শিরোনামঃ
কাস্টমসের মারুফের হাতে ‘আলাদিনের চেরাগ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আইপিএম এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ লাভ করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ রুকুনুজ্জামান: ঠাকুরগাঁওয়ের ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের নতুন দিগন্তের স্বপ্নদ্রষ্টা আসছে হাবিবুর রহমান বাবু অভিনীত মিউজিক্যাল ফিল্ম: বলবো কাকে দুটো মনের কথা সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের লক্ষ্যে হাবিব হাসনাতের উঠান বৈঠক গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জুলাই আন্দোলনের শিক্ষা : হাবিব হাসনাত কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট ও কিষোয়ান গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু বসুন্ধরা সিটিতে শুরু হলো দুই সপ্তাহব্যাপী “ক্লিয়ারেন্স সেল ও ফ্যাশন ফেস্ট” আর-রাহা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিকস লিঃ-এ নবজাতকদের জন্য ফ্রি ইপিআই সেবা উদ্বোধন

বুলডোজার দিয়ে ভাবির ঘর গুঁড়িয়ে দেয়ায় স্বামী-স্ত্রী কারাগারে

#
news image

হবিগঞ্জ শহরে ভাড়াটে লোকদের দিয়ে ভাবির ঘর গুঁড়িয়ে দিতে গিয়ে ধরা খেলেন স্বামী-স্ত্রী। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তাদের আটক করে। পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দখলদারদের পুলিশে হস্তান্তর করে। শহরের দানেশ্বরবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রয়াত বড় ভাইয়ের জায়গা নিয়ে ভাবি ও ভাতিজির সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল দেবাশীষ রায় প্রবাল ও তার স্ত্রী আলো রায়ের। সম্প্রতি বাবার জায়গায় বিধবা মায়ের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেন মেয়ে ঋত্বিকা সাহা। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাচা প্রবাল ও তার স্ত্রী।

গত শনিবার সকালে ভাড়াটে লোকদের নিয়ে ভাবির ঘরটি ভাঙতে যান প্রবাল। এ সময় বুলডোজার দিয়ে ঘরটি গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করলে বাধা দেন ঋত্বিকা ও তার মা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাল ও তার ভাড়াটে লোকজন মা-মেয়েকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন স্থানীয় লোকজন। তারা ঋত্বিকা ও তার মাকে উদ্ধার করে দখলদারদের গণপিটুনির প্রস্তুতি নেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দখল ও হামলার অভিযোগে প্রবাল ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় জনগণ তাদের ধিক্কার জানিয়ে ডিম ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে বুলডোজার ও একটি ট্রাক জব্দ করে সেনাবাহিনী।

এ ব্যাপারে আহত ঋত্বিকা সাহা বলেন, ‘আমার বাবা নাই। বিধবা মায়ের জন্য আমি একটা ঘর বানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এ ঘরটিও তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বাধা দেয়ায় আমার বৃদ্ধ মাকে তারা রড দিয়ে মেরে আহত করেছে। আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তাদের গুন্ডা বাহিনী আমাকে মেরে আমার গলার স্বর্ণের হার ও চুড়ি ছিনিয়ে নেয়। আমরা তাদের বিচার চাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ

১-১-২০২৫ দুপুর ৪:২

news image

হবিগঞ্জ শহরে ভাড়াটে লোকদের দিয়ে ভাবির ঘর গুঁড়িয়ে দিতে গিয়ে ধরা খেলেন স্বামী-স্ত্রী। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তাদের আটক করে। পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দখলদারদের পুলিশে হস্তান্তর করে। শহরের দানেশ্বরবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রয়াত বড় ভাইয়ের জায়গা নিয়ে ভাবি ও ভাতিজির সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল দেবাশীষ রায় প্রবাল ও তার স্ত্রী আলো রায়ের। সম্প্রতি বাবার জায়গায় বিধবা মায়ের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেন মেয়ে ঋত্বিকা সাহা। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাচা প্রবাল ও তার স্ত্রী।

গত শনিবার সকালে ভাড়াটে লোকদের নিয়ে ভাবির ঘরটি ভাঙতে যান প্রবাল। এ সময় বুলডোজার দিয়ে ঘরটি গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করলে বাধা দেন ঋত্বিকা ও তার মা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাল ও তার ভাড়াটে লোকজন মা-মেয়েকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন স্থানীয় লোকজন। তারা ঋত্বিকা ও তার মাকে উদ্ধার করে দখলদারদের গণপিটুনির প্রস্তুতি নেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দখল ও হামলার অভিযোগে প্রবাল ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় জনগণ তাদের ধিক্কার জানিয়ে ডিম ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে বুলডোজার ও একটি ট্রাক জব্দ করে সেনাবাহিনী।

এ ব্যাপারে আহত ঋত্বিকা সাহা বলেন, ‘আমার বাবা নাই। বিধবা মায়ের জন্য আমি একটা ঘর বানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এ ঘরটিও তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বাধা দেয়ায় আমার বৃদ্ধ মাকে তারা রড দিয়ে মেরে আহত করেছে। আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তাদের গুন্ডা বাহিনী আমাকে মেরে আমার গলার স্বর্ণের হার ও চুড়ি ছিনিয়ে নেয়। আমরা তাদের বিচার চাই’