ্যমে এসডিজির বাস্তবায়ন করছে।
২০২৪ সালেই তারা ৩৮ হাজার ৫৫২ মিলিয়ন টাকা টেকসই ও এসডিজি-সম্পর্কিত ঋণ বিতরণ করেছে, যা মোট ঋণের প্রায় ৭৮ শতাংশ। এই অনুপাত বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যূনতম নির্দেশনার চেয়েও বহুগুণ বেশি।
আইপিডিসির পোর্টফোলিওতে রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আইসিটি অবকাঠামো, নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোক্তা এবং সবুজ ভবন নির্মাণে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। ‘জয়ী’ ও ‘প্রীতি’ নামক উদ্ভাবনী পণ্য এবং ‘জয়ী ৩৬০’ এর মতো বিশেষায়িত শাখার মাধ্যমে আইপিডিসি শুধু আর্থিক সেবা প্রদানেই সীমাবদ্ধ নেই বরং বৃহত্তর পরিসরে লিঙ্গ সমতা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলছে।
এছাড়া ‘ইকুইটি, ডাইভারসিটি এবং ইনক্লুশন’ ক্যাটাগরিতে আইপিডিসি দ্বিতীয়বারের মতো ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডের সম্মাননা অর্জন করেছে। তাদের রূপান্তরমূলক প্রকল্প ‘উইমেন-ফোকাসড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফর দ্যা ভালনারেবল কমিউনিটিস’-এর জন্য এই স্বীকৃতি এসেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নে এই উদ্যোগ চালু করা হয়। এর লক্ষ্য হলো উত্তরবঙ্গের ১০০ জন প্রান্তিক নারী কৃষককে ভূমি ব্যবহারের সুযোগ, পরিবেশবান্ধব কৃষি যন্ত্রপাতি, জলবায়ু সহনশীল বীজ, জৈব চাষ ও ভার্মি কম্পোস্টিং প্রশিক্ষণ, নারীনেতৃত্বাধীন বাজার কর্নার ও বীজ ব্যাংক স্থাপনের সহায়তা প্রদান করা। এই প্রকল্প এসডিজি ৫ (লিঙ্গ সমতা), এসডিজি ১০ (অসমতা হ্রাস), এসডিজি ১২ (দায়িত্বশীল উৎপাদন ও ব্যবহার) এবং এসডিজি ১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি প্রমাণ করে যে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা এবং নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়ন একসাথে সম্ভব, যার ফলে স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।
আইপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, এই পুরস্কারগুলো আমাদের বিশ্বাসের প্রতিফলন। আমরা শুধু সংখ্যা নয়, মানুষ, পরিবেশ ও সমতার প্রতিও দায়বদ্ধ। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে উন্নয়ন মানে কেবল প্রবৃদ্ধি নয়—বরং ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তি।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা দেখিয়েছি, জলবায়ুর বিরুদ্ধে লড়াই আর নারীর ক্ষমতায়ন একসাথে সম্ভব।" পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে একত্রে ধারণ করে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি যেভাবে এসডিজি অর্জনের পথে এগোচ্ছে, তা বেসরকারি খাতের জন্য এক অনুকরণীয় উদাহরণ।
এই দুই পুরস্কার প্রমাণ করে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলেই টেকসই উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে পারে- বিশেষ করে যখন উদ্যোগের কেন্দ্রে থাকে মানুষ, প্রকৃতি ও সমতা।
বিজ্ঞপ্তি
১৩-৭-২০২৫ রাত ১১:৩৪

টেকসই উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির পথে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় এবার ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’-এ দুটি ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি অর্জন করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে, বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভ ও সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড ইনিশিয়েটিভের সহায়তায় আয়োজিত এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসডিজি-ভিত্তিক উদ্ভাবনী ও ইতিবাচক প্রভাবসৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়।
সর্বাধিক টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)’ হিসেবে আইপিডিসি এই স্বীকৃতি পায় তাদের ‘Finance for the Planet and People’ কৌশলের জন্য, যেখানে তারা গ্রিন লোন, জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের মাধ্যমে এসডিজির বাস্তবায়ন করছে।
২০২৪ সালেই তারা ৩৮ হাজার ৫৫২ মিলিয়ন টাকা টেকসই ও এসডিজি-সম্পর্কিত ঋণ বিতরণ করেছে, যা মোট ঋণের প্রায় ৭৮ শতাংশ। এই অনুপাত বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যূনতম নির্দেশনার চেয়েও বহুগুণ বেশি।
আইপিডিসির পোর্টফোলিওতে রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আইসিটি অবকাঠামো, নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোক্তা এবং সবুজ ভবন নির্মাণে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। ‘জয়ী’ ও ‘প্রীতি’ নামক উদ্ভাবনী পণ্য এবং ‘জয়ী ৩৬০’ এর মতো বিশেষায়িত শাখার মাধ্যমে আইপিডিসি শুধু আর্থিক সেবা প্রদানেই সীমাবদ্ধ নেই বরং বৃহত্তর পরিসরে লিঙ্গ সমতা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলছে।
এছাড়া ‘ইকুইটি, ডাইভারসিটি এবং ইনক্লুশন’ ক্যাটাগরিতে আইপিডিসি দ্বিতীয়বারের মতো ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডের সম্মাননা অর্জন করেছে। তাদের রূপান্তরমূলক প্রকল্প ‘উইমেন-ফোকাসড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফর দ্যা ভালনারেবল কমিউনিটিস’-এর জন্য এই স্বীকৃতি এসেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নে এই উদ্যোগ চালু করা হয়। এর লক্ষ্য হলো উত্তরবঙ্গের ১০০ জন প্রান্তিক নারী কৃষককে ভূমি ব্যবহারের সুযোগ, পরিবেশবান্ধব কৃষি যন্ত্রপাতি, জলবায়ু সহনশীল বীজ, জৈব চাষ ও ভার্মি কম্পোস্টিং প্রশিক্ষণ, নারীনেতৃত্বাধীন বাজার কর্নার ও বীজ ব্যাংক স্থাপনের সহায়তা প্রদান করা। এই প্রকল্প এসডিজি ৫ (লিঙ্গ সমতা), এসডিজি ১০ (অসমতা হ্রাস), এসডিজি ১২ (দায়িত্বশীল উৎপাদন ও ব্যবহার) এবং এসডিজি ১৩ (জলবায়ু কার্যক্রম) এর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি প্রমাণ করে যে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা এবং নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়ন একসাথে সম্ভব, যার ফলে স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।
আইপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, এই পুরস্কারগুলো আমাদের বিশ্বাসের প্রতিফলন। আমরা শুধু সংখ্যা নয়, মানুষ, পরিবেশ ও সমতার প্রতিও দায়বদ্ধ। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে উন্নয়ন মানে কেবল প্রবৃদ্ধি নয়—বরং ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তি।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা দেখিয়েছি, জলবায়ুর বিরুদ্ধে লড়াই আর নারীর ক্ষমতায়ন একসাথে সম্ভব।" পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে একত্রে ধারণ করে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি যেভাবে এসডিজি অর্জনের পথে এগোচ্ছে, তা বেসরকারি খাতের জন্য এক অনুকরণীয় উদাহরণ।
এই দুই পুরস্কার প্রমাণ করে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলেই টেকসই উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে পারে- বিশেষ করে যখন উদ্যোগের কেন্দ্রে থাকে মানুষ, প্রকৃতি ও সমতা।