সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলীর অদৃশ্য খুঁটির জোর কোথায়
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৭-১১-২০২৪ বিকাল ৭:১৯
সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলীর অদৃশ্য খুঁটির জোর কোথায়
সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলী ও তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানাবিধ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের ঘনিষ্ঠ সহোচর সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলী। আওয়ামী পন্থী সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি। আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন মন্ত্রী আমলাদের পাশে থেকে করে গেছেন নানান অপকর্ম।
সূত্র মতে, ওয়ারেছ ও তার সংগঠনের প্রত্যেকে সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারী হলেও স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে তাদের কেউ কেউ বনে গেছেন কোটি কোটি টাকা ও অবৈধ সম্পদের মালিক। সেইসাথে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগ বানিজ্যের পাশাপাশি এনজিও এবং নানান সংগঠন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা ও গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। তিনি তার স্ত্রীর নামে কিনেছেন জমি ও ফ্ল্যাট। এমন কি তার অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলির হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও আছে তার ও তার সংগঠনের বিরুদ্ধে।
৫ অক্টোবর ২০২৪ সরকারি কর্মচারীদের দাবি আদায়ের নামে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ নামে তথাকথিত আরো একটি অনিবন্ধিত নতুন সংগঠন গড়ে তুলেন। কথিত এ অনিবন্ধিত সংগঠনটি থেকে চট্টগ্রামে বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশও করা হয়েছে। নতুন ব্যানারে দেশব্যাপী নানান কর্মসূচি দিয়ে রাষ্ট্রে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে আওয়ামী ফর্মুলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। মূলত অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে দাবি আদায়ের নামে সমাজসেবা অধিদপ্তরকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাদের এই কার্যক্রম। এই সংগঠনটির পেছনে রয়েছে আওয়ামী লেজুড়বৃত্তি করা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
জানা যায়, সংগঠনটির সাথে জড়িত আছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খায়ের আহমেদ মজুমদার, চট্টগ্রামের পরিবার পরিকল্পনায় কর্মরত ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি দবির উদ্দিন এবং বিআইডব্লিউটিএতে কর্মরত আবদুল বাতেন বিপ্লব।
সংগঠনটি ১৭ জুলাই ২০২৪ ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগের পক্ষে সাফাই গেয়ে বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানে ছাত্র জনতার আন্দোলনের তিব্র সমালোচনা করা হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দমনে নানাভাবে বিভিন্ন উসকানি মূলক কথাবার্তা বলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে তরান্বিত করার অপচেষ্টাও করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। সম্প্রতি অনলাইনে ও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে ওয়ারেছ আলীর বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে ফ্যাসিস্ট সরকারের হয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রমান ফাঁস হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরও জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর, ওয়ারেছ আলী ও তার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিলে তাদের আওয়ামী খোলস বদলে ফেলে। আওয়ামী বিরোধী নেতাদের অতিথি করে সভা-সমাবেশ করে অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারের সুনজর পেতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ওয়ারেছ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাকে ২৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সমাজসেবা অধিদপ্তর, সদর কার্যালয় হতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। ২৮ আগস্ট ২৪ তারিখের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান অন্যথায় ২৯ আগস্ট ২৪ তারিখ হতে অবমুক্ত করা হলেও তিনি বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করে অযাচিতভাবে অবমুক্তির ১৩ দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা রজু করেন। মামলার প্রেক্ষিতে রায় ও আদেশে তাকে ৭ দিনের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য বলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সে রায়ের কপি প্রাপ্তি নিশ্চিতও করা হয়। আদালতের আদেশ মোতাবেক বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য পূনরায় অবমুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রেও তিনি যোগদান না করে নির্ধারিত তারিখের ২ দিন পর মিস আপীল মামলা দায়ের করেন। যার শুনানী চলমান রয়েছে।
এ প্রতিবেদক ওয়ারেছ আলীর অফিসে গিয়ে খোঁজ করলে তার রুমটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ না করে বারবার কল কেটে দেন।
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৭-১১-২০২৪ বিকাল ৭:১৯
সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলী ও তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানাবিধ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের ঘনিষ্ঠ সহোচর সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলী। আওয়ামী পন্থী সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি। আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন মন্ত্রী আমলাদের পাশে থেকে করে গেছেন নানান অপকর্ম।
সূত্র মতে, ওয়ারেছ ও তার সংগঠনের প্রত্যেকে সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারী হলেও স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে তাদের কেউ কেউ বনে গেছেন কোটি কোটি টাকা ও অবৈধ সম্পদের মালিক। সেইসাথে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগ বানিজ্যের পাশাপাশি এনজিও এবং নানান সংগঠন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা ও গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। তিনি তার স্ত্রীর নামে কিনেছেন জমি ও ফ্ল্যাট। এমন কি তার অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলির হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও আছে তার ও তার সংগঠনের বিরুদ্ধে।
৫ অক্টোবর ২০২৪ সরকারি কর্মচারীদের দাবি আদায়ের নামে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ নামে তথাকথিত আরো একটি অনিবন্ধিত নতুন সংগঠন গড়ে তুলেন। কথিত এ অনিবন্ধিত সংগঠনটি থেকে চট্টগ্রামে বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশও করা হয়েছে। নতুন ব্যানারে দেশব্যাপী নানান কর্মসূচি দিয়ে রাষ্ট্রে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে আওয়ামী ফর্মুলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। মূলত অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে দাবি আদায়ের নামে সমাজসেবা অধিদপ্তরকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাদের এই কার্যক্রম। এই সংগঠনটির পেছনে রয়েছে আওয়ামী লেজুড়বৃত্তি করা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
জানা যায়, সংগঠনটির সাথে জড়িত আছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খায়ের আহমেদ মজুমদার, চট্টগ্রামের পরিবার পরিকল্পনায় কর্মরত ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি দবির উদ্দিন এবং বিআইডব্লিউটিএতে কর্মরত আবদুল বাতেন বিপ্লব।
সংগঠনটি ১৭ জুলাই ২০২৪ ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগের পক্ষে সাফাই গেয়ে বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানে ছাত্র জনতার আন্দোলনের তিব্র সমালোচনা করা হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দমনে নানাভাবে বিভিন্ন উসকানি মূলক কথাবার্তা বলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে তরান্বিত করার অপচেষ্টাও করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। সম্প্রতি অনলাইনে ও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে ওয়ারেছ আলীর বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে ফ্যাসিস্ট সরকারের হয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রমান ফাঁস হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরও জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর, ওয়ারেছ আলী ও তার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিলে তাদের আওয়ামী খোলস বদলে ফেলে। আওয়ামী বিরোধী নেতাদের অতিথি করে সভা-সমাবেশ করে অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারের সুনজর পেতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ওয়ারেছ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাকে ২৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সমাজসেবা অধিদপ্তর, সদর কার্যালয় হতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। ২৮ আগস্ট ২৪ তারিখের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান অন্যথায় ২৯ আগস্ট ২৪ তারিখ হতে অবমুক্ত করা হলেও তিনি বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করে অযাচিতভাবে অবমুক্তির ১৩ দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা রজু করেন। মামলার প্রেক্ষিতে রায় ও আদেশে তাকে ৭ দিনের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য বলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সে রায়ের কপি প্রাপ্তি নিশ্চিতও করা হয়। আদালতের আদেশ মোতাবেক বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য পূনরায় অবমুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রেও তিনি যোগদান না করে নির্ধারিত তারিখের ২ দিন পর মিস আপীল মামলা দায়ের করেন। যার শুনানী চলমান রয়েছে।
এ প্রতিবেদক ওয়ারেছ আলীর অফিসে গিয়ে খোঁজ করলে তার রুমটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ না করে বারবার কল কেটে দেন।