ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নিয়ে বিতর্ক, দুই নেতার পদত্যাগে উত্তেজনা

আবুল বারাকাত
১৬-৭-২০২৪ বিকাল ৬:১৩

ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নিয়ে বিতর্ক, দুই নেতার পদত্যাগে উত্তেজনা
লালমনিরহাটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তারা।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ। লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার তাদের পদত্যাগপত্রে উঠে এসেছে ভিন্ন ভিন্ন আবেগ, নৈতিক অবস্থান ও রাজনৈতিক বোধ।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন- আমি বা আমার পরিবার কেউ মুক্তিযোদ্ধা না, আমরা রাজাকার। আমি স্ব-ইচ্ছায় স্ব-জ্ঞানে এ পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।
তিনি জানান, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসার পর নিজের অবস্থান নিয়ে আত্মসমালোচনায় পৌঁছেছেন তিনি।
অন্যদিকে, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার লেখেন- সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত নৈতিকতাবিরোধী। আমি সজ্ঞানে আমার মস্তিষ্কের ২০০ বিলিয়ন নিউরন ব্যবহার করে বিবেকের দাঁড়িপাল্লায় দাঁড়িয়ে আজ ছাত্ররাজনীতি থেকে সরে গেলাম।
তিনি আরও লেখেন, আমি সর্বদাই শিক্ষা ভিত্তিক রাজনীতি চর্চা করেছি। শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ ছিল আমার পরমব্রত। তবে আজকের আক্রমণাত্মক ছাত্ররাজনীতি আমায় ব্যথিত করেছে।
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান-ছাত্রলীগ নেতা হয়েও তারা ভিন্ন মতাদর্শ লালন করে। তারা স্বেচ্ছায় বেরিয়ে গেছে। এতে আমরা খুশিই হয়েছি। তারা ছাত্রলীগে কীভাবে ঢুকেছে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা ঘটনাটিকে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার অংশ বললেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তরুণদের মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্ব ও হতাশার প্রতিফলন ঘটছে এসব পদত্যাগে।
আবুল বারাকাত
১৬-৭-২০২৪ বিকাল ৬:১৩

লালমনিরহাটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তারা।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ। লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার তাদের পদত্যাগপত্রে উঠে এসেছে ভিন্ন ভিন্ন আবেগ, নৈতিক অবস্থান ও রাজনৈতিক বোধ।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন- আমি বা আমার পরিবার কেউ মুক্তিযোদ্ধা না, আমরা রাজাকার। আমি স্ব-ইচ্ছায় স্ব-জ্ঞানে এ পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।
তিনি জানান, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসার পর নিজের অবস্থান নিয়ে আত্মসমালোচনায় পৌঁছেছেন তিনি।
অন্যদিকে, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার লেখেন- সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত নৈতিকতাবিরোধী। আমি সজ্ঞানে আমার মস্তিষ্কের ২০০ বিলিয়ন নিউরন ব্যবহার করে বিবেকের দাঁড়িপাল্লায় দাঁড়িয়ে আজ ছাত্ররাজনীতি থেকে সরে গেলাম।
তিনি আরও লেখেন, আমি সর্বদাই শিক্ষা ভিত্তিক রাজনীতি চর্চা করেছি। শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ ছিল আমার পরমব্রত। তবে আজকের আক্রমণাত্মক ছাত্ররাজনীতি আমায় ব্যথিত করেছে।
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান-ছাত্রলীগ নেতা হয়েও তারা ভিন্ন মতাদর্শ লালন করে। তারা স্বেচ্ছায় বেরিয়ে গেছে। এতে আমরা খুশিই হয়েছি। তারা ছাত্রলীগে কীভাবে ঢুকেছে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা ঘটনাটিকে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার অংশ বললেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তরুণদের মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্ব ও হতাশার প্রতিফলন ঘটছে এসব পদত্যাগে।