ব্যাংককে মোদি-ড. ইউনুস বৈঠক: হাসিনার প্রত্যাবর্তন ও বিচারের ইঙ্গিত, আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন মোড়

শহিদুল ইসলাম খোকন
৫-৪-২০২৫ রাত ৮:৫০

ব্যাংককে মোদি-ড. ইউনুস বৈঠক: হাসিনার প্রত্যাবর্তন ও বিচারের ইঙ্গিত, আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন মোড়
ব্যাংকক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক গোপনীয় কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি নতুন মাত্রা পেতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়েছে।
বিশ্ব কূটনীতির প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি এক বিশেষ সময় এসেছে, যখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এক নতুন সন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশ ভারত থেকে পণ্য আমদানি না করলে ভারতের বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার উদাহরণ তুলে ধরেন।
মোদি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষা করা শুধু ভারতের অর্থনীতির জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্যও জরুরি। তিনি ভারতের পক্ষ থেকে অতীতের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে একটি ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
হাসিনার ভারত অবস্থান নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে
বৈঠকে ড. ইউনুস শেখ হাসিনার ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করলে প্রধানমন্ত্রী মোদি আশ্বস্ত করেন, ভারত সরকার এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মোদি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না বরং শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সহযোগিতা করবে। সূত্রের দাবি, এ বিষয়ে মোদি দেশে ফিরে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ভাষাগত বাধা: দোভাষীর প্রয়োজনীয়তা
বৈঠকে ভাষাগত চ্যালেঞ্জও সামনে আসে। জানা গেছে, মোদি মূলত হিন্দিতে বক্তব্য দেন এবং তার বক্তব্য ইংরেজিতে অনুবাদ করে ড. ইউনুসকে উপস্থাপন করা হয়। বিষয়টি আঞ্চলিক কূটনীতিতে ভাষার গুরুত্ব ও কার্যকর যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার দিকেও ইঙ্গিত করে।
সীমান্ত হত্যা ও তিস্তা চুক্তি আলোচনায়
দুই পক্ষ সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির টেকসই সমাধানে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ড. ইউনুস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর দেন যাতে ভারত দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের দিকে এগিয়ে আসে।
এই বৈঠক শুধু একটি কূটনৈতিক আলাপ নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি সম্ভাব্য যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত। শেখ হাসিনার অবস্থান, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার ধারা যদি বাস্তবায়নের পথে যায়, তবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
শহিদুল ইসলাম খোকন
৫-৪-২০২৫ রাত ৮:৫০

ব্যাংকক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক গোপনীয় কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি নতুন মাত্রা পেতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়েছে।
বিশ্ব কূটনীতির প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি এক বিশেষ সময় এসেছে, যখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এক নতুন সন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশ ভারত থেকে পণ্য আমদানি না করলে ভারতের বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার উদাহরণ তুলে ধরেন।
মোদি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষা করা শুধু ভারতের অর্থনীতির জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্যও জরুরি। তিনি ভারতের পক্ষ থেকে অতীতের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে একটি ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
হাসিনার ভারত অবস্থান নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে
বৈঠকে ড. ইউনুস শেখ হাসিনার ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করলে প্রধানমন্ত্রী মোদি আশ্বস্ত করেন, ভারত সরকার এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মোদি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না বরং শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সহযোগিতা করবে। সূত্রের দাবি, এ বিষয়ে মোদি দেশে ফিরে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ভাষাগত বাধা: দোভাষীর প্রয়োজনীয়তা
বৈঠকে ভাষাগত চ্যালেঞ্জও সামনে আসে। জানা গেছে, মোদি মূলত হিন্দিতে বক্তব্য দেন এবং তার বক্তব্য ইংরেজিতে অনুবাদ করে ড. ইউনুসকে উপস্থাপন করা হয়। বিষয়টি আঞ্চলিক কূটনীতিতে ভাষার গুরুত্ব ও কার্যকর যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার দিকেও ইঙ্গিত করে।
সীমান্ত হত্যা ও তিস্তা চুক্তি আলোচনায়
দুই পক্ষ সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির টেকসই সমাধানে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ড. ইউনুস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর দেন যাতে ভারত দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের দিকে এগিয়ে আসে।
এই বৈঠক শুধু একটি কূটনৈতিক আলাপ নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি সম্ভাব্য যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত। শেখ হাসিনার অবস্থান, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার ধারা যদি বাস্তবায়নের পথে যায়, তবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।